হাত, পা ভেঙ্গে ব্রিজের নিচে লাশ ফেলে দিবে সুলতান মেম্বার!

5
Spread the love

 

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।

দুই ভাইকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মামলায় জামিনে বের হয়ে এসে ইউপি মেম্বার সুলতানসহ তার সহযোগীদের হামলা, গুম ও হত্যার আতংকে ভুগছেন মোংলার একটি সংখ্যালঘু পরিবার। নির্যাতনের শিকার দুই ভাই বিনোদ ও বিপ্লবের বাবাকে হাত, পা ভেঙ্গে স্থানীয় মনপুরা ব্রিজের নিচে লাশ ফেলে দিবে সুলতান
মেম্বার। এমন অভিযোগ করে বাবা সুভাষ চন্দ্র সরকার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, এত বড় দুুষ্কৃতিকারী লোক বাংলাদেশে থাকতে পারবে না, এই দেশ থেকে যখন
পাকিস্তানীদেরকে হঠাতে পেরেছি, সুলতান মেম্বারের মত দু’একটা রাজাকারও এই দেশ থেকে হটাতে পারবো।

সুলতান মেম্বারের নানা অপকর্মের বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রায় পাঁচ’শ সংখ্যালঘু পরিবারের প্রায় সহস্রাধিক লোকজন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীর মধ্যে অশোক মন্ডল, আনন্দ মন্ডল, বিনোদ সরকার, সুভাষ চন্দ্র সরকার, জোসেভ হালদার, বাপ্পা হালদার, বিবেক হালদার, মিনতি রায়, স্বপ্না মন্ডল, গিতা সরকার, পারুল ঘোষাল ও বিপাশা সরকার বলেন, চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর সুলতান হাওলাদার একজন ভূমিদস্যু, মামলাবাজ, সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার ও মোংলা বন্দরের একজন চিহ্নিত চোরাকারবারী। এলাকায় তার রয়েছে বিশাল একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী দিয়ে শুধু এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। বছর খানেক ধরে কালিকাবাড়ীতে একটি চিংড়ি ঘের দখল করেও রেখেছে এই সুলতান মেম্বার।


গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) ওই মেম্বারের টর্চার সেলে উত্তর কাইনমারী এলাকার সুভাষ চন্দ্র সরকারের দুই ছেলে বিনোদ ও বিপ্লব সরকারকে নির্যাতন করা হয়।
পরে এ ঘটনায় মেম্বার সুলতান ও তার ছেলে জাকিরসহ ১৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন নির্যাতিতদের বড় ভাই কুমুদ সরকার। এর পরদিন সুলতান মেম্বারসহ একাধিক আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। কিন্তু গ্রেফতারের একদিন পরই জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারকে গুম ও হামলা মামলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন বিনোদ, বিপ্লব ও কুমুদের বাবা সুভাষ সরকার। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংখ্যালঘু কয়েক’শ পরিবার মানববন্ধন করেন। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেম্বার সুলতানসহ তার বাহিনীর দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবী জানান।


এ ব্যাপারে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, জামিনে বের হয়ে এসে সুলতান মেম্বার ভয় ভীতিসহ নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে ১০৭ ধারায় সুলতান মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অদিকতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।