আরও ৩৬ জনের মৃত্যু, কমেছে শনাক্তের হার

1
Spread the love

ঢাকা অফিস।।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন শনাক্ত শনাক্তের হার কমেছে। তবে বেড়েছে মৃত্যু। সময় মারা গেছেন ৩৬ জন। বুধবার (ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩৬ জন। মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি) আগের ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। তার আগের দিনও (সোমবার, ৩১ জানুয়ারি) করোনায় ৩১ জন মারা গেছেন বলে জানায় অধিদফতর

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯৩ জন। মঙ্গলবার ১৩ হাজার ১৫৪ জন শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

অধিদফতর জানায়, নতুন শনাক্ত হওয়া ১২ হাজার ১৯৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জন। আর মারা যাওয়া ৩৬ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৪৬১ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন হাজার ২০৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৪ হাজার ৩০৮টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৫১টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ২২৬টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৩টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন নারী ১৯ জন।

তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ১৭৩ জন, আর নারী ১০ হাজার ২৮৮ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের মধ্যে ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চার জন করে, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে মারা গেছেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে সাত জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন, আর সিলেট ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন একজন করে।

৩১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩০ জন। বাকি ছয় জনের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচ জন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।