খুবি শিক্ষকের চরিত্রহনন : ৬জনের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন স্ত্রী

2

স্টাফ রিপোর্টার//

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন সোহার্দের চরিত্রহরণমূলক অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানী করায় ১শ’ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী সানজিদা খান। তিনি বুধবার খুলনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকসহ ৬জনকে বিবাদি করা হয়েছে। মামলা নং-মানি-৪/২০২২।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি’র আইনজীবী ড. মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার আগামী ১৮ মে এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন।
মামলায় মূল অভিযোগ আনা হয়েছে বিতর্কিত পোষ্টদাতা মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী’র স্ত্রী জেরিন তাসনিম জুঁইকে। এছাড়া বিতর্কিত পোষ্ট শেয়ার ও কমেন্টস করার অভিযোগে ঢাকার সবুজবাগ থানার দক্ষিণ রাজারবাগ বাসাবো’র এসএম সাইফ আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী প্রজ্ঞা তাপসী খান, মীরপুর পুলিশ কনভেনশন হল সংলগ্ন আতিকুল হাসানের স্ত্রী জান্নাতুল নাইমা, বীর উত্তম একে খন্দকার রোডস্থ গুলশান ভবনের কাজী এহসানুল হকের স্ত্রী প্রমা এহসান খান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা রায় ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসানকেও বিবাদি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১নং বিবাদি জেরিন তাসনিম জুঁই ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর তার ফেসবুক ‘জেরিন.তাসনিম-৩’ নামক আইডিতে অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন সোহার্দের বিরুদ্ধে যৌন হয়রাণি সংক্রান্ত অভিযোগ পোষ্ট করেন। পরবর্তীতে প্রজ্ঞা তাপসী খান, জান্নাতুল নাইমা, প্রমা এহসান খান, অধ্যাপক মৌমিতা রায় ও অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান সেগুলো যাচাই না করেই সমর্থন করে নিজ নিজ ফেকবুক আইডিতে শেয়ার এবং কমেন্টস করেন। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এছাড়াও তাদের এসব অপপ্রচারমূলক শেয়ারের ওপর অনেকেই অপ্রীতিকর নানা মন্তব্য করেন।
মামলায় বাদি সানজিদা খান উল্লেখ করেন, বিবাদিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার স্বামীর চরিত্রহরণমূলক অপপ্রচার চালিয়ে তার সম্মানহানী করেছে। এতে তিনি সামাজিক-পারিবারিক ও কর্মস্থলসহ দেশে-বিদেশে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন। এ কারণেই ন্যায় বিচার ও প্রতিকার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন (সৌহার্দ্য) বলেন, জেরিন তাসনীম জুঁই ও প্রজ্ঞা খান নামের দু’জন নারী আমাকে জড়িয়ে ফেসবুকে তাদের কথিত ছোট বেলার কল্প কাহিনীর অবতারণা করে- যা বাস্তবতা বিবর্জিত এবং যার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এমনকি যেসব নোংরা ঘটনার কাল্পনিক গল্প অত্যন্ত অশালীন ভাষাতে তারা সাজিয়েছে- যা শুনলে যে কোন মানুষের রুচিতেও বাঁধে। এসব নোংরা কাহিনী প্রচার করে তারা সবার সস্তা সহানুভূতি ও বাহবা পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। আর অন্যরা কোন ধরণের যাচাই না করেই সেগুলো শেয়ার ও আজে-বাজে কমেন্টস করেছে। এতে তিনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।