মহানগর ও জেলা বিএনপির ৮৫ নেতাকর্মীর জামিন
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
খুলনায় পুলিশের দায়ের করা হামলার মামলায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, তারিকুল ইসলাম জহির, রকিবুল ইসলাম বকুলসহ ৮৫ নেতাকর্মীর জামিন দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে ৫০ জনের ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালিন জামিন দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট ও ৩৫ জনকে খুলনা অতিরিক্ত মহানগর হাকিমের আদালত। রোববার (৫জুন) সকালে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুমি আহমেদ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৩৫ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এড. গাজী আব্দুল বারী, এড. মোমরেজুল ইসলাম ও এড. তৌহিদুর রহমান তুষার। হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান আহম্মেদ ও বিচারপতি মো. সেলিম’র আদালতে হাজির হয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, তারিকুল ইসলাম জহির, রকিবুল ইসলাম বকুলসহ ৫০জন জামিনের আবেদন করলে আদালত আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য তাদের অর্ন্তবর্তি কালিন জামিন মঞ্জুর করেন। হাইকোর্টে আসামীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. নিতাই রায় চৌধুরী, র্যারিষ্টার শফিউর আলম মাহমুদ, এড. আবু জাফর মানিক, এড. মশিউর রহমান রিয়াজ, এড. জাহিদ আল কাদির। প্রসঙ্গত, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসুচিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দেয়। কিন্তু পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বিএনপির ৯২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ৮০০ জনের বিরুদ্ধে রাতে মামলা হয়।
খুলনা সদর থানার এসআই বিশ্বজিত কুমার বসু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগারের প্রধান ফটকে কারামুক্ত খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৩৫ নেতাকর্মীকে শত শত নেতাকর্মী ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে এলাকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর, জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।
ক্ষমতা হারানো ভয়ে আওয়ামী লীগ বেসামাল : খুলনা বিএনপি
।। খবর বিজ্ঞপ্তি।।
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আওয়ামী লীগ বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। রবিবার (৫জুন) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যায় যায় ভাব চলে এসেছে বলে নিজের দলের লোকজনদেরও বিএনপির নেতাকর্মী ভাবছেন।
খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ নেতাদের রুটি হালুয়ার ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় তারা বিএনপির বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী রটনা করেছেন। পত্রিকায় খবর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট বিবৃতি দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেছেন। খুলনার মানুষ জানেন খানজাহান আলী থানা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় কি ঘটনা ঘটেছে এবং কারা কারা ঘটিয়েছে। অথচ খুলনার শাসক দলের মন্ত্রী এমপি মেয়র ও নেতারা অহেতুক বিবৃতি দিয়ে সৃষ্ঠ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করেছেন। নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাসকে গ্রেফতার করায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন। একই সাথে ভবিষতে এধরনের কল্পকাহিনী রটনা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো: রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।