বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী

10
Spread the love

ঢাকা অফিস।।

সারাবিশ্ব বাংলাদেশের উন্নতির স্বীকৃতি দিলেও মির্জা ফখরুল সাহেবদের এগুলো স্বীকার করতে কষ্ট হয়। এমন অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের মানুষের অগ্রগতি তাদের পছন্দ নয়, বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ-র উদ্যোগে টেলিপ্রেস-ট্রাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য—‘দেশের উন্নতির তথ্য-উপাত্ত ভুয়া’ এ প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়েছে তাতে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই বৃদ্ধি আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিশ্বের সবাই স্বীকার করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় অনেক আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছিল। এখন ভারতকেও ছাড়িয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। করোনার মধ্যে বিশ্বের মাত্র ২০টি দেশের জিডিপির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দেশ।

তিনি বলেন, বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন— খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়। তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য-খয়রাত পাবো না। যাদের মানসিকতা এমন, তাদের তো অগ্রগতি পছন্দ হবে না। সেজন্যই তারা এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলেন।’

‘আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পায়’ বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুযোগই নেই। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। তখন আওয়ামী লীগ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার বলুন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলুন, সেই দায়িত্ব পালন করবে। এর মধ্যে দেশে যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। অনেকগুলোতে বিএনপিও জয়লাভ করেছে। প্রকৃতপক্ষে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়।’

এর আগে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এদেশে মেধাবী পরিচালকরা রয়েছেন। আমাদের ছেলেমেয়েরাও প্রতিভাবান। বিদেশি দ্বিতীয়-তৃতীয় গ্রেডের শিল্পীদের এনে বিজ্ঞাপন-সিনেমা বানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখি না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা কাউকে মানা করছি না। বিদেশি শিল্পী কেউ আনতে চাইলে আনবে। সরকারের প্রাপ্য কর দিতে হবে।

তিনি এদিনে সম্মাননায় ভূষিত সকলকে ও আয়োজকদের অভিনন্দন জানান। এসময় লোকসংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম, লেখক আনিসুল হক, সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী, টিভি সাংবাদিক শফিউল্লাহ সুমনসহ অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।