বেনাপোল প্রতিনিধি ।।
দীর্ঘ দুই মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফের হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারত থেকে ১১৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
আমদানিকৃত পেঁয়াজের আমদানি মূল্য প্রতি কেজি ৩৫ টাকা। বাজারে এই ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে বলে জানান আমদানিকারকরা।
আমদানির খবরে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ টাকায়। দেশে বন্যা পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সংকটে রয়েছে পেয়াজের বাজার। ঈদে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার পেয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করেন।
বেনাপোলের ক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, গতকালও দেশি পেঁয়াজ ক্রয় করেছি প্রতিকেজি ৫০ টাকায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। দাম কিছুটা কম হওয়ায় খুশী।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে যাবে । তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রেতাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
খুলনার পেঁয়াজ আমদানিকারক আল মামুন বলেন, সরকার ইমপোর্ট পারমিট দেওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ১১৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানি ও সরবরাহ বাড়লে আরও দাম কমবে।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুন তরফদার বলেন, দুই মাস পরে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে বেনাপোল বন্রদ দিয়ে, ভারত থেকে ১১৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি পেয়াজ দ্রুত বন্দর থেকে খালাসের জন্য ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রাখা হযেছে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের এ্যাসিসটেন্ট ডাইরেক্টর হেমন্ত কুমার সরকার জানান, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৩৬ লাখ মে: টন । কিন্ত দেশে পেয়াজ উৎপাদন হয় ৩২ লাখ টন। গত বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টন। বন্য ,গরম ও সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ২০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাহিদা মেটাতে প্রায় পুরো বছর আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এসব পেঁয়াজের সিংহভাগ আসে ভারত থেকে।