সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ।।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল ও রোকনুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় ঘোষণার খবর সাতক্ষীরায় হট কেকের মতো ছড়িয়ে পড়ে। সাতক্ষীরার মানুষ এ খবরের অপেক্ষায় ছিলেন এতদিন।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পরপরই শহরে আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলে মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিকর্মী এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের মানুষ যোগদান করেন। তারা দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। খালেক মণ্ডলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার।
মামলাটি ২০১৫ সালের। পরে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। চার আসামির মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান নামের দুই আসামি বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয় আবদুল খালেকসহ আসামিদের বিরুদ্ধে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই ঘাতক মেতে উঠেছিল গণহত্যায়। গণধর্ষণ অপহরণসহ লুটতরাজের অভিযোগও কম ছিল না। তার নৃশংসতার কারণে তাকে বলা হতো জল্লাদ খালেক।
রাজাকার খালেকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাজাকার শহরের পলাশপোল এলাকার খান রোকনুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। অপর দুই সহকর্মী রাজাকার যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি আলিপুরের বুলারাটি গ্রামের আবদুল্লাহেল বাকি গ্রেফতার হয়ে অসুস্থতার কারণে জামিনে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া বৈকারি ইউনিয়নের বলদঘাটা গ্রামের জল্লাদ টিক্কা খান খ্যাত জহুরুল ইসলাম পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন।