টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ছেড়ে ক্লিনিকে অপারেশন করছিলেন চিকিৎসক!

2

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।।
অফিস টাইমে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক গণটিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ না করে প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করছিলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবুল আলম। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তাকে উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ডা. মাহাবুবুল আলমকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।

জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে দেশব্যাপী বিশেষ গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় শৈলকুপাতেও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়। সেই কার্যক্রম তদারকির জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবুল আলমকে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে তাকে সকালে ওই ইউনিয়নে যেতে নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কিন্তু সেসময় সেখানে না গিয়ে উপজেলা শহরের খোন্দকার প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করতে যান ডা. মাহবুব। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালিয়ে তাকে অপারেশন থিয়েটারে পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে ডা. মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কোনো সিজার করতে যাইনি। সিভিল সার্জন বা কে কী বলেছে সেটা তাদের ব্যাপার।

জানতে চাইলে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন বলেন, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ডা. মাহাবুবুল আলমের ওপর। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে অভিযোগ আসে, তিনি সেখানে যাননি। তিনি শৈলকুপা শহরের বেসরকারি হাসপাতাল খোন্দকার ক্লিনিকে সিজার করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি শুনে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা যায়, মাহাবুবুল আলম সিজার করছেন। কেন তিনি অফিস টাইমে এমনটি করেছেন এর জন্য জবাব দিতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো চিকিৎসক সরকারি চাকরি করে সরকারি ডিউটি ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করবে এটা হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি ফোনে জানিয়েছেন। আমি শোকজ করতে তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। এই চিঠি আমার কাছে আসলে সেটি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কেননা শুধু সতর্ক করলে হবে না, সতর্কতার সঙ্গে কঠোর আইনগত ব্যবস্থাও নিতে হবে