খুলনায় ওসির বিরুদ্ধে জোর করে দুই স্কুলছাত্রের চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ (ভিডিও)

1
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার।।


নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল খুলনা জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে বুধবার (৯ মার্চ) বিকাল ৩ টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ আসা দুইজন স্কুলছাত্রকে ধরে খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন জোরপুর্বক চুল কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার সোনালী জুট মিল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র রাতিন (১৫) ও ফুলবাড়িগেট আদর্শ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর নাহিদ (১৫) সমাবেশ স্থল থেকে খাবার খেতে থানার সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তাদের ধরে জোরপুর্বক চুল কেঠে দেয় খুলনা সদর থানা ওসি হাসান আল মামুন। রাতিন জানায়, ওসি তাদের রাস্তা থেকে ধরে সেলুনে নিয়ে নিজেই কাইচি দিয়ে চুল কেটে দেয়। ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওরা একজনের ১’শ টাকা নিয়েছে বলে ওদের চুল কাটা হয়েছে। স্কুলছাত্রের জোরপুর্বক এভাবে চুল কাটা ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দেননি।


এদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনা জেলার কো-অর্ডিনেটর এড. মোমিনুল ইসলাম বলেন, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। ওসি যেটা করেছেন তা মোটেই সর্মথন যোগ্য নয়। তিনি বলেন ভুক্তভোগিরা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে সংস্থা তাদের পাশে থাকবে এবং সব ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করবে।


অপরদিকে চুলকাটার ঘাটনায় নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। গনমাধ্যমে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলো শান্তিপুর্নভাবে কর্মসুচি পালন করছেন। সেই কর্মসুচিতে আসা দুইজন স্কুল ছাত্রের চুল কেটে দিয়ে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা বিচার হওয়া উচিৎ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ নিজেই বিএনপির চলমান কর্মসুচিতে দুর দুরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের বিএনপির অফিস ও আশপাশে রাখা ৩০/৪০টি মোটরসাইকেলে চাকায় ভোমর দিয়ে পাম্পচার করে দিয়েছেন। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের কর্মকান্ড মোটেই সর্মনযোগ্য নয়। তিনি পায়ে পাড়া দিয়ে বিবেধ সৃষ্টির পায়তারা করছেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুনের অপসারন এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলার সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, জেলার যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু প্রমূখ।