ট্রাক-ট্রলির মাটি পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পিচের রাস্তা

14

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।।

আমন বোরো মৌসুম শেষ হলে ফসলি জমি ঘের কেটে মাটি টানার ধুম পড়ে যায়। মাটি ট্রাক বা ট্রলিতে করে নেওয়া হয় ইট ভাটায়। পুকুর বা ডোবা ভরাটে এমনকি বসত ঘরে ফেলতে নেওয়া হয় এসব মাটি। একটি অসাধু চক্র ফসলি জমির ক্ষতি করে মনিরামপুরে প্রকাশ্যে তাদের কাজ চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন।

বছর উপজেলার ইট ভাটাগুলো চালু হওয়ার আগে ভাটা মালিকরা আশপাশের মাঠের মাটি কেটে ট্রাকে বা ট্রলিতে করে পিচের রাস্তা বয়ে মাটি নিয়েছেন ভাটায়। তখন ট্রাক থেকে মাটি পড়ে পিচের রাস্তায় ধুলার জন্ম হয়েছে। সে ধুলায় নিত্য পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিলো। রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে আবার দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অঞ্চলের পথচারীদের।

গত রোববার রাতের বৃষ্টিতে পিচের রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি কাঁদায় পরিণত হয়েছে। ফলে যানবাহন বা পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ঘটেছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।

ট্রাকে মাটি টানার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কে টিন বোঝাই একটি ট্রাক পিছলে খাদে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। উপজেলার দেবিদাসপুর কাটাখাল ব্রিজের রেলিং-ট্রাকটি আটকে পড়ায় প্রাণে রক্ষা পান ট্রাকের চালক হেলপার।

এদিকে উপজেলার মাহমুদকাটি-গরিবপুর শ্মশান মোড় সংযোগ পিচের সড়কটিতে কাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাদা জমায় রাস্তাটি পিচের না মাটির তা চেনা যাচ্ছে না।

বাকোশপোল গ্রামের বাজু আহমেদ বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে কাঁকড়ের বিলের ঘের কেটে মাটি দেবিদাসপুরের দুটো ইট ভাটায় বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে নেওয়া হয়েছিলো। তখন রাস্তায় মাটি পড়ে আটকে ছিলো। রোববার রাতের বৃষ্টিতে রাস্তায় খুব কাদা হয়েছে। সোমবার ভোরে একটি ট্রাক মোটরসাইকেল সাইড দিতে গেলে সেই কাদায় পিছলে খালে পড়তে যেয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।

খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, ‘ট্রাকে করে মাটি নেওয়ায় ইউনিয়নের সব কয়টি পাকা রাস্তায় কাদা হয়েছে। মোটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। সতর্কতার সাথে মাটি নেওয়ার জন্য ট্রলি চালকদের বলা হচ্ছে। যদি তারা কথা না শোনে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়ে জানতে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানের মোবাইলে কল করা হয়েছে। ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।