সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, এটা বিশ্বের সম্পদ: এমপি বাবু

5
Spread the love

খবর বিজ্ঞপ্তি।।

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, এটা বিশ্বের সম্পদ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষায় খুবই আন্তরিক। সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে এমপি বাবু আরও বলেন, চারদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, নদীভাঙন, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, কাঠ পাচার, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার, পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার, অকারণে বন্য প্রাণির আবাসস্থলসহ পশু-পাখি নিধন, সুন্দরবন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহারে প্রাণ ও প্রকৃতি আজ সংকটাপন্ন। তাই সুন্দরবন ও মানুষকে বাঁচতে হলে প্রাণ এবং প্রকৃতিকে রক্ষার সকল উদ্যোগ সকলকে নৈতিকতার ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে সাথে সাথে সরকারের সকল সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও অবৈধ শুটকি মাছের খুটি মালিকদের কঠিন হুশিয়ারী করে এমপি বাবু বলেন, যেই হোক না কেন নিষিদ্ধ সময় বিষ দিয়ে মাছ শিকার করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি প্রশাসনকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে কয়রা কাশিয়াবাদ স্টেশনে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের অর্থায়নে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা রেঞ্জের আয়োজনে সুন্দরবন সুরক্ষা ও সংরক্ষণের নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবীদের সমাবেশ ও গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশ অংশের প্রাণ প্রাচুর্য উপভোগ করতে লাখো পর্যটক আসে এখানে। তবে অসচেতনতার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বনের স্বাভাবিক পরিবেশ। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত সম্পদ আহরণের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের এই নিরাপদ বেষ্টনি। পর্যটক নিয়ন্ত্রণ, ইকো-ট্যুরিজমের বিকাশ ও বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো নিয়ে কাজ করছে সরকার। তিনি সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ধ্বংসে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান। বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। অনুষ্ঠানে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো’র সভাপতিত্বে স্টেশন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) সাইফুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ চয়ন কুমার চায়, আদ্রিশ আদিত্য মন্ডল, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম), মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, শাহ নেওয়াজ শিকারী, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি ওবায়দুল কবির সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন, কালাবাগি স্টেশন কর্মকর্তা জহুরুল হক, প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার খয়রুল আলম, নির্মল দাষ, গণেশ মন্ডল, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, স্বেচ্ছসেবকলীগ নেতা আক্তারুল ইসলাম, জেড এম হুমায়ুন কবির নিউটনসহ সুন্দরবন রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক, বনরক্ষী, জেলে বাওয়ালী, ইউপি সদস্য, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।