স্টাফ রিপোর্টার।।
খালিশপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. ফজলে হালিম লিটনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৮, তারিখ-০৮/৫/২২ইং।
এদিকে সাবেক বিএনপি নেতার দায়েরকৃত মামলায় খালিশপুর থানা যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, যুবদল কর্মী আরিফকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করলেও খালিশপুর থানা পুলিশ আটকের ব্যাপারটি এড়িয়ে গেছেন। মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু ও আরিফের পরিবারের বরাত দিয়ে খুলনাঞ্চলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিক এর কাছে জানলে চাইলে তিনি বলেন, আমি থানার বাহিরে আছি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন। খালিশপুর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন খান খুলনাঞ্চলকে জানান, এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি তবে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাউকে গ্রেফতার করা হলে আমরা গনমাধ্যমকে জানাবো।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খালিশপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী ফজলে হালিম লিটন মারাত্মকভাবে আহত হন। ওইদিন সন্ধ্যায় খালিশপুর আবাসিক তারের পুকুরের সামনে নিজ বাড়ির ভেতরে দুর্বৃত্তরা তার ওপর আক্রমণ করে।
ফজলে হালিম লিটনের স্ত্রী আসমা হালিম বলেন, মাগরিবের নামাজের পর অজ্ঞাতনামা দুইজন ব্যক্তি গেটের সামনে এসে লিটনকে ডাকতে থাকে। গেট খুলে বাইরে বের হওয়া মাত্র লিটনের ওপর আক্রমণ করে ওই দুর্বৃত্তরা। একজনের হাতে চাপাতি ও অপরজনের হাতে ছুরি ছিল। তাদের আঘাতে তিনি গেটের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তার সাথেও ওই দুর্বৃত্তরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসি এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, লিটনকে হত্যার জন্য এ হামলা করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিটনের বাম হাতের একটি আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার পেটেও আঘাত করা হয় কিন্তু সেটা তেমন গুরুতর নয়।