কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

4
Spread the love

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।

 

কুষ্টিয়ার কাটাইখানা মোড় এলাকায় জুয়েল রানা নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ বলছে, জুয়েল আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবার বলছে, জুয়েলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড় এলাকার একটি চারতলা ভবন থেকে লাফ দেয় জুয়েল।

গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজন তরুণ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। হাসপাতালে ভর্তির পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এই হত্যারহস্য উন্মোচনে কাজ করছে পুলিশ ছাড়াও পিবিআই ও সিআইডি।

নিহত জুয়েল রানা তমাল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সদরের থানাপাড়া এলাকার মাসুদ রানা ছেলে। সে সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখা যায়, মরদেহের শরীরে কোনো জখমের চিহ্ন নেই। নেই আঘাত বা রক্তও। তবে নাক ও মুখের ভেতর দেখা গেছে রক্ত। বাম হাতের কনুইয়ের নিচে দেখা গেছে কালো দাগ।

জুয়েলের বাবা মাসুদ রানা বলেন, সকাল ৮টার দিকে প্রাইভেটে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর দুপুরের দিকে পুলিশ তাকে ফোন করে জানায়, জুয়েল হাসপাতালে মারা গেছে। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এর আগে জুয়েল কখনো কুষ্টিয়ায় একা আসেনি। আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি মামলা করবো।

জুয়েলের চাচা বলেন, সে নিরীহ প্রকৃতির। সে বাড়ির বাইরে একা বের হতো না। তারা বাবা রাজনীতি করে। শত্রুরা তাকে মেরে ফেলতে পারে। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র আছে।

ডিআইসি পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যে ভবন থেকে জুয়েল ঝাঁপ দিয়েছে, সেখানে এর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত হলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জুয়েল চারতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে; তাদের খোঁজা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।