যশোরে মিনারুল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

1
Spread the love

 

শহিদুল ইসলাম দইচ যশোর।।
যশোর সদর উপজেলার সালতা গ্রামের মিনারুল হত্যা মামলায় হাফিজুর রহমান নামে একজনের মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি ইদ্রিস আলী।
দণ্ডিত হাফিজুর রহমান ওসমানপুর গ্রামের চান্দালী মোল্লার ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমানের ছোট ভাই আব্দুল মান্নানের বন্ধু ছিলেন নিহত মিনারুল। মান্নান নিজ বাড়িতে দর্জির কাজ করতেন। মিনারুল দর্জির কাজ শেখার জন্য মান্নানের বাড়িতে যাতায়াত করতো। সেই সুবাদে হাফিজুরের স্ত্রী সাবিনার সাথে মিনারুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের অনৈতিক কাজ হাফিজুর দেখে ফেলেন। ঘটনার দিন হাফিজুরের কাছে ক্ষমা চান মিনারুল। হাফিজুর এ বিষয়টি আর কাউকে বলেননি। কিন্তু হাফিজুর মনের দুঃখে তার স্ত্রী সাবিনাকে তালাক দেন এবং পরে ডলি নামে আরেকজকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর কথা কখনো ভুলতে পারেননি হাফিজুর। এরপর নিহত মিনারুল তার গ্রামের বিলকিস নামে আরো এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিনারুল কয়েক বছর হাজতবাসও করেন। এ সব ঘটনায় হাফিজুরের আরো বেশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সে মিনারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীকে হাফিজুর আরো বেশি করে মিনারুলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরমাঝে মিনারুল বিয়ে করেন। মিনারুল তার স্ত্রীর সাথীর সুখে শান্তিতে ঘর করে। যা দেখে হাফিজুরের প্রথম স্ত্রীর কথা মনে পড়ে যায় এবং সে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪ আগষ্ট রাতে মিনারুলকে ডেকে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে যায় হাফিজুর। এরপর মিনারুলকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায় সে। এ ঘটনায় মিনারুলের বড় ভাই আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই এবং মিনারুলকে আটক করে । এরপর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় হাফিজুর।
পিপি আরও জানান, ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আসামির উপস্থিতিতে আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষনা করেন। রায় শেষে দণ্ডিত হাফিজুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।