১২৩ ফুট উচ্চতার টাওয়ারে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

5
Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি।।

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগরে ১২৩ ফুট উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ করে স্থাপন করা হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতেই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ওই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভাস্কর্যটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য স্ট্যাচু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম’। এটি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে ভাস্কর্যটি।

সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে এটি নির্মাণ করছেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের শমসের নগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শমসের আলীর পরিবার। বঙ্গবন্ধু ভক্ত পরিবারটির উদ্দেশ্য, আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে তুলে ধরা। ডা. শমসের পরিবারের সদস্য কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রাশেদ শমসের জানান, নির্মাণাধীন আট তলার মূল গেটে থাকবে জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ রাসেল, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, ইন্দিরা গান্ধী ও জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য। ওই টাওয়ারের প্রথম তলায় থাকবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব শহীদদের ভাস্কর্য, দ্বিতীয় তলায় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য, তৃতীয় তলায় সারাবিশ্বে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের ভাস্কর্য, চতুর্থ তলায় মুক্তিযোদ্ধা গবেষণাগার, পঞ্চম তলায় স্মৃতি গবেষণাগার, ষষ্ঠ তলায় অফিস এবং সপ্তম তলায় দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার। দর্শনার্থীরা নিচের সব ফ্লোরে তলাতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্বশেষ অষ্টম তলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানাবে।  নির্মাণাধীন ১২৩ ফুট উচ্চতার টাওয়ারের বিষয়ে তিনি জানান, নিচ থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতি তলার পরিধি ১১ ফুট করে মোট ৬৬ ফুট। ৬৬ দিয়ে ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনকে বোঝানো হয়েছে। এরই চারপাশে ১ ফুট করে ২৩ টি গ্লাস পিলার থাকবে, যা দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ২৩ বছরকে বোঝানো হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শমসের আলীর ছেলে ডা. রাশেদ শমসের জানান, তার বাবার নামানুসারেই এই এলাকাকে ১৯৯৮ সালে শমসের নগর নামকরণ করেন তারা। তাদের পরিবারের অর্থায়নে উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে শমসের নগরে সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত এই ভাস্কর্যের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য স্ট্যাচু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম’; যার ডিজাইন করেছেন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার কীর্তিবাস রায় ও আজাদ রানা। রাশেদ শমসের বলেন, বাবা ডা. শমসের আলী যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একজন সংগঠক ছিলেন। ১৯৭৯ সালে যশোর-৮৪ বর্তমান ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা বাবার স্মৃতিটা ধরে রাখার জন্যই ১৯৯৮ সালে এই শমসের নগর স্থাপন করি। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খাঁন আলমগীর এই শমসের নগরের উদ্বোধন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি আমরা। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার আমাদের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়েছিল।