ঢাকা অফিস।।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ.টি.এম. শামসুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রস্তাবিত খসড়া আইনে মনে হচ্ছে অনেক অপূর্ণতা রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় এটি শুধু সার্চ কমিটি গঠনের জন্য। সত্যিকার অর্থে বর্তমান সংসদে জনপ্রতিনিধিত্ব নেই, তাই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করা উচিত।
শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এফডিসিতে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. এ.টি.এম. শামসুল হুদা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও অযোগ্যতার সুষ্পষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে। যাদের সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিবেচনায় না নেয়া উচিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা কোনো দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তাদের আইনানুগ বিচার হওয়া উচিত। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তাই কোনো বিশেষ পদধারী ব্যক্তির অপরাধের বিচারের জন্য ইনডেমনিটি থাকা উচিত নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে ভালো নির্বাচন করতে পারতো। তাদের পারফরমেন্স সন্তোষজনক নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সুখকর না হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অধিকতর গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন খুবই জরুরি। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে গত ৫০ বছরে দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোনো আইন তৈরি হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে সুশাসন ব্যাহত হয়। দুর্নীতির কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তির ঘটনা খুবই কম। অথচ পাকিস্তান আমলেও সিভিল সার্ভিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তি হতো।