সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, দুঃশাসনে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ে পতিত হয়েছে :বিবৃতিতে খুলনা মহানগর বিএনপি
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কারনে দেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্রাইসিসে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকার এতদিন ঢোল পেটালো সিঙ্গাপুর, ব্যাংককে ছাড়িয়ে গেছে দেশ, সেই রিজার্ভ এখন কোথায়? হঠাৎ করে নাই হয়ে গেল কেন? শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন সত্বেও কেন এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্তে আসতে হলো সরকারকে?
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৩ বছরের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, দুঃশাসনের কারণে দেশ আজ এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পতিত হয়েছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের মাত্র ৪ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান। ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতিদিন কমছে। সরকার কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। ডলারের দাম নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে রেমিট্যান্স আয় আরও কমে যাবে, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। পদ্মা সেতু নিয়ে যেভাবে নাচ-গান-ফুর্তি করা হলো, তেমনি শতভাগ বিদ্যুতের দেশ বলেও হাতিরঝিলে ফানুস উড়ালো। অথচ আজ সরকার বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। সরকার অপরিকল্পিতভাবে জনগণের অর্থ ব্যয় করেছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ব্যর্থ সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে স্বেচ্ছায় বিদায় নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।
শরণখোলায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বখাটে মহারাজ আটক
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের শরণখোলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মহারাজ খলিফা (৩০) নামের এক বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শরণখোলা থানার এসআই আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠেরপাড় গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটক করে। শিশুটি ১০নম্বর মঠেরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুলাই রোববার বিকেলে শিশুটি উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠেরপাড় গ্রামের জলিল খলিফার বখাটে ছেলে মহারাজের বাড়ির সামনে রাস্তায় গেলে ওই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ফুসলিয়ে বসতঘরের পেছনে রান্না ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় প্রতিবেশী এক নারী ঘটনাটি দেখে ফেললে শিশুটিকে ছেড়ে মহারাজ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, রাতে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা শুনে সকালে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের এবং সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলামকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। মহারাজ এর আগেও তার ১০ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মহারাজের কারণে গ্রামের নারীরা সবর্দা আতঙ্কে থাকে। বিভিন্ন সময় নারীদের গোসলখানার পাশে, খালের পাড়ে বসে থাকে। কয়েকমাস আগে সে মাদকের মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।
শরণখোলা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সুব্রত কুমার সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক মহারাজকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
খুলনা মহানগর ও জেলা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে ব্যহত করার জন্য সারা দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এবং খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ এর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন অপপ্রচার এবং তাকে ও খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করার প্রতিবাদে সোমবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বি এম জাফর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু শ্যামল সিংহ রায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া। সভা পরিচালনা করেন খুলনা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ পীর আলী।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যহত করার লক্ষে বিএনপি জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তাই শ্রমিক লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ মুজিব আদর্শের একজন শ্রমিক বান্দব নেতা। খুলনার সকল পর্যায়ে শ্রমিক কর্মচারীদের সকল দাবী আদায়ে যিনি সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। তার নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর শাখা একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক শক্তি রোধে তার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হচ্ছে। এমনকি তাকে ও খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে একটি সন্ত্রাসীচক্র। যারা শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য। তাদেরকে খুলনার শ্রমিক সমাজ চেনে। যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ইতিমধ্যে তাদের নামে সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই প্রশাসনের প্রতি। সভা শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা মহানগর ও জেলা শ্রমিক লীগের অন্তর্গত সকল জাতীয় ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন, সিবিএ, নন সিবিএ, থানা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও ইউনিট শাখাকে প্রতিবাদ সভা করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মল্লিক নওশের আলী, মোঃ আলম হাওলাদার, মোঃ বাবুল হোসেন, কাজী আঃ ওহাব, আঃ রহিম খান, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন বিপ্লব, মোঃ শাহীন আহম্মেদ, মোল্লা আজাদ আলী, আঃ রশিদ সিকদার, কিংকর সাহা, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্না, শরীফ মোর্ত্তজা আলী, মোঃ ইউনুস মন্সী, খন্দকার রহিকুল ইসলাম, মোঃ ফারুক হাসান, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবি, শেখ আব্দুস সোবাহান লস্কর, মোঃ শাহ আলম শেখ, মোঃ আব্দুর রহমান, শেখ মোঃ রমজান, শেখ মঈনুল ইসলাম মোহন, মোঃ আলমগীর মল্লিক, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ জাবেদ মিয়া, মোঃ আক্তার, মোঃ শরিফুল, মোঃ আনিসুর রহমান, মোঃ হানিফ সরদার, বিপ্লব কুমার দে, মোঃ নুর ইসলাম, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আজিম উদ্দিন, মোঃ বাবুল শেখ, খান মোহাম্মদ মিথুন, কাজী রফিকুল বারী, মাছুমা আক্তার রানী, সোহাগ হাওলাদার, মোঃ আসলাম হোসেন, মোঃ বায়জিত সরদার, মোঃ সেলিম ফরাজী, মোঃ হাবিবুর রহমান, শামীমুর আলম মান্দার, শফিকুল ইসলাম লিটু, শেখ আব্দুস সত্তার, হায়দার আলী খান, বোরহান হাওলাদার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আবুল বাশার বাদশা, শঙ্কর কুন্ডু, কামাল উদ্দিন মোড়ল, মোঃ আব্দুল হাকিম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, বিপ্লব কুমার রায়, মোঃ বাচ্চু শেখ, লাভলু পাটোয়ারী, মোঃ খোকন, মোঃ দেলোয়ার, মোঃ মহারাজ, মোঃ তৈয়ব আলী হাওলাদার, মোল্লা মাহাবুবুর রহমান, সলেমান শিকদার, মোঃ আলামিন কবির, মোঃ টুটুল, মোঃ শাহাবুদ্দিন মোল্লা, মোঃ সাদ্দাম, মোঃ কামাল, মোঃ আলামিন ফরাজী, মোঃ সোহেল গাজী, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জনি, প্রশান্ত কুমার ঘোষ, খোকন শীল কুট্টি, অষোক বাহাদুর, আলী আজগর ডালীম, মোঃ শামীম আহম্মেদ ছোট, আব্দুস সত্তার, এরশাদ আলী, মোঃ নুর ইসলাম রনি, মোঃ আরমান, রেশমা বেগ, ঝুমুর বেগম, জেসমিন আকতার, মাজেদা বেগম, লাবনী, মানু সাহা, সুজন ভৌমিক, আরিফ হোসেন অনিক, আয়নুল ইসলাম, মোঃ ফারুক, মোঃ ইখলাস, ফয়সাল হাসান বাবু, শরিফুল, সঞ্জিত ঘোষ, রকি খান, মোঃ আজিজ, মোঃ জহির রায়হান, মোঃ বাবু, হালিম সরদার, ওদুদ, বিপ্লব, গফফার, ওবায়দুল, হারুন, জাফর খলিফা, বেনজির প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খুলনা জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে ব্যাতিকগ্রস্থ আওয়ামী নেতা মান্নাফির ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে খুলনা জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় নগরীর কোট চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহম্দে ইশতি, জেলা সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন, নগর সদস্য সচিব তাজিম বিশ^াস। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রনেতা মাসুম বিল্লাহ, হুমায়ুন কবির রুবেল, রশিউর রহমান রুবেল, গাজী শহিদুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, এবাদুল ইসলাম, মশিউর রহমান শফিক, হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, মাহফুজ আহম্মেদ, হেদায়েতুল্লাহ দিপু, রিয়াজুল খান মুরাদ, ফিরোজ আহম্মেদ, আবু হানিফ, মোঃ আবু জাফর, ওয়াহিদুজ্জামান খান, রাশিকুল আনাম রাশু, পারভেজ হাসান মিজান, কৃষ্ণ বিশ^াস, আলী আকবর, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, ইমরান খান, এস এম ইলিয়াস, আল আমিন লিটন, ফয়সাল চৌধুরী, মাসুম বিল্লাহ, সরোজিত ঘোষ দেবেন, আরিফুল ইসলাম টুকু, শাকিল আহম্মেদ, আল আমিন হোসেন, মোল্লা সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান সাগর, সাদ্দাম হোসেন, ফারুক হোসেন, ইমতিয়াজ আলী সুজন, হিমেল গাজী, মাহমুদুল হাসান, অমিত মল্লিক, হাবিবুর রহমান বিপ্লব, আব্দুস সালাম, নাম্মিন হোসেন মারজান, ইসমাইল হোসেন, অনিক আহমেদ, হানিফ আকাশ, খালিদ ওয়ালিদ, কাজী সালমান মেহেদি, রবিউল ইসলাম, আরিফ মোল্লা তুর্য, আমিনুজ্জামান সুজন, আতাউর রহমান, রায়হান সোবহান প্রমুখ।
মোংলায় জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের প্রায় আট কাঠা জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে এক ভূমিদস্যু পরিবারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে ওই ভূমিদস্যু চক্রটি পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাছমারা এলাকার এ জমিটি দখলে নেয়ার পায়তারা করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান। সোমবার বিকেলে পৌর শহরের একটি আভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, আরাজী মাকড়ঢোন মৌজার ৩৮৫২ দাগের প্রায় আট কাঠার জমিটি ক্রয়সূত্রে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তার ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে একটি প্রভাবশালীর মহলের ছত্রছায়ায় কুমারখালী এলাকার বাসিন্দা হায়দার তালুকদার, মারুফ তালুকদার ও নুর নাহার বেগম গং গত ১৩ জুলাই লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার ওই জমিটি জোরপূর্বক দখল নিতে অপচেষ্টা করেন। পরে জবরদখল চেষ্টার ঘটনার ওই দিনই হায়দার, মারুফ ও নুর নাহার গংদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। পরে তাদেরকে থানায় ডাকা হলেও তারা ওই জমির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর গত ১৬ জুলাই বিরোধপূর্ণ এই জমিটি নিয়ে ভূমি জরিপ আমিন সমিতিতে বসা হলেও সেখানেও হায়দার, মারুফ ও নুর নাহাট গং কোন বৈধ কাগজপত্র সেখানেও উপস্থাপন করতে পারেননি বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে তার জমিটি দখলের পায়তারা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের প্রায় আট কাঠা জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে হায়দার তালুকদার, মারুফ ও নুর নাহার বেগম দাবী করেন বলেন, তারা ওই জমি দখল করতে যাননি, তাদের জমি ঘিরে নেয়ার চেষ্টা করেন।
আমন ক্ষেত ফেঁটে চৌচির: কালীগঞ্জের কৃষকের কপালে ভাঁজ
সাবজাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ॥
চলতি বর্ষা মৌসুমের আষাঢ় পার হয়ে শ্রাবন হাজির। বর্ষা মৌসুমের প্রথম দিকের বৃষ্টিতে কেউ কেউ আগাম আমন ধান রোপন করেছেন। পরে আর তেমন একটা বৃষ্টি হয়নি। তাই বেশির ভাগ জমিতে ধান রোপন সম্ভব হয়নি। এদিকে কৃষকের বীজতলার ধানের চারার বয়স বেড়ে লাগানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত মাঠঘাটে কোন পানি নেই। আগাম রোপন করা আমন ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে মাঠের গভীর নলকূপের আওতার জমিগুলো সেচ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হলেও অন্য ক্ষেতগুলো তাড়াতাড়ি বৃষ্টি না হলে নষ্ট হয়ে যাবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত এমন অবস্থা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের সকল মাঠেও।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানাগেছে, এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৭ শত ৩০ হেক্টোর। এরমধ্যে আষাঢ়ের প্রথম দিনের বৃষ্টিতে সর্বোচ্চ ১০ ভাগ জমিতে ধান রোপন সম্ভব হয়েছে। বাকি ৯০ ভাগ ক্ষেত পানির অভাবে পড়ে আছে। কৃষি অফিসসূত্রে আরও জানাগেছে, আমাদের দেশে সাধারনত আষাঢ়ের মাঝামাঝি থেকে আমন রোপন শুরু হয়। কিন্ত অন্য বছরের মত আষাঢ় মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। মাঠঘাট এখন শুকিয়ে ঠনঠন করছে। এতে কৃষকেরা জমি প্রস্তত ও ধান রোপন করতে পারছেন না। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আশানুরুপ বৃষ্টি না হলে সেচের আওতায় এনে জমি রোপন করতে হবে। সেটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল অপরদিকে সব ক্ষেত সেচের আওতায় নেই। আমন ধান সাধারনত বৃষ্টির ধান। ফলে কৃষকদের মাঝে এ বছর চরম সংশয় দেখা দিয়েছে আমন রোপন নিয়ে। তাই কৃষকের দৃষ্টি এখন বৃষ্টির দিকে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে গেলে দেখা যায়, মাঠঘাটে কোন পানি নেই। প্রচন্ড রোদে মাঠঘাট শুকিয়ে গেছে। কেউ কেউ তাদের জমিগুলো চষে ফেলিয়ে রেখেছে। সে সমস্ত জমিগুলোর মাটি চৈত্র মাসের মত বড় বড় ডেলা ও ধুলার সৃষ্টি হয়েছে। আবার লাগানো ক্ষেতগুলো রোদে পুড়ে ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রয়োজন পানি ফলে কোন কোন লাগানো আমনক্ষেত স্যালোমেশিনে পানি সেচ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের দুলালমুন্দিয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে আমনের অগ্রিমক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। ক্ষেতের মাটিতে বড় বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। মাত্র ১২ কাঠা জমিতে সেচ দিচ্ছে ৫ ঘন্টা ধরে। কিন্ত এখনও ক্ষেতের অর্ধেকটাও ভেজানো সম্ভব হয়নি। মাঠঘাট শুকিয়ে চৌচির বলেই পানি সেচে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, এবছর তিনি ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করবেন। এরমধ্যে আগাম বৃষ্টিতে মাত্র ১২ কাঠা নিচু জমি রোপন করে বিপদে পড়েছেন। বাকি জমি পানি না হলে রোপন করতে পারছেন না।
একই গ্রামের কৃষক জিয়ারুল ইসলাম জানান,এ এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে কোন বৃষ্টি হয় না। অথচ এ সময়ে মাঠে পানি থৈ থৈ করার কথা। কিন্ত সেখানে মাঠে ধুলো উড়ছে। এদিকে আমনের বীজতলার ধানের চারার বয়স নিয়মের চেয়ে বয়স বেড়ে গেছে। শ্রাবন মাসে বৃষ্টি হলেও বীজতলার ওই চারা রোপন করলে ফলন বিপর্যয়ের ভয় পাচ্ছেন। আবার নতুন করে বীজতলা তৈরীরও সময় নেই। ফলে আমন চাষ নিয়ে এক ধরনের সংশয় কৃষকদের থেকেই যাচ্ছে।
দৌলতপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান,তাদের আশপাশের কমপক্ষে ১০/১৫ গ্রামের মাঠে কিছু আউশের ক্ষেত থাকলেও আমনের ক্ষেত নেই। তবে আউশ ধানক্ষেত যা আছে পানির অভাবে সেগুলো ভালো হয়নি। আর আশাপাশের গ্রামে এখনও কেউ আমন ধান রোপন করতে পারেননি। শুধু বৃষ্টির দিকে তারা তাকিয়ে আছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিসসূত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও জরিপ মতে,কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ২৯ হাজার ৫’শ ৬৩ টি অগভীর নলকুপ রয়েছে। আর গভীর নলকূপ আছে ৩’শ ৮৪ টি। ফলে এখনও সব জমি সেচের আওতায় আসেনি। অফিসসূত্রে আরও জানাগেছে, এ এলাকায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে সাধারনত পানির স্তর উপরের দিকে উঠে। কিন্ত এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর আষাঢ় শ্রাবন মাসেও অল্প হলেও নিচেই নেমেছে। তবে বৃষ্টি হলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মোহায়মেন আক্তার জানান, গত বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। ভরা আষাঢ়েও তেমন একটা বৃষ্টি হয়নি। তাই আমন রোপন বেশ খানিকটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আসলে প্রকৃতিতে কারও হাত নেই। তবে এখনও বৃষ্টি হলে আমন রোপনে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলে এই কৃষিবিদ মনে করেন।
বাগেরহাট যুবদল নেতার নি:শর্ত মুক্তির দাবি, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এক বিবৃতিতে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো: সুজন মোল্লার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে।
রবিবার বিকালে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি(দপ্তরের দায়িত্বে) কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, অবৈধ সরকারের দূর্ণীতিগ্রস্ত পুলিশ কতৃক মিথ্যা নাশকতা মামলায় সরকারের আজ্ঞাবহ ক্যাঙ্গারু কোট কতৃক জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করা প্রমান করে এ দেশ থেকে আইনের শাসন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো: সুজন মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বাগেরহাটে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জামাতের ৬ নেতা কারাগারে
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জামাতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের ৬জন নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেনন বিচারক মোঃ আছাদুল ইসলাম।
কারাগারে প্রেরিত নেতারা হলেন, বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দীন মোল্লা সুজন, বাগেরহাট সদর থানা জামাতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক তাজমুল ইসলাম, যাত্রাপুর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা ফেরদৌস, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা হাসান, রুবেল। এছাড়া অপর এক ব্যক্তির নাম জানাতে পারেনি কোর্ট পুলিশ ও আইনজীবিরা।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ জামাতের ৬ নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত আমাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক দিলীপ সরকার বলেন, নাশকতা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা এলাকায় নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে জামাতের ৫ নেতাকর্মীকে আটকসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে আত্মসমর্পণ করা নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।
বাগেরহাটে মাদরাসায় নিয়োগের শর্তে টাকা গ্রহন, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটে নিয়োগ প্রদানের শর্তে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগে খানপুর ইসলামীয়া আলিম মাদরাসার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। ঘুষ গ্রহন ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে লিখিত পরীক্ষার পরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শহিদ লতিফ। টাকা নেওয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তরফদারের প্রত্যাহার ও বিচার দাবি করেছেন নিয়োগ প্রত্যাশী ও স্থানীয়রা।
মাদরাসা সূত্রে জানাযায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল, অফিসসহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিসসহকারী, আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরীর পদ শূন্য ছিল। সম্প্রতি শূন্য থাকা ৫টি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি আহবান করে কর্তৃপক্ষ। ৫টি পদের বিপরীতে ৭২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সব প্রক্রিয়া শেষে শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে রামপাল উপজেলার শারাফপুর আলিয়া মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল। নিয়োগ প্রদানের শর্তে টাকা দেওয়া প্রার্থীদের অভিভাবকরা মাদরাসার সামনে জড় হয়। নিজেদের প্রার্থীদের চাকুরী পাওয়া নিয়ে শঙ্কা হওয়ায় হট্টগোল করেন তারা। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি জেলা প্রশাসন , উপজেলা প্রশাসন ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শহিদ লতিফকে জানান।
ষ্টাম্পে চুক্তি করে মাদরাসার সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তরফদারকে টাকা দেওয়া মোঃ মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমার ছেলে মীর মুকিত মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেনীর (নিরাপত্তা প্রহরী) নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল। মাদরাসার সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তরফদারের সাথে একশত টাকার ষ্টাম্পে চুক্তির মাধ্যমে দুই ধাপে তাকে এক লক্ষ টাকা প্রদান করি। কিন্তু নিয়োগের দিন দেখি আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তরফদার। গোয়ালের গরু বিক্রি করে এই টাকা দিয়েছি, চাকুরী না হলে আমরা কি খাব, এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই কৃষক।
শুধু মীর মুকিতই নয়, অন্তত ১৭ জন প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন অংকে টাকা নিয়েছেন সভাপতি এমন অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয় এটা সবাই জানে। কিন্তু এই মাদরাসার সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তরফদার ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিনের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় নিয়োগ স্থগিতের মত সমস্যা তৈরি হয়েছে।
খানপুর ইউনিয়নের ৭ নং (দক্ষিন খানপুর) ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ কামাল তরফদার বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার মাদরাসার নিয়োগ পরীক্ষা রামপাল উপজেলার মধ্যে নেওয়া হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় এই নিয়োগ পরীক্ষায় দূর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে। শুধু মীর মোশারফের ছেলে নয় আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সভাপতি। এর আগেও কয়েকজনের কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে টাকা নিয়েছে এই সভাপতি।
মাদরাসার সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তরফদার বলেন, শুধু একজনের কাছ থেকে চুক্তি করে টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকুরী না হলে আমরা টাকা ফেরত দিব। যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে এখন অপেক্ষা করতে হবে।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য আমরা সব ব্যবস্থা করে ছিলাম। এখানে আমার কোন অপরাধ বা অনিয়ম নেই। যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে, সে দায়ভার তার নিজের নিতে হবে। সে দায়ভার আমি নিব না।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শহিদ লতিফ বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ ওঠায় আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। টাকা গ্রহন ও অনিয়মের বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি, অধ্যক্ষ ও নিয়োগ প্রত্যাশীদের নোটিশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) উভয় পক্ষের শুনানীর মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহা পরিচালক বরাবর পাঠানো হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতি জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্প, বাঁধ নির্মানের দাবি
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
পাঁচদিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদের তীরে মাঝিডাঙ্গা এলাকায় গড়ে ওঠা খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা। জোয়ারের পানিতে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-যাপন। প্রতিদিন দুপুরে এবং মাঝ রাতে দুই বারের পানিতে ঘর-বাড়ি ভাসছে তাদের।পানিতে রান্না-বান্না বন্ধ রাখতে হচ্ছে অনেকের। বছরের আষাঢ়, শ্রাবন ও ভাদ্র তিন মাসই জোয়ারের পানির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাদের। চরমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসুস্থ্য, বয়স্ক ও শিশুদের। সমস্যা সমাধানের টেকসই বাঁধ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার ২৫০টি পরিবারা।
১৯৯৭ সালে তৈরি খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যারাকে ৬০টি ভূমিহীন পরিবার বসবাস করেন। এছাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্রের আশে পাশে আরও ২০০ পরিবার বসবাস করে। সবার একটাই দাবি স্থায়ী ও উচু বেরিবাঁধ স্থাপনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা।
আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা তোফাজ্জেল শেখ বলেন, নদের পাড় জুড়ে মাত্র ৫০০ মিটার বাঁধের অভাবে আশ্রয়ণ ও স্থানীয়দের প্রতিবছর জোয়ারে ডুবতে হয়। পানির স্রোতে ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি, সুপেয় পানিরও সংকট দেখা দেয় আমাদের এখানে।
১৭ বছর ধরে আশ্রয়নের ঘরে বাস করা দোকানী মোসা শেখ বলেন, প্রতিবছর-ই জোয়ারের পানিতে আমাদের ডুবতে হয়। বিশেষ করে আষাঢ়-শ্রাবন মাসে হাটু সমান পানি উঠে যায় সবজায়গায়। স্থানীয়রা মিলে যে বাঁধ দিই, তা পানির চাপ বাড়লেই ভেঙ্গে যায়। অনেকেই এসে দেখে, ছবি তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।
স্থানীয় সোহরাব হোসেন রতন বলেন, আমরা ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা চাই না। আমাদের বাচার জন্য টেকসই বেরিবাঁধ চাই। জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, অতি দ্রুত যেন একটি বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় ভ্যান চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পানি উঠে গেলে আমাদের কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই বসে থাকতে হয়। জানিনা কবে এই ভোগান্তির শেষ হবে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, প্লাবিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। জোয়ারের পানি বাড়লে রাস্তা টপকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ইতমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে রাস্তার বিষয়ে কথা বলেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বেড়িবাঁধের বিষয়ে কথা হয়ে হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের সময় সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মাঝিডাঙ্গা আশ্রয়ন ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মূলত বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানি সহজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। প্রকল্প অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ শুরু করব।
সাবেক হুইপ আশরাফ হোসেনের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
খুলনা ৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ এবং প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, শিক্ষানুরাগী, মোঃ আশরাফ হোসেন এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৮ জুলাই সোমবার মহেশ^রপাশা মুন্সিপাড়া দারোগাবাড়ী দারুস সালাম জামে মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বাদ মাগরিব এক দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম সিকদার, মোঃ মাজেদুল ইসলাম, শফিকুল আমিন লাভলু, মাওলানা আকবার হোসেন, সাইদুর রহমান সাইদ, আব্দুল কাদের সরদার, মোজাম্মেল হক প্রমুখ। অপরদিকে বাদ আছর মহেশ^রপাশা গোলকধাম মোড় দারুল মাকামা জামে মসজিদে সাবেক হুইপ ও শ্রমিক নেতা মোঃ আশরাফ হোসেন এর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আঃ জলিল হাওলাদার, সেলিম মাষ্টার, আলতাফ হোসেন, আকরাম হোসেন, আঃ সামাদ, মোড়ল জাহাঙ্গির, মোঃ ফারুক হোসেন প্রমুখ । দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আজিজুর রহমান। উল্লেখ্য, মোঃ আশরাফ হোসেন ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি জাতীয় সংসদে বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের দাবী আদায়ের লক্ষে ন্যায় সংগত কথা বলতেন। তিনি অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। তৎকালীন সময়ে শ্রমিকদের দাবী আদায়ের আন্দোলনে পেটুয়াবাহিনীর হাতে আটক হয়ে একাধিকবার কারাবরন করেন । তৎকালিন সময়ে সকল শ্রমিকরা জেলগেটে যেয়ে আন্দোলনের মুখে তাকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসে। তিনি হুইপ থাকাকালীন এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ মন্দির স্থাপন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অনুদান দিয়েছেন।
লোকালয় থেকে উদ্ধার হরিণটি বাঁচানো গেলনা
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা চিত্রল হরিণ উদ্ধারের ১৫ ঘণ্টা পর বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জুলাই সোমবার সকালে মারা গেছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের চিকিৎসক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, উদ্ধার করার সময় আতংকিত হয়ে হরিণটি দীর্ঘ সময় ছুটাছুটি করতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। হরিণটির শীরে অনেক জ্বর ছিল এবং বাম চোখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
বনসুরক্ষা বিষয়ক কমিটি সিপিজির টিম লিডার মো. শহিদুল ইসলাম সাচ্চু জানান, পথ ভুলে লোকালয়ে আসা হরিণটি রবিবার বিকেলে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের ঢালির ঘোপ এলাকায় সগির ঘরামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় এটি কিছুটা আহত হয়। উদ্ধারের পরেও চিকিৎসা দিয়ে হরিণটিকে বাঁচানো যায়নি।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সিপিজি, ভিটিআরটি ও বনবিভাগের সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া হরিণটিকে রেঞ্জ অফিসে এনে অবমুক্ত করার সময় অসুস্থ দেখা যায়। পরে উপজেলা ভেটেরিনারী চিকিৎসকের মাধ্যমে রাতভর চিকিৎসা দেয়া হলেও হরিণটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী হরিণটিকে রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন স্থানে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
নৌবাহিনী প্রধানের সাথে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাত
ঢাকা অফিস
সফররত ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান মনোজ পান্ডে সোমবার
নৌ সদর দপ্তরে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবালের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় নৌসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভারতীয় সেনাপ্রধান নৌসদরে এসে পৌঁছালে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক তাঁকে স্বাগত জানান।
সাক্ষাতকালে নৌবাহিনী প্রধান ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডের সাথে পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন এবং বাংলাদেশ সফরের জন্য তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। সৌজন্য সাক্ষাতকালে দুই দেশের সেনা ও নৌপ্রধান পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশি¬ষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কের কথা উলে¬খ করে এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। সফর শেষে ভারতীয় সেনাপ্রধান আগামী ২১ জুলাই ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির আত্মহত্যা
ফকিরহাট প্রতিনিধি ।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাগলা দেয়াপাড়া গ্রামে শেখ ইলিয়াজ আহম্মেদ (৬৫) নামের এক ব্যাক্তি কাঠাল গাছের ডালের সাথে গলাই রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আতা¥হত্যা করেছেন। মৃতের পরিবার জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি কাঠাল গাছের ডালের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন শেষে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তবে আত্মহত্যার কারন সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেনি। মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মু. আলীমুজ্জামান বলেন, ইলিয়াজ আহম্মেদ আত্মহত্যা ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত মামলা করা হয়েছে। সে পাগলা দেয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে। ##
কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমে বেঁড়িবাঁধ মেরামত হওয়ায় স্বস্তিতে বেদকাশির মানুষ
শাহজাহান কয়রা(খুলনা)
দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেনা কয়রার দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের মানুষের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে ইউনিয়টি। আবারও চোরামুখার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় ৫ গ্রামের অসহায় মানুষ। তবে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধটি বাধা সম্ভব সম্বব হওয়ায় স্বত্তির নিঃশ^াস ফেলল হাজার হাজার মানুষ। সোমবার ভোর থেকেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন ভাঙা ওই বাঁধের স্থানে। ততক্ষণে ভাটার টান পড়েছে কপোতাক্ষ নদে। ভোর ৬ টায় দূর-দূরান্ত থেকে কেউ হেঁটে, কেউবা নৌকা-ট্রলারে করে নিজ নিজ দায়িত্বে ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে বাঁধ বাঁধতে চলে এসেছেন। মাইক হাতে একজন আহ্বান জানালেন সবাইকে কাজে নেমে পড়ার জন্য। এরপরই শুরু হলো স্বেচ্ছাশ্রমে দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের কাজ। কেউ বস্তায় মাটি ভরছেন আবার কেউ মাটির ওই বস্তা নিয়ে ফেলছেন ভাঙা বাঁধের স্থানে। কেউবা ব্যস্ত বাঁধ ও খুঁটি পোঁতার কাজে। বসে ছিলেন না নারীরাও। ঘর্মাক্ত, ক্লান্ত মানুষকে পানি খাইয়ে, এটা ওটা এনে দিয়ে কাজ করছিলেন তাঁরাও। এভাবে প্রায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘন্ট টানা কাজ চলার পর জোয়ারের পানি আসার আগেই বাঁধ মেরামত করে ফেলতে সক্ষম হন এলাকাবাসী। এ কাজে যুক্ত হয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। দক্ষিণ বেদকাশির চরামুখা এলাকার ওই বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল গত রোববার ভোররাতে। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের ৩০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী ভাঙনে ঘর-বাড়ি, জমিজমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রাায় ১০ হাজার মানুষ। বাড়ি-ঘর হারিয়ে ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। ভেসে গেছে প্রায় তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। গত রোববার ওই বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও পারেননি এলাকাবাসী। এ কারণে সোমবার অধিক সংখ্যক মানুষকে নিয়ে কাজ শুরু করেন তাঁরা।
এলাকাবাসী বলেন, ভেঙে যাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব বাঁধ মেরামত করতে হয়। আর তা নাহলে একদিকে যেমন পানির তোড়ে ভাঙন এলাকা গভীর হতে থাকে, অন্যদিকে প্রতিদিনই জোয়ারের পানি প্লাবিত করে নতুন নতুন এলাকা। ভাঙন এলাকা একবার গভীর হয়ে গেলে সেখানে বাঁধ দেওয়া কঠিন। বাঁধ না ভাঙলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঘুম ভাঙে না উল্লেখ করে দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংঘের সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন, একবার বাঁধ ভাঙলে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড তলিয়ে যায়। অবকাঠামো নাজুক হয়ে পড়ে। বাঁধ ভাঙলে সংস্কার করা হয়, ভাঙার আগে বার বার বলা সত্ত্বেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের অন্তত ৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ বেদকাশি গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙনের কারণে আমার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথায় থাকব জানি না। রান্না করার কোন ব্যবস্থা নেই। বাঁধ না হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে কি করব ভেবে পাচ্ছি না। সে কারণে সবকিছু ফেলে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজে নেমেছি। ক্ষোভ ও হতাশা ভরা কন্ঠে তিনি বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মান না করা হলে আমাদের দুর্ভোগ কমবেনা। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম খান বলেন, পানিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের পাঁচ গ্রাম। ভেসে গেছে তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০ হাজার মানুষ। বাঁধ মেরামতে বস্তা ও বাঁশ-খুঁটি দিয়ে সহায়তা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মশিউল আবেদিন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমে মানুষ প্রাথমিকভাবে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে পেরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ও বাঁশ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। পানি আটকানোর পর মূল ক্লোজারে কাজ শুরু করা হবে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন যেন কয়রার মানুষের পিছু ছাড়ছে না। যখনই কয়রার মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঠিক তখন আবার কোন না কোন জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাঁধ বাধার কাজের ও পানিবন্ধি মানুষের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে। উপকূলীয় জনপদ কয়রা উপজেলার মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয় এ জন্য উদ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
একাডেমিক প্রধানদের সাথে উপাচার্যের মতবিনিময়
খুবিতে অনলাইন পদ্ধতিতে শুরু হচ্ছে স্টুডেন্ট ফিডব্যাক ও হলের সিট বরাদ্দ
খবর বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল আযহার ছুটির পর যথারীতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম রবিবার (১৭ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে। সকল ডিসিপ্লিনের সকল বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের ক্লাসও এদিন থেকে শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম অনলাইনে আগে থেকেই চালু রয়েছে। এবার শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে একাডেমিক ফিডব্যাক নেওয়া হবে অনলাইন পদ্ধতিতে এবং তা চলতি টার্ম থেকেই শুরু হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সিট বরাদ্দে কার্যকর হচ্ছে অনলাইন পদ্ধতি।
আজ ১৮ জুলাই (সোমবার) বেলা ১২টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঈদোত্তর এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনলাইনে এসব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সহযোগিতার আহ্বান জানান। উপাচার্য বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উদ্ভূত সংকটের কথা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে কয়েকটি খাতে ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা সভায় উল্লেখ করেন এবং যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান।
উপাচার্য ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ’র দৃশ্যমান অগ্রগতি হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এই অর্জনকে আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে উন্নীতকরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওবিই কারিকুলা প্রণয়নকাজ সম্পন্ন করাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বেশকিছু দিকনির্দেশনা দেন। তিনি আগামী ৩০ জুলাই থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিতব্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে প্রস্তুতি গ্রহণেরও পরামর্শ দেন।
সভায় ০১ থেকে ০৩ জুলাই বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের আয়োজনে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ওপর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ এবং উক্ত সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া সমাপনীর পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আয়োজিত সার্বিক অগ্রগতি উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে সময় প্রদান এবং ধৈর্য্য ধরে উপস্থাপনা অবহিত হওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি জরুরি বিষয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুমোদন ও সহযোগিতার যে আশ্বাস দেন, সেজন্যও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট ও বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
খুবি উপাচার্য সকাশে ভারতের আইইএন্ডইএস’র প্রতিনিধি দল
খবর বিজ্ঞপ্তি
১৮ জুলাই (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৪টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের ইনস্টিটিউট অব ইকোটক্সিকোলজি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (আইইএন্ডইএস) এর প্রতিনিধি দল।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ আইইএন্ডইএস ও বেডস্ এর যৌথ উদ্যোগে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগী পার্টনার হিসেবে ইকোটক্সিকোলজি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি উপাচার্যকে অবহিত করেন। এছাড়া ওই সম্মেলনের ভেন্যু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার বিষয়ে তাঁরা আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপাচার্য প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে জীববিজ্ঞান স্কুলের সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহ এবং রসায়ন ডিসিপ্লিনের সমন্বয়ে একটি সভার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও উল্লেখযোগ্য দিক নির্ধারণের পরামর্শ দেন। যাতে করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ এসময় উপাচার্যকে স্মারক উপহার প্রদান করেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও সুন্দরবনের ওপর তাঁর রচিত গ্রন্থের কপি প্রতিনিধি দলকে উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইইএন্ডইএস’র সেক্রেটারি ড. দেবব্রত মুখার্জি, এ্যাডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর অরূপ কুমার মিত্র ও আইইএন্ডইএস’র কোষাধ্যক্ষ মিসেস শ্রেয়সী রায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মহেশপুর সীমান্তে নারী,শিশুসহ ৩০ জন আটক
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মহেশপুর ভারতীয় সীমান্ত থেকে দালালসহ ৩০ নারী পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ব্যাটালিয়ন বিজিবির সদস্যরা।
সোমবার সকালে মহেশপুর ৫৮ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত যাদবপুর বিওপির টহল দল জেলার মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের পাকা রাস্তার উপর হতে (সীমান্ত মেইন পিলার ৪৮ হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে নয়জন পুরুষ, ১০ নারী ও ১১ শিশু রয়েছে।
তাদের বাড়ি যশোর, নড়াইল, ঢাকা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া যাতায়াতে সহয়তাকারী দালাল তৌফিক ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পাথরা গ্রামের মোশারফ তরফদারের ছেলে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয় অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোঃ তারেক জানান, আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে জেলার মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের ও শপর্দ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জে মহিলা অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে মহিলা ব্যাংককর্মি হাসপাতালে
সাবজাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে আসমা খাতুন (৪২) নামের এক ব্যাংক কর্মির স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে। তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার বেলা ১২ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডের কাঁঠাল বাগান রোডে। আসমা খাতুনের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ায়। তিনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের হরিণাকুন্ডু শাখায় চাকুরী করেন।
অসুস্থ আসমা বেগমের পারিবারিকসূত্রে জানাগেছে, আসমা সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে কালীগঞ্জ শাখায় আসেন। ব্যাংকের কাজ শেষ করে তিনি লিটন ফার্মেসীর সামনে আসলে ২ অজ্ঞাত মহিলা তার পিছু নিয়ে কাছে এসে গামছা দিয়ে মুখে আঘাত করে। এরপর তার স্মৃতি শক্তি এলোমেলো হয়ে পড়ে। এ সুযোগে তারা হাতের দুটি স্বর্ণের আংটি খুলে নিয়ে সটকে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে চেতনাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনও তিনি অসুস্থ থাকলেও স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে বিষয়টি ভুক্তভোগী নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
কালীগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, আসমা খাতুনকে চেতনানাশক জাতীয় কিছু নাকে ধরার পর তিনি চেতনা হারিয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি বেশ সুস্থ আছেন ।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্যা জানান, লোকমুখে তিনি এ ব্যাপারে শুনেছেন। এরপর থেকে প্রতারকচক্রকে ধরতে কাজ করছে পুলিশ।
কালীগঞ্জে পাগলের ধরিয়ে দেয়া আগুনে স’মিলের কাঠ পুড়ে ছাই
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পাগলের ধরিয়ে দেয়া আগুনে স’মিলের সব কাঠ পুড়ে ছাই। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মিদের চেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে পাশের মার্কেটের ইলেকট্রনিক্্র দ্রব্যাদির একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এদিকে আগুন নেভাতে অজ্ঞাত এক মহিলা দৌড়ে আসলে পাগলের লাঠির আঘাতে সে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কাঁঠাল বাগানের জাহাঙ্গীর হোসেনের স’মিলে।
আইমার ইলিকট্রনিক্সের মালিক এমদাদুল ইসলাম ইনতা জানান, তার দোকানের পেছনেই এ স’মিল। তাড়াতাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রনে না আসলে মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারতো।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শেখ মামুন অর রশিদ জানান, এক মানষিক প্রতিবন্ধি বন্ধ স’মিলের খড়কুটায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পাশের কাঠে ছড়িয়ে দাউ দাউ করে জ¦লতে থাকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
মহেশপুর থানা জেলার শ্রেষ্ঠ, ১০ কর্মকর্তা পুরস্কৃত
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি
মাদক উদ্ধার,সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টের আসামী আটকসহ বিভিন্ন কাজের জন্য জেলার শ্রেষ্ঠস্থান অধিকার করেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা। জেলা পুলিশের কল্যান সভায় ওসিসহ ১০ কর্মকর্তাকে করা হয়েছে পুরস্কৃত।
রোববার সন্ধায় মহেশপুর থানা চত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সেলিম মিয়া জানান, গত জুন মাসে ৪৬৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১১ কেজি ৫১০ গ্রাম গাজা,৩৯ পিচ ইয়াবা টেবলেট, ১৬ লিটার মদ উদ্ধার, ওয়ারেন্টের ৩০আসামী আটকসহ বিভিন্ন কাজের জন্য মহেশপুর থানা জেলার শ্রেষ্ঠস্থান অধিকার করেছে। সে কারনেই জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম পিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) আমাদেরকে পুরস্কৃত করেছেন।
মহেশপুর থানার পুরস্কার প্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সেলিম মিয়া,এস আই হায়াত আলী,আব্দুল জলিল,সুব্রত কুমার,হাফিজুর রহমান,এ এস আই সজল কুমার,নওশন আলী,মুফাজ্জেল হোসেন ও কনেষ্টোবল লিটন কুমার।
ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় বে-সরকারি উন্নয়ন সং¯’া রূপান্তরের অপরাজিতা প্রকলপের সহযোগিতায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে ইউপি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ হোসেন । ইউপি সচিব শ্রীদাম বালার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুবল কুমার ঘোষ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিখা রানী মন্ডল, ইউপি সদস্য মোঃ আবু বক্কার খান, দেবাশীষ মন্ডল, আসমা পারভীন, আরজিনা বেগম, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ আশিকুর রহমান শেখ, স্বা¯’্যকর্মী অমর মল্লিক, পুরোহিত ভক্ত প্রসাদ রায়, অপরাজিতা নারী শিমু আক্তার, আনসার দলনেতা মোঃ আব্দুল হক প্রমূখ।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে দাকোপে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
শামীম হোসেন- বাজুয়া (দাকোপ)
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে খুলনর দাকোপে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দীকা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রবীর রায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন সরদার, অধ্যক্ষ অসিম কুমার থান্দার, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্বাস মিয়া, দাকোপ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ শিপন ভূঁইয়া, উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামীম আরা হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সুরেশ কুমার রায়, উপজেলা সমবায় সহকারী পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার সরদার, জেলে প্রতিনিধি নরেশ রায়, তারক রায়, দেবাশিষ বিশ্বাস, উপজেলা মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা বিপুল রায়, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা বাদল কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ। সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান জানান, আগামী ২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ২৩ জুলাই মাইকিং, ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচার, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও মাছের পোনা অবমুক্ত, ২৪ জুলাই র্যালি. উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, ২৫ জুলাই প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্য চাষি ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময়, ২৬ জুলাই অবৈধ জালের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা, ২৭ জুলাই মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি এবং সাফল্য বিষয়ে প্রামাণ্য চিত্র, ২৮ জুলাই সিআইজি চাষি সুফলভোগীদের মাঝে মৎস্য চাষের বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ ও দেশীয় মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ২৯ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা
তথ্য বিবরনী
বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু।
সভায় আগামী ২ আগস্ট আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঐদিন সকালে খুলনা জেলার পাইকগাছায় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মস্থান পরিদর্শন, তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, পিসি রায়ের জীবন ও কর্মেরর ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রস্তুতি সভায় পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দুরকানীতে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতাঃ
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলাম বাবুলের রূহের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ইন্দুরকানী প্রেস ক্লাব হলরুমে প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি এইচ. এম. ফারুক হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও দৈনিক ইনকিলাব সংবাদদাতা মোঃ মনিরুজ্জামান খান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক এনাম। বক্তাব্য রাখেন ক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর কবির মান্নু, সাংবাদিক গাজী আবুল কালাম, মোঃ ইকরামুল শিকদার, মোঃ মারুফুল ইসলাম, কে.এম. শামীম রেজা, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বাবু, মোঃ আলতাফ হোসাইন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইন্দুরকানী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মুহিব, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইমাম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাযাত পরিচালনা করেন মোঃ কাওছার ইসলাম আনসারী।
ডুমুরিয়ায় আওয়ামী কৃষক লীগের ত্রি-বাষিক সন্মেলন
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় আওয়ামী কৃষক লীগের আয়োজনে ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে অরিন্দম মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ জাহাবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। সন্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক অধ্যাপক এ এইচ এম আমিনুল ইসলাম খান এবং উদ্বোধক ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল। সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, কেন্দ্রীয় নেত্রী মোসাঃ হালিমা রহমান ও নুরুল ইসলাম বাদশা। এছাড়া সন্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিকুজ্জামান অশোক। উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব অরিন্দম মল্লিকের সঞ্চলনায় আরও বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেচূর রহমান বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা অজয় সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষক লীগ নেতা খান খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাষক জিএম ফারুক হোসেন, কাজী আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগের শেখ মাসুদ রানা প্রমুখ। এছাড়াও সন্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপ¯ি’ত ছিলেন। পরে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে সন্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কাউন্সিলার ও ডেলিগেটেড সদস্যদের সরাসরি মতামতের ভিত্তিতে কৃষক লীগ নেতা অরিন্দম মল্লিককে সভাপতি ও শেখ জাহাবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন শেষ হয়।
আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। খুলনা-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে। সে লক্ষে আমাদের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। সেই সাথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ১৬ ও ২৬ সদর থানার ২৪ ও ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও কর্মী সভা সফল করার লক্ষে ৪টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সভায় বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মা সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ, ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল সরদার বাদল, ১৬নং ওয়ার্র্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ৩১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজম খান।
সভায় আগামী ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সোনাডাঙ্গা থানার ১৬নং ওয়ার্ড ও ২৩ জুলাই শনিবার ২৬নং ওয়ার্ড এবং ২২ জুলাই শুক্রবার ৩১নং ওয়ার্ড ও ২৪ জুলাই রবিবার ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিত ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উক্ত সভাগুলোতে খুলনা-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র জননেতা সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বুস্টার ডোজ দিবস আজ
ঢাকা অফিস
করোনা সংক্রমণ রোধে আজ দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে আগামীকাল দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এই ৭৫ লাখ টিকা বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই দিন ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হলে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা ব্যবহার হবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ প্রদর্শন সাপেক্ষে (কোভিড-১৯ টিকার কার্ড বা সনদ) নিকটবর্তী টিকাদান কেন্দ্র বা দেশের যেকোনো কোডিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহীতা এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সব টিকাদান কেন্দ্রে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদানের শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে। সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ ১৬টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ১১টি কেন্দ্রে ৪টি টিম কাজ করবে। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১০টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ৪টি কেন্দ্রে ৪টি করে টিম কাজ করবে।
একটি টিমে ২ জন টিকাদানকারী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। প্রতিটি টিম ৫০০ জনকে টিকা প্রদান করবে। বুস্টার ডোজ দিবসের ফ্যাসিলিটিতে কেন্দ্রে নারীদের পর্দাঘেরা স্থানে পৃথকভাবে এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
এছাড়াও এদিন নিয়মিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ১ম ও ২য় ডোজের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বুস্টার ডোজ কার্যক্রম ১ দিন পরিচালনা করতে হবে।
সমুদ্রে উৎপাদন বেড়েছে ইলিশসহ সব মাছের
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
সরকারের নানা পদক্ষেপ- প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা রক্ষাসহ সুন্দর ব্যবস্থাপনায় সমুদ্রে বেড়েছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন। গত অর্থবছরের তুলনায় এবছরে ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ। রাজস্ব পাওয়া গেছে গতবছরের চেয়ে কোটি টাকা বেশি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রর ব্যবস্থাপক মির রাশেদুল ইসলাম জানান, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫২ দশমিক ৫৬ টন ইলিশ ও ১ হাজার ৫৮১ দশমিক ৩৬ টন সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হয়েছে। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৫ দশমিক ৯৩ টন ইলিশ ও ২ হাজার ৩২৪ দশমিক ২১ টন সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হয়েছে অবতরণ কেন্দ্রটিতে। বিক্রি হওয়া মাছের মূল্য থেকে শতকরা ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে রাজস্ব আদায় করায় ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ছিলো ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৬ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯২ হাজার ৩২৯ টাকা। হিসেব মতে এক বছরের ব্যবধানে বিক্রির উদ্দেশ্যে সমুদ্র ও নদী থেকে শুধু এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১ হাজার ৩২ দশমিক ৩৭ টন ইলিশ বেশি এসেছে গত অর্থ বছরের থেকে।
বাংলাদেশের মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত বছরগুলোর তুলনায় বড় ইলিশ এসেছে অবতরণ কেন্দ্রটিতে।নিষেধাজ্ঞার বাইরে যতটুকু সময় পাওয়া যায় তাতে সমুদ্রে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় না জেলেদের। ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে আসতে পারে জেলেরা। আর সে ইলিশের ৮০ শতাংশই বড় সাইজের।
মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র মতে, জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন এবং উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য স¤পদের কাংখিত উন্নয়নে ‘বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস করা হবে। এ ছাড়া ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এ স¤পদের উন্নয়ন টেকসই করার লক্ষে ইলিশ স¤পদ উন্নয়ন ও ব্যস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর।
পাথরঘাটার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, এখন প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সঠিকভাবে ডিম ছাড়তে পারে। ডিম থেকে জাটকায় রূপান্তরিত ইলিশকে রক্ষায় পালন করা হয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রক্ষা করা হয় জাটকা। জাটকা রক্ষা পাওয়ায় আজ ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এছাড়াও ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে দেয়া নিষেধাজ্ঞায় বাড়ে সব ধরনের মাছ। আগামী কয়েক বছরে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন আরও কয়েকগুন বাড়বে বলেও দাবি করেন তিনি।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, জাটকা ও ইলিশ রক্ষায় সর্বসাধারণকে স¤পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশের জেলেরা সরকারের দেয়া আইন মেনে চলছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা ও প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ, অভয়াশ্রম, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন, সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ, বিশেষ কম্বিং অপারেশনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে সরকারের। প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ এবং জাটকা ধরা নিষিদ্ধ সময়ে উপকূলীয় জেলেদের জন্য ভিজিএফের আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ২০০৮-০৯ অর্থ বছরের ২ দশমিক ৯৯ লাখ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি আহরিত হয় এ দেশের সাগর, নদ-নদী থেকে।
পিরোজপুরে ১ বছরে দেড় লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি ডিজিটাল সেবা পেয়েছে
পিরোজপুর প্রতিনিধি
জেলায় গত অর্থ বছরে দেড় লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন ধরনের সরাসরি ডিজিটাল সেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছে।
পিরোজপুর জেলার ৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্স এ অবস্থিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও ৪টি পৌরসভার পৌর ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত ১১৪ জন উদ্যোক্তা ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এ সেবা প্রদান করেছে। এ সময় এ উদ্যোক্তরা সেবা প্রদান করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উপার্জন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছে।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সমূহে সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৫৯ জনকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়েছে। এ সময় তারা ৪২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৮ টাকা আয় করেছে। বিদ্যমান সেবা গুলোর মধ্যে রয়েছে নাগরিক সনদ, জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, সরকারি ফরম ডাউনলোড, জমির পর্চার আবেদন, সব ধরনের নাগরিক আবেদন, জীবন বীমা, টেলি মেডিসিন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, পাবলিক পরীক্ষার ফল জানা, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, পাসপোর্টের আবেদন, ভিসা ভেরিফিকেশন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ, পানি পরীক্ষা, আর্সেনিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি ডকুমেন্ট প্রণয়ন, সরকারি বিভিন্ন প্রচারণা কাজে লজিষ্টিক সার্পোট, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ই-মেইল, ইন্টারন্টে ব্রাউজিং, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি দেখা ও অনলাইনে চাকুরির আবেদনসহ প্রায় শত ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইসিটি শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পল্লী অঞ্চলের নারী-পুরুষ দোরগোড়ায় এ ডিজিটাল সেবা পেয়ে যথেষ্ট উপকৃত হচ্ছে। যার কারণে প্রতি বছরই সেবা গ্রহিতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু, ৩ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের নামে মামলা
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় পুলিশি নির্যাতনে আবদুস সালাম নামে একজন পরিবহণ শ্রমিক নিহতের অভিযোগে জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামালসহ ৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নিহত আবদুস সালামের স্ত্রী যমুনা বেগম মাগুরার শ্রীপুর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- ওই পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জসিম, এএসআই ভবেন, পুলিশ ভ্যানচালক নাজমুল এবং শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রামের বাসিন্দা বাসযাত্রী রাশেদুল ইসলাম।
শনিবার বিকালে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ড টিকিট কাউন্টারে পরিবহণ শ্রমিকদের দ্বারা হয়রানি ও লাঞ্ছিত হয়ে পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রামের রাশেদুল নামে এক যাত্রী। এ ঘটনার পর স্থানীয় নাকোল ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিকিট কাউন্টারের শ্রমিক আবদুস সালামকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়।
মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বাণীব্রত কুণ্ডু জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে বাদীর অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার রাতেই নাকোল ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামালকে ক্লোজ করা হয়েছে।
নড়াইলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনা: বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনা রোধে বিবাদী ব্যক্তিদের অবহেলার বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ৪ জুলাই আইন ও সালিশকেন্দ্রের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি অনুসন্ধান করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না, অনীক আর হক ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আইনজীবী অনীক আর হক গণমাধ্যমকে বলেন, স্বপন কুমার বিশ্বাসকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং তিনিসহ তার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর আগামী ১৭ অক্টোবর বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। রুলে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে ‘জনতার বিচার’ বন্ধে এবং লাঞ্ছনার শিকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বিবাদী ব্যক্তিদের ব্যর্থতা-নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নড়াইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিবাদী ব্যক্তিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ফেসবুকে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবিসহ নড়াইল সদরের এক কলেজছাত্রের পোস্ট কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনায় পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুন কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়৷
অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের ‘পক্ষ নিয়েছেন’ এমন রটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
জেকেজির আরিফ-সাবরিনার মামলার রায় আজ
ঢাকা অফিস
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঘোষণা করা হবে।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
গত ২০ এপ্রিল একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়।
একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
১১ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
ঢাকা অফিস
দেশের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার রাতে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে উত্তর-উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগররপর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ৬৪ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১ মিলিমিটার আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সেই নবজাতকের নাম ‘ফাতেমা’, শর্তে দেওয়া হবে দত্তক
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া শিশুটি ভালো আছে। শর্তের ভিত্তিতে শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে তার পরিবার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতক অন্য মায়ের দুধ পান করছে। নবজাতকের বড় বোন তার নাম রেখেছে ‘ফাতেমা’। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার ইউএনও নিহতদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
জন্মেই অনাথ সেই শিশুর আপন বলতে বেঁচে আছে আট বছর বয়সী বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ও পাঁচ বছরের ভাই ইবাদত। সোমবার দুপুরে জান্নাতুল সমকালকে জানায়, বোন হবে জেনেই নাম ‘ফাতেমা’ ঠিক করে রেখেছিল সে। তবে শিশুর দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, তারা এখনও নাম চূড়ান্ত করেননি। এছাড়া যে ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে, তার মালিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নাম প্রস্তাব করেছেন।
দত্তক নিতে হলে দায়িত্ব নিতে হবে পরিবারের: নবজাতককে দত্তক নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকেই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। গত রোববার রাত পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে সোমবার শিশুটির দাদা আত্মীয়দের নিয়ে আলোচনায় বসেন। পরে জানান, নবজাতককে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন।
শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার দুই ছেলেই সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন। গত শনিবার নিহত হওয়া জাহাঙ্গীর তার দেখাশোনা করলেও তিন সন্তান রেখে তিনিও নিহত হলেন। এখন তারা অথৈ সাগরে পড়েছেন। শিশুটিকে তাদের পক্ষে লালন-পালন সম্ভব নয়। এ কারণে তারা দুইজনসহ জাহাঙ্গীরের রেখে যাওয়া আরও দুই সন্তানের ভরণপোষণের খরচ যিনি মেটাতে পারবেন, এমন লোকের হাতেই তারা শিশুটিকে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বোন জান্নাতুল জানায়, সে তার বোনকে ভালো মানুষের কাছে দিতে চায়। মা-বাবার জন্য কিছুক্ষণ পরপর জান্নাতুল কাঁদলেও শিশু ইবাদতের তা বোঝার সাধ্য নেই। সোমবার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবার কবরের আশপাশ ঘুরে মোবাইলে কার্টুন দেখছে ইবাদত। তাকে এভাবেই ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে।
হাইকোর্টে রিট: ‘ফাতেমা’র জীবনযাপনের খরচ সারাজীবন রাষ্ট্র বহন করবে- এমন নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন এ রিট করেন। রিটে শিশুটি এবং দুর্ঘটনায় নিহত তার বাবা-মা ও বোনকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও যুক্ত করা হয়েছে। রিটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্নিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
ফাতেমা ও তার দুই ভাইবোনের সহায়তার জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ হিসাব খোলা হয়। হিসাবের শিরোনাম- রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অন্য দুই সন্তানের সহায়তার হিসাব। নম্বর- ৩৩২৪১০১০২৮৭২৮, সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখা। হিসাব পরিচালনা করবেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবজাতকের দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান পরিবারের খোঁজ নিতে যান। এ সময় তিনি তাদের হাতে ব্যাংক হিসাবের চেক বইসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা তুলে দেন।
আজ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং
ঢাকা অফিস
বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। একই সঙ্গে সাময়িক লোডশেডিংয়ের সময় সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক সভার পর প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে সাময়িক সময়ের জন্য এই লোডশেডিং হবে। আগেই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ তবে লোডশেডিং কোথাও টানা দুই ঘণ্টা করা হবে না। দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধা ঘণ্টা করে সব মিলিয়ে দুই ঘণ্টা করা হতে পারে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনা যায় কি না, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।’ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এক কর্মকর্তা জানান, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ডিজেলচালিতগুলো বন্ধ রাখা হলেও ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনে চালু রাখা হবে।
এদিকে বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানিও বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি আসলে জ্বালানির সংকট নয়, সংকট যাতে তৈরি না হয় সেজন্য আগেই সাশ্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
করোনায় মৃত্যু ৭ জনের, শনাক্ত ১০৭২
ঢাকা অফিস
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭২ জনের। এতে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ২৪১ জনে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ১০ হাজার ৯০২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলে পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৯৭৪টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না: সিইসি
ঢাকা অফিস
বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসতে চাইছে না। তারা অংশ নেবে না বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিদিনেই পত্র-পত্রিকায় পড়ছি-দেখছি, বিএনপি ও সমমনা আরও কয়েকটি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের নিজস্ব কিছু প্রোগ্রাম আছে। নির্বাচনকালীন সরকার একটি বিশিষ্ট সরকার থাকতে হবে। সেরকম পরিবর্তন হলে তারা নির্বাচনে আসবে। এটা একটা অস্থিরতা ও সংশয়ের সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং আমরা মনে করি বিএনপি যদি এই নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে আমাদের যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের উদ্দেশ্য সেটা সফল হবে না।
সিইসি বলেন, নির্বাচন হয়তো আমরা করব। তবে বিএনপি যেভাবে নির্বাচন করতে চাইছে, সেটা অন্যান্য দল বিশেষ করে শাসক দলের সঙ্গে বসে সুরাহা করতে পারে, একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে। তাহলে সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে বাধা নেই।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখনো একটা সংশয়-দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি যে, আল্টিমেটলি বিএনপি কী নির্বাচনে আসছে? না ওই অবস্থাটি সরকার ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে হয়তো একটি অবস্থান সৃষ্টি করবেন। তারপর একটি নির্বাচন হবে। সেটা যাই হোক-তা এখনো অনিশ্চিত।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে আহ্বান করছি। আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি তারা যেন নির্বাচনে আসে। যেকোন উপায়ে আমাদের এই নির্বাচনে আসে। তাদের রাজনৈতিক কৌশল যদি ভিন্ন হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তার পক্ষে-বিপক্ষে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। রাজনৈতিক দলের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে। তারা তাদের প্রজ্ঞা অনুযায়ী যেকোনো কৌশল বা কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।
খেলাপিদের জন্য বিশাল ছাড়
ঢাকা অফিস
গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি মার্চে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এবার সেটাও নিয়মিত করার বিশাল সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (১৮ জুলাই) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলার অনুযায়ী খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে। আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।
এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ৫ থেকে ৮ বছরে। আগে সময় দেওয়া হতো সর্বোচ্চ দুই বছর। এমনকি এখন নতুন করে ঋণও নিতে পারবেন খেলাপিরা।
সার্কুলার অনুযায়ী পর পর চারবার ঋণ খেলাপি হলেও ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। অর্থাৎ ১৮ বছর ঋণের সব টাকা ফেরত না দিলেও গ্রাহকের আইনি সমস্যা হবে না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব, বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন নীতিমালা জারি হয়েছে। এছাড়া, শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থও দেখা হয়েছে এখানে।
ব্যাংকগুলোকে এই সার্কুলারের আলোকে নিজস্ব নীতিমালা করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও বলা হয়েছে, যে সব গ্রাহক আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছে অথবা গৃহীত ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ আদায়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এরূপ ক্ষেত্রে যাতে নিয়মমাফিক পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনঃ পুনঃ পুনঃতফসিল পরিহার করা যায় সে লক্ষ্যে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এও বলেছে, ঋণগ্রহীতা কর্তৃক তহবিল অন্যত্র স্থানান্তর কিংবা তিনি একজন ‘অভ্যাসগত ঋণখেলাপি’ হলে তার পুনঃতফসিলিকরণের আবেদনপত্র বিবেচনাযোগ্য হবে না। তার ঋণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ সর্বোচ্চ ৩ বার পুনঃতফসিলযোগ্য হবে। তবে, খেলাপি ঋণ আদায়ের স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় ৪র্থ বার পুনঃতফসিল করা যাবে।
সার্কুলারে আরও যা আছে: # মেয়াদি ঋণ ১০০ কোটি টাকার কম হলে গ্রেস পিরিয়ডসহ ৬ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
# ১০০ কোটি ও তদূর্ধ্ব, কিন্তু ৫০০ কোটি টাকার কম হলে ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
# ৫০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব হলে ৮ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এছাড়া চলমান ও তলবি ঋণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে ৫ বছর বাড়ানো যাবে।
#৫০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩০০ কোটি টাকার কম হলে ৬ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
#৩০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব হলে ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
#কোনও গ্রাহকের ঋণ হিসাব ২য় পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ ৭ বছর হলে ৩য় পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৬ বছর। ৪র্থ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৫ বছর।
#কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রথমবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং ২য় ও পরবর্তী প্রতিবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ২ বছর ৬ মাস।
#ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস হবে। তবে, গ্রাহকের ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর নির্ধারণ করা যাবে।
#পুনঃতফসিলের সর্বোচ্চ মেয়াদকাল সব ঋণগ্রহীতার জন্য সমহারে প্রযোজ্য হবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতার ক্ষতির পরিমাণকে যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিলের মেয়াদকাল নির্ধারণ করতে হবে।
#মেয়াদকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পর্ষদ/নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপিত স্মারকে এবং সভার কার্যবিবরণীতে সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।
#নিয়মিত (অশ্রেণিকৃত: স্ট্যান্ডার্ড বা এসএমএ) মেয়াদি ঋণ (চলমান, তলবি বা অন্য কোনও প্রকার ঋণ রূপান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট নয়)-এর বিদ্যমান অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মেয়াদ বর্ধিত করে ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। কোনও ঋণ হিসাবকে ঋণের মেয়াদের মধ্যে শুধু একবার এরূপ পুনর্গঠন সুবিধা দেওয়া যাবে।
# কোনও প্রকার ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ ছাড়া মেয়াদি ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। ঋণ পুনর্গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ/নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
#তলবি ঋণ, চলমান ঋণ বা মেয়াদি ঋণ বিভিন্ন প্রকৃতির হওয়ায় এ জাতীয় ঋণগুলোকে একত্রিত করে একক ঋণ হিসেবে পুনঃতফসিল করা যাবে না। তবে, একই প্রকৃতির একাধিক ঋণ হিসাবকে (পুনঃতফসিলের ক্রম একই হওয়া সাপেক্ষে) একত্রিত করে একক ঋণ হিসেবে পুনঃতফসিল করা যাবে।
# শ্রেণিকৃত কোনও ঋণে সার্কুলার জারির আগে ৪ বা ততোধিকবার পুনঃতফসিলকৃত হলে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ হিসাবটি সর্বশেষ একবার পুনঃতফসিল করা যাবে, যা ৪র্থ বার হিসেবেই গণ্য হবে।
#৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত এরূপ পুনঃতফসিলিকরণের সুযোগ থাকবে। ৪র্থ বার পুনঃতফসিলিকরণের পরও কোনও ঋণ খেলাপি হলে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাংক আবশ্যিকভাবে অর্থ ঋণ আদালত, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, সালিশি, দেউলিয়া আদালত কিংবা অনুরূপ কোনও আদালতে মামলা দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
#শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ছাড়া কিংবা পুনঃতফসিলিকরণের যে কোনও পর্যায়ে বর্ণিত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কোনও বাধা নেই।
#জাল-জালিয়াতি বা অন্য কোনও প্রতারণার মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে এ সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধা প্রদান করা যাবে না।
#কোনও ঋণগ্রহীতা প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট নগদে দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের আবেদন করলে ব্যাংক আবশ্যিকভাবে আবেদনপত্র গ্রহণের ৩ মাস সময়ের মধ্যে তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেবে।
# কোনও গ্রাহক কর্তৃক চেক, পে অর্ডার বা অন্য কোনও ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে প্রদান করা হলে ব্যাংক ওই ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট নগদায়নের পর পুনঃতফসিলিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
#পুনঃতফসিলিকরণের উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতা কর্তৃক ব্যাংককে আগাম অবহিত করা সাপেক্ষে অব্যবহিত ৯০ দিন পর্যন্ত জমাকৃত একীভূত অর্থ ডাউন পেমেন্ট গণ্য করা যাবে।
#বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, প্রতিটি পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি লিখিতভাবে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের যথার্থতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন করবে।
#ব্যাংকের তারল্য অবস্থা এবং অন্যান্য গ্রাহকের ঋণ প্রাপ্যতার ওপর পুনঃতফসিলিকরণের প্রভাব সম্পর্কেও ওই প্রত্যয়নপত্রে ব্যাখ্যা থাকতে হবে।
নড়াইলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর-মন্দির পরিদর্শন করলেন জাফরুল্লাহ-সাকি
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ প্রমুখ নেতা। রবিবার (১৭ জুলাই) বিকালে তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু,বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, উপ সদস্য সচিব সাফায়েত কামাল দিব্য, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এস এম শহিদ বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা হাকিম, অ্যাডভোকেট মুকিত প্রমুখ।
তারা স্থানীয় দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বনিরুল ইসলাম বনি, সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম নয়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া গোবিন্দ সাহার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা সহযোগিতা করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
পরিদর্শনকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কোনও স্বজ্জন মুসলমান, সঠিক মুসলমান কারও বাড়িতে আগুন দিতে পারেন না। মুসলমান নাম থাকলেই তিনি মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহর বান্দা হয় না। মুসলমান যদি স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। আজকে শুধু সংখ্যালঘু নামের কারণে দরিদ্র মানুষের ওপর অত্যাচার চলছে। আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তবে ভারতের হিন্দুত্ববাদী মনোভাব এ ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছে। এ হামলা ও ভাঙচুরের নিন্দা জানাই।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। রামু, সুনামগঞ্জে, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়,রংপুর সব জায়গায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা একই সুতায় গাঁথা।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘এ সরকারের আমলে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। এর কোনও সঠিক তদন্ত হয় না। সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহা পাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কথিত কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে সাহা পাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ ৫-৬টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরায় জোড়া খুন: প্রধান আসামিসহ ২ জন গ্রেফতার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে দুই জন নিহতের ঘটনার মামলার প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন র্যাব-৬ এর সদস্যরা। র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ লাল্টু (৫২) ও বাবলু গাজী (৪২)।
এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে র্যাব-৬ জানায়, রবিবার র্যাব-৬ এর একটি অভিযানিক দল গোপন খবরে জানতে পারে, আসামিরা যশোরের মনিরামপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। অভিযানিক দলটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝাপা ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় হত্যায় সরাসরি জড়িত লাল্টু বাহিনীর প্রধান মামলার এক নম্বর আসামি ও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা লাল্টু ও আরেক আসামি বাবলুকে গ্রেফতার করে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
গত ৮ জুলাই বিকালে শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভা চলছিল। এ সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু ও তার প্রধান সহযোগী আজগার আলী বুলুর নেতৃত্বে ১১০ জনের একটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা বাধা দিলে তাদের কুপিয়ে জখম করে। এরপর কার্যালয় ভাঙচুর করে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় ১৮-২০ জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত আমির হোসেন গাজী (২৮) মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল কাদের (৫০) মারা যান।
এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় ৭৩ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এর আগে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভেসে গেছে সাড়ে ৮ কোটি টাকার মাছ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে স্রোতে ভেসে গেছে পাঁচ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের ও কাঁকড়ার খামার। এতে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ওই এলাকার মাছচাষি ও কাঁকড়া খামারিদের।
বাঁধ ভাঙার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও রবিবার (১৭ জুলাই) পর্যন্ত বাঁধ মেরামত করা যায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি বাঁধ মেরামত করা সম্ভব না হয় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এর আগে শুক্রবার সকালে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বুড়িগোয়ালিনীতে ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের অধিক মাছের ঘের ও কাঁকড়া খামার। এসব ঘের ও খামারে চিংড়ি, কাঁকড়া, সাদা মাছসহ মাছের পোনা চাষ হয়। সবমিলিয়ে সাড়ে আট কোটি টাকার মাছ ও কাঁকড়া পানিতে ভেসে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত শেষ হলে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসক আশ্বাস্ত করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
জ্বালানি সংকট: আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বিশ্ব পরিস্থিতি
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী চলমান জ্বালানি সংকটে হু হু করে বাড়ছে তেল-গ্যাসের দাম, যার প্রভাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহে। তবে এই সংকটের এখানেই শেষ নয়। অদূর ভবিষ্যতে বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) প্রধান। খবর ব্লুমবার্গের।
গত সপ্তাহে সিডনিতে একটি বৈশ্বিক জ্বালানি সম্মেলনে অংশ নিয়ে আইইএ’র নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেছেন, গভীরতা ও জটিলতার দিক থেকে এত বড় জ্বালানি সংকট এর আগে দেখেনি বিশ্ব। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়তো এখনো আসেনি। এটি সারা বিশ্বকেই ভোগাচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে টালমাটাল বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা। ওই সময় বিশ্বের বৃহত্তম তেল-গ্যাস রপ্তানিকারক ও নিত্যপণ্যের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া।
বিরল বলেন, মূল্যবৃদ্ধির ফলে গ্যাসের ট্যাংক ভরা, ঘরবাড়ি গরম রাখা ও শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহের খরচ সারা বিশ্বেই বাড়ছে, যা মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং এর ফলে আফ্রিকা থেকে শ্রীলঙ্কায় প্রাণঘাতী বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।
আইইএ প্রধান আরও বলেন, ১৯৭০-এর দশকের তেল সংকট যেমন জ্বালানি সক্ষমতা ও পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়াতে প্ররোচিত করেছিল, তেমনি এবার হয়তো পরিশুদ্ধ জ্বালানিতে স্থানান্তরে আরও দ্রুত সরকারি নীতি গ্রহণ দেখতে পারে বিশ্ব।
তিনি বলেন, ইউরোপে এবারের শীতকাল খুব, খুব কঠিন হবে। এটি একটি বড় উদ্বেগ, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
একই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি খাতের বিশৃঙ্খলায় জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী পরিশুদ্ধ জ্বালানির জন্য আমাদের পদক্ষেপ হতে পারে সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তি পরিকল্পনা। আমরা শুদ্ধ জ্বালানি চাই এবং তা দরকার।
তিনি বলেন, এক প্রভাবশালী জ্বালানি সরবরাহকারী- রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পরিশুদ্ধ জ্বালানিতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে দেশগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। গ্রানহোম বলেন, চীন অনেক প্রযুক্তি ও সাপ্লাই চেইন নিয়ে কাজ করছে। আমরা যদি নিজস্ব সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি না করি তাহলে সেটি আমাদের দুর্বল করে দিতে পারে।
আইইএর তথ্যমতে, সৌরবিদ্যুতে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার শতকরা ৮০ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে চীন। ২০২৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৫ শতাংশ। এছাড়া লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি খাতে বেশিরভাগ আধিপত্য চীনের, বায়ু টারবাইনের অন্যতম প্রধান উৎপাদক তারা এবং খুব শিগগির পরিশুদ্ধ হাইড্রোজেন প্রযুক্তি সক্ষমতা তৈরিতেও কাজ করছে দেশটি।
ইউনির্ভাসিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক মার্টিন গ্রিন মনে করেন, চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানি যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ এবং উচ্চ-কার্বন শক্তি দিয়ে তৈরি পণ্য আমদানিতে ইউরোপের ট্যাক্সসহ বিভিন্ন বিষয় ভারতের মতো উৎপাদকদের জন্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার সুযোগ করে দিয়েছে।
ফোরামে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বলেন, টেকসই পরিশুদ্ধ জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে পরবর্তী সংকটের ধাক্কা থেকে রক্ষা করতে পারি। তবে তার জন্য আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই।
১০ মাস পর বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি, তিন দিনে এলো ৭১২ টন
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
দেশে চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতি রুখতে আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন দিনে এ বন্দর দিয়ে ৭১২ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল হোসাইন, মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দিন ইসলাম।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জাগো নিউজকে বলেন, দেশে উৎপাদিত চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করেছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন জায়গায় বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বেড়ে গেছে চালের দাম। এছাড়াও খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কাও বাড়ছিল। এতে সরবরাহ স্বাভাবিক ও বাজারের ঊর্ধ্বগতি রুখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে ৩০ জুন দেশের ৯৫ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
আমিনুল হক আরও বলেন, আমদানির চালের মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন সেদ্ধ চাল ও ৩০ হাজার টন আতপ চাল রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চালের এলসি খোলা সম্পন্ন ও ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানির চাল দেশে বাজারজাত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
চাল খালাসে নিয়োজিত বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সেজুতি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি তুফান জাগো নিউজকে বলেন, চালের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢোকার আগে ভারতের বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ে ২০ থেকে ২৫ দিন সিরিয়ালে আটকা ছিল। এখনো অনেক চালবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে আটকা পড়ে আছে। পচনশীল ও জরুরি খাদ্য পণ্য হিসেবে এসব ট্রাক আগে প্রবেশের নির্দেশ থাকলেও ভারতীয় পার্কিং কর্তৃপক্ষ সিরিয়াল ছাড়া এসব ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। যদি চালের ট্রাক বন্দরে দ্রুত প্রবেশের অনুমতি দেয় তবে দেশের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তিন দিনে ৭১২ টন চাল আমদানি হয়েছে। তবে দিন ইসলাম নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) আনা ১০৫ টন চাল খালাসের জন্য আজ সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র দাখিল করেছে। অন্য আমদানিকারকরা কাগজপত্র সংকটের কারণে এখনো চাল খালাস নিতে পারেনি। আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে যাতে দ্রুত খালাস দেওয়া যায় কাস্টমস তার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জাগো নিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত বন্দর থেকে চাল ছাড় করাতে পারেন সে লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভারত সীমান্তে যাতে বেশি দিন ট্রাক আটকে না থাকে তার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দুই ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো গ্রামবাসী
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গুটুদিয়ার পঞ্চু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের টোলনা গ্রামের আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে মো. শামীম বিশ্বাস (৩৪) ও একই গ্রামের মুজিবুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মো. জিহাদুল বিশ্বাস (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গুটুদিয়ার পঞ্চু গ্রামে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও চক্রের দু’সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র (পিস্তল) ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে উপজেলার গুটুদিয়া এলাকা থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র ও একটি লোহার চাপাতিসহ স্থানীয়রা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দু’সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় শিশু জন্ম: ঘাতক ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
দেশজুড়ে আলোচিত দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সদ্য জন্মানো নবজাতক। যার মায়ের মৃত্যু হয় ট্রাক চাপায়। শুধু মা নয়, বাবা ও বড় বোনও মারা যায় ওই দুর্ঘটনায়। ওই ঘটনার ঘাতক ট্রাক চালক রাজু আহমেদ শিপনকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম জানালেও এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি র্যাব। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করবে র্যাব।
শনিবার (১৭ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোর্ট ভবন এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় মারা গেছেন শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম (৪২), মা রত্না বেগম (৩২) ও ছয় বছর বয়সী বোন সানজিদা। এ সময় অলৌকিকভাবে সড়কেই জন্ম নেয় শিশুটি। এমনকি সৌভাগ্যক্রমে বেঁচেও যায় সে।
ওই ঘটনার পরে ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায় ট্রাকচালক। আজ তাকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।