সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের কাটিয়া লস্করপাড়ায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (১ জুন) ভোর রাতে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী। ছাত্রীটির বাড়ি কাটিয়া লস্করপাড়ায়। সাতক্ষীরার নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সে।
মেয়েটির এক বান্ধবী জানায়, ‘হৃদয় হোসেন নামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে সে বিয়ের কথা জানালে ছেলেটি তা প্রত্যাখ্যান করে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এতে লোকলজ্জার ভয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’
মেয়েটির বাবা জানান, ‘আমার মেয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে হৃদয় হোসেন নামের যুবক মেয়েকে ধর্ষণ করে। সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার খলিষাবুনিয়া গ্রামে ওই ছেলেটির বাড়ি। সাতক্ষীরা শহরে সে ভাড়া থাকে। এ নিয়ে আমি থানায় একটি মামলাও করি।’
তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ এখনো পর্যন্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্কুলে গেলে অন্য মেয়েরা হাসিঠাট্টা করে এবং বলে তোকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া এলাকার মানুষও এটা নিয়ে হাসিতামাশা করায় দুঃখে আত্মহত্যা করেছে আমার মেয়ে।’
কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ৯ মে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করা এখনো সম্ভব হয়নি। বাকি দুই আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তদন্তে যেটা জেনেছি ছেলেটি রাজমিস্ত্রির কাজ করত।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় আগেই থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।