আলোচনায় ফিরুক শান্তি

3
Spread the love

যুদ্ধে জ্বলছে ইউক্রেন। বহু সামরিক-বেসামরিক প্রাণহানির পাশাপাশি ধ্বংস হয়েছে স্থাপনা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশান্তরী হয়েছে লাখো মানুষ। তবে আশার কথা হলো, সমস্যা সমাধানে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারফিউ তুলে নেয়ার ঘোষণা এসেছে, আর পরিস্থিতিও কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে কিয়েভে।

গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া যুদ্ধের পরে প্রথমে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি হয়নি ইউক্রেন। পরে বিনা শর্তেই আলোচনায় রাজি হয় তারা। আর হামলার কিছুসময় পরে থেকেই আলোচনার বিষয়ে বার্তা দিয়ে আসছিল রাশিয়া। আলোচনা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে।

বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ান পতাকা শোভিত লম্বা এক টেবিলের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আলোচনার জন্য ভেন্যু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের আগমন প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে ইউক্রেন প্রতিনিধি দল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বেলারুশের বৈঠকের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও আলোচনা ছাড়া যুদ্ধ অবস্থার সমাধান নেই বলে আমরা মনে করি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ তাদের কূটনৈতিক অবস্থান পরিস্কার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধের পক্ষে নয়। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমরা যুদ্ধের পক্ষে কোনো কথা বলিনি। এটা আলোচনা হয়েছে এবং বলছে যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

করোনাভাইরাসে পুরোবিশ্বে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ লাখের কাছাকাছি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার প্রাণহানির ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। বিশ্বে কোথাও যুদ্ধ শুরু হলে তার প্রভাব শুধু ওইসব স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকে না, পুরো বিশ্বেই এর প্রভাব পড়ে নানাভাবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের উপরে তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, তাদের জন্য এই যুদ্ধ খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সন্দেহ নেই। আমাদের প্রত্যাশা, বিশ্বনেতারা সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে সাম্যভাব ও ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারবেন।