শহিদুল ইসলাম দইচ।।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয়তলা শিশু ওয়ার্ডে যে মেয়ে শিশুটি বসে আছে তার নাম আনিশা রশ্মি পিয়া। সাত বছর বয়সি প্রিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় তার বুকের দুই পাশের দুই হাড় ভাঙ্গা। হাসপাতালের আরএম ও ডাক্তার আব্দুস সামাদ ও অর্থোপেডিক বিভাগের ডা. এইচএম আব্দুর রউফে আন্তরিকতায় সম্পন্ন বিনা টাকায় সুস্থ হয়ে আজ ৪ এপ্রিল দুপুরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন হত দরিদ্র শিশুটি।
যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাউলিয়া গ্রামের রাবেয়া- সাজাহান দম্পতির মেয়ে আনিশা রশ্নি প্রিয়া। মা রাবেয়া এই প্রতিবেদককে জানায়, শাহাজাহান মেয়ে প্রিয়া ও আমার কোন খোজ রাখেনা। দারিদ্রতার কারনে ঢাকায় গার্ড়মেন্সে চাকুরি করি।মেয়ে তার নানির কাছে থাকে।
গত ২৮ মার্চ বেলা ১২ টার দিকে বাউলিয়া মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকাপ ভ্যান ধাক্কা দেয় প্রিয়াকে। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। শিশু ওয়ার্ডের নার্সরা মারত্মক দূঃব্যাবহার করেছে আমার সাথে।পিয়াকে তিনবার সিটে দিয়ে আবার নামিয়ে ফ্লোরে অবহেলা ও অজত্নে রেখেছে। পরে একজন সাংবাদিকের সহযোগিতায় হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আব্দুস সামাদ ও অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তার আব্দুর রউফ স্যারের কাছে আমার বেদনার কথা জানাই।
এর পরে নার্সদের যত্নের ত্রুটি ছিল না। মেয়ের সমস্থ পরিক্ষা নিরিক্ষা ও সকল ওষুদ পেয়েছি ফি।হাসপাতালে সাপ্লাই নাই রউফ স্যার অন্য যায়গা থেকে ওষদ যোগাড় করে প্রিয়াকে দিয়ে।
এমন ডাক্তার যদি সব যায়গা থাকত তা হলে আমাদের মত গরিবরা অবহেলায় মরত না।
অনুভুতি প্রকাশে রাবেয়া বলেন, আমি সারা জীবন দোয়া করব ডা. রউফ ও ডা. সামাদ স্যারদের জন্য।
জানতে চাইলে আরএমও আ. সামাদ বলেন, ডাক্তারের কাজই হল রুগির সেবা করা।হাসপাতালে ফ্রি পরিক্ষার সুযোগ আছে আমার ক্ষামতায় করেছি। যদি সত্যি সত্যি কোন রুগির সমস্য মানে নিডি পরর্শন হয় আসবেন আমার কাছে।ভাল কাজ করতে কার না ভাল লাগে।
অনুভুতি জানতে চাইলে ডাক্তার এইচ এম আব্দুর রউফ বলেন, ডাক্তার হিসাবে আমার দ্বায়িত্ব পালন করেছি।সুযোগ ছিল ওষুদ যোগাড় করে দিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এরকম ঘটনা নতুন নয়।হাসপাতালের বাইরে ও টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নাই একজন রুগিও বলতে পারবে চিকিৎসা ত্রুটি রেখেছি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ষাদের টাকা খরচ করার ক্ষমতা আছে তাদের বিষয় ভিন্ন। কে কি ভাবলা এটা তাদের ব্যাপার আমার যায়গায় নিজে ঠিক থাকলে চলবে।