ঢাকা অফিস।।
আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ৬৪ জেলার ১৪০টি উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন জানান, অন্যান্য উপজেলার ভোটার কার্যক্রম পরবর্তীতে ধাপে ধাপে শুরু হবে।
এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদের তথ্যও নেওয়া হবে। যারা পরবর্তীতে বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
কোন উপজেলা কবে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিয়োজিতরা তথ্য নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ এবং ছবি তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
এই কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম চলবে।
ভোটার হতে যেসব কাগজ-পত্র জমা নেওয়া হবে:
নিবন্ধনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পূরণকৃত নিবন্ধন ফরম-২ এর সাথে অনলাইন জন্ম সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা বা যে-কোনো পাবলিক পরীক্ষা পাশের সনদের ফটোকপি; এছাড়াও অন্যান্য কাগজপত্র যেমন- নাগরিক সনদ, প্রত্যয়নপত্র/বাড়ি ভাড়া/হোল্ডিং ট্যাক্স/ যে-কোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধের রসিদের কপি।
হিজড়া:
সরকার বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে “হিজড়া লিঙ্গ” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তারা হিজড়া পরিচয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হতে পারবেন। তবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তাদের সনাক্তকরণের জন্য সমাজসেবা অফিসের প্রত্যয়ন অথবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়ন লাগবে। এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি, যে তারা যেন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন।
ভোটার এলাকা স্থানান্তর :
এক ভোটার এলাকা হতে অন্য ভোটার এলাকায় স্থানান্তরের লক্ষ্যে ফরম-১৩ (স্থানান্তর) পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ সরাসরি সেই এলাকায় স্থানান্তরিত চান, সেই এলাকার থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে যথাযথ যাচাই-বাছাই ও তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ভোটার এলাকা স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া, তথ্যসংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটার স্থানান্তরের তথ্য সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কার্যালয়ে পাঠাবেন।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয় ইসি। সেই সময় ৯ কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। ইসির সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।