যশোর প্রতিনিধি ।।
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে যশোরের বাঘারপাড়ায় পাঁচজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি লাল রঙের প্রাইভেট কার, মোবাইল ফোন, পুরাতন একটি ক্যামেরা, পরিচয়পত্র ও কথিত অ্যাসাইনমেন্টের কপি জব্দ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা হলেন দলনেতা সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের হিরণ শেখের ছেলে নুরুদ্দিন (২৮), একই উপজেলা কলসেরকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), রাজধানীর বংশালের আগামাছি লেনের মঞ্জুর হোসেনের ছেলে এসএম শাহজাহান (৪২), যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া মেঠোপাড়া গ্রামের কিসমত দফাদারের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা ডলি (২৮) এবং প্রাইভেট কার চালক মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার চর বাউশিয়া গ্রামের শুভ মিয়া (২৪)।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে অভিযুক্তরা খাজুরা বাজারের আশার আলো সমবায় সমিতিতে গিয়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সমিতির কাগজপত্র যাচাই করবেনন বলে জানান। সমিতির লোকজন তাদের পরিচয়পত্র ও অফিস অডিটের অনুমতিপত্র দেখাতে বললে তারা ঘাবড়ে যান। সন্দেহ হলে তারা খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। পুলিশ আসার আগে স্থানীয় জনতা অভিযুক্তদের পিটুনি দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে বুধবার স্বপ্নের সেতু, সাহসী ও খাজুরা সমবায় সমিতিতে গিয়ে তারা সংবাদ প্রকাশ ও লাইসেন্স বাতিলের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
আশার আলো সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, তারা অফিস অডিটের (অ্যাসাইনমেন্ট কপি) একটি ভুয়া অনুমতিপত্র দেখায় আমাদের। কথাবার্তার এক পর্যায়ে তারা সবাই ঘাবড়ে গেলে আমরা পুলিশকে খবর দেই।
স্বপ্নের সেতু সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল নন্দী অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে তারা অফিসে এসে খাতাপত্র দেখে বলে, অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। এ সময় সমিতির লাইসেন্স বাতিলের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নেয় তারা।
এছাড়া, এদিন একই কৌশলে অভিযুক্তরা সাহসী সমবায় সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা ও খাজুরা সমবায় সমিতি থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, আটককৃতদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।