স্কুলছাত্র খুন, দুই দিনেও গ্রেফতার হয়নি হত্যাকারীরা
যশোর অফিস
যশোরের শার্শায় দুইদিনেও স্কুলছাত্র শাকিব হত্যাকারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক ও শাকিবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। তবে হত্যার ঘটনায় শাকিবের নানা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
গত ১৭ জানুয়ারি রাতে দুর্বৃত্তরা শাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়। পারিবারিক কলহে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শাকিব তার নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি অসুস্থ নানাকে সাহায্য করতে মাঝে মধ্যে ভাড়ায় ইজিবাইক চালাতো। এদিকে নাতিকে হারিয়ে এখনও বাকরুদ্ধ শাকিবের নানা আকবার আলী। শাকিব হত্যাকারীদের দ্রুত আটকের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, শাকিব হত্যায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত আটক ও হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে স্থানীয়রা জানান, শার্শায় সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও খুন বেড়েছে। গত তিন মাসে শার্শা উপজেলাতে ৭টি হত্যার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে ৩টি নির্বাচন সহিংসতায় হত্যাকাণ্ড ও ৪ জন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে খুন হয়েছে।
তালায় শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় সৎ মা গ্রেফতার
ইলিয়াস হোসেন, তালা(সতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়ন লাউতারা গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু আফসানা খাতুনকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় তার সৎ মা রোকেয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তালা থানার এসআই প্রীতিশ রায় তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক রাকিবুল ইসলামের কাছে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রোকেয়া খাতুন।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তেতুলিয়া ইউনিয়নের লাউতারা গ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে আফসানা খাতুন (০৫) এর মরদেহ উদ্ধার হয়। সেসময় আফসানা খাতুনের মরদেহ ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং এ ঘটনায় তালা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
পরে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে আব্দুল কাদির মোড়লের প্রথম স্ত্রী নার্গিস খাতুন এর সাথে দাম্পত্য কলহ ও বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার পর একমাত্র কন্যা সন্তানটিকে মানুষ করার জন্য কাদির মোড়লকে তার পরিবার দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণের পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ মোতাবেক ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর কাদির তালার জেয়ালা গ্রামের রোকেয়া খাতুনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া খাতুন প্রথমপক্ষের মেয়ে আফসানাকে দেখতে পারত না এবং যখন তখন মারপিট করত। এই নিয়ে প্রায়ই রোকেয়া খাতুন তার স্বামী ও শ্বাশুড়ির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হত। এক পর্যায়ে রোকেয়া খাতুন (২৩) প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠে এবং আফসানা খাতুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সে আফসানা খাতুনকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল স্বামীর বসত বাড়ির পাশের এক পুকুরে গোসল করার নাম করে নিয়ে যায় এবং আফসানাকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়িতে চলে এসে নির্বিঘ্নে সংসারের কাজকর্ম করতে থাকে। অতঃপর পুকুরে ডুবে শিশু আফসানা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রচারণা চালানো হয়।
এই ঘটনার ১০-১২ দিন পর রোকেয়া খাতুন তার স্বামীর মনের অবস্থা বুঝে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ঘটনাটি জানতে পেরে কাদির মোড়ল প্রথমে আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলাটি তদন্ত করছিলেন এসআই প্রীতিশ রায়। অপমৃত্যু মামলা এবং সিআর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিমের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা এবং রাবেয়া খাতুনের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য শোনেন এবং নিশ্চিত হন।
সর্বশেষ আব্দুল কাদির মোড়ল মঙ্গলবার (২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি) তালা থানায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (২৩) এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি রোকেয়া খাতুন (২৩) কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রীতিশ রায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে গ্রেফতার করেন এবং বুধবার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক আসামির স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড এর ব্যবস্থা করেন।
দেবহাটার ‘খলিশাখালী’ নিয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তোলপাড়
কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা
দেবহাটার খলিশাখালীতে অবস্থানরত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী ও ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ ইস্যু নিয়ে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তোলপাড় হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জবরদখলকৃত খলিশাখালীর ৪৩৯.২০ একর জমি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে দখলমুক্ত করণের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, খলিশাখালী নামীয় ১৩২০ বিঘা ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমির মৎস্য ঘের গেল বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে জবরদখল করে নেয় অস্ত্রধারী ভূমিদস্যুরা। দখল পরবর্তী ঘেরগুলো থেকে মাছ সহ অন্যান্য সম্পদ লুট করে ভূমিদস্যুরা। বর্তমানে জবরদখলকৃত প্রায় ৩শ মালিকের গোটা সম্পত্তি বেআইনীভাবে ভূমিদস্যুরা তাদের পৈত্রিক জমির মতো ভাগ বাটোয়ারা এবং বিক্রয় করে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের আলোকে তিনি বলেন, খলিশাখালীতে অবস্থানরত ভূমিদস্যুরা অধিকাংশই বহিরাগত। সেখানে বর্তমানে বেশ কয়েকটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক বেচাকেনা, জুয়ার আসরসহ সব ধরনের অপকর্ম বর্তমানে খলিশাখালীতে সংঘটিত হচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। খলিশাখালীতে অবস্থানরত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনী গুলো ক্রমশ উপজেলা জুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে দেবহাটাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। সেজন্য প্রতিদিন খলিশাখালীতে পুলিশের টহল অব্যহত থাকবে। নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী আরোও বলেন, ভূমিদস্যুরা দিনদিন যেন খলিশাখালীকে দেবহাটা থেকে বিচ্ছিন্ন আরেকটি আজব রাজ্য বানিয়ে ফেলছে। সেখানে আইনের শাসন কমে যাচ্ছে এবং দিনদিন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে সন্ত্রাসী বাহিনী ও ভূমিদস্যুরা। ইতোমধ্যেই খলিশাখালী থেকে ভূমিদস্যুদের চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, খলিশাখালীর ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনী গুলোর মদদদাতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন। সভায় বক্তৃতাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, খলিশাখালীর ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা যেকোন মুহুর্তে দেবহাটা উপজেলাতে ২০১৩ সালের মতো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য তাদের উচ্ছেদে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান বলেন, খলিশাখালী জনপদ দিনদিন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও দাগী অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিনত হচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার আগেই তাদেরকে সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে। ইতোমধ্যেই খলিশাখালীর ভূমিদস্যুরা পাশ্ববর্তী রাঙাশিষাসহ আরোও কয়েকটি এলাকা দখলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে খলিশাখালী থেকে এসব ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করে গোটা সম্পত্তি প্রকৃত মালিকদের অনুকূলে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সভায় খলিশাখালীর দখলদারিত্বের মুল হোতা ও বহু মামলার আসামী ভূমিদস্যু আনারুল, রবিউল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেন বক্তারা।
আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় খলিশাখালী ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল, গাঁজা, ভায়াগ্রা ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী পন্য পারাপার বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির ভূমিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিজিবির টহল জোরদারের অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দরা। পাশাপাশি বছরের বিভিন্ন সময়ে সরকারিভাবে ইজারাকৃত কুলিয়া রেণু ও মৎস্য সেড থেকে বিক্রয়কৃত বিভিন্ন নদ-নদীর গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা পরীক্ষা নীরিক্ষা কিংবা কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান ছাড়াই ‘ভারতীয়’ আখ্যা দিয়ে বিজিবি কর্তৃক জব্দ ও বিনষ্টের মধ্যদিয়ে বাজারের ইজারাদার, ব্যবসায়ী ও ঘের মালিকদের আর্থিক ক্ষতিসাধনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্তের রেজুলেশন করা হয়।
জিয়াউর রহমানের পর্বত সমান ইমেজের সামনে কারও ইমেজ দাঁড়াতে পারেনা: আবদুল হাই শিকদার
খবর বিজ্ঞপ্তি
৭ নভেম্বরের পরাজিত শত্রুরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রেখেছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট কবি, সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, গণঅভ্যূত্থান ঘটিয়ে এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে। জিয়াউর রহমানের ইমেজের কাছে পরাস্থ গোষ্ঠী তাকে নিয়ে কূতসিত, জঘণ্য, মিথ্যাচারে জড়িত অভিযোগ করে পাড়ায় মহল্লায় জিয়া বিদ্বেষীদের তালিকা তৈরির আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এদের কাজের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মীদেরকে কোন দলের কর্মীর মতো আচরণ না করে ন্যায়ানুগন আচরণ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সংশোধন হন, নতুবা সমুহ বিপদ আছে।
স্বাধীনতার মহান ঘোষক, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, উন্নয়ন ও উতপাদনের রাজনীতির সূচনাকারী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দেশের খ্যাতনামা কবি সাহিত্যিক আবদুল হাই শিকদার এসব কথা বলেন। বুধবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান এক ও অভিন্ন স্বত্তা। পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কদের শাসন ব্যবস্থার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এক জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে যে অবদান রেখেছেন এবং পরবর্তীতে স্বতন্ত্র বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পরিচয় দান করেছেন তা বিশে^র ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের পর্বত সমান ইমেজের সামনে আর কারও ইমেজ দাঁড়াতে পারেনা। একজন যখন সুটকেস গুছিয়ে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পনের জন্য প্রস্তত, সেই সময় জিয়াউর রহমান উই রিভলট ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করলেন। আওয়ামী লীগের যেখানে ব্যর্থতা সেখানেই জিয়ার সফলতা। এই জন্য এই কুখ্যাত শাসক গোষ্ঠী সর্বশক্তি নিয়ে জিয়ার ইমেজকে কালিমালিপ্ত করতে ঝাপিয়ে পড়েছে।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, শেখ মুজিব হত্যায় যারা জড়িত, তাকে হত্যার পরে যারা মন্ত্রী এমপি হয়েছেন, সংসদে যারা ইনডেমনিটি বিল পাশ করেছেন, যারা বলেছেন বাংলাদেশে ফেরাউনের পতন হয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, রক্ষীবাহিনী সব বাহিনী ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। যেখানে জিয়ার কোন ভূমিকা নেই। অথচ আজ সব দায় তার কাঁেধ চাপানো হচ্ছে। এই সরকার জিয়াতংকে ভুগছে।
কবি শিকদার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের জন্মদিনকে আমাদের উতসবের দিন আনন্দের দিন হিসেবে পালনের কথা ছিল। কিন্ত আজ গণতন্ত্রের সংগ্রামের আপোসহীন নেত্রী আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি কারাবন্দী। গণঅভ্যূত্থান ঘটিয়ে অসুস্থ মাকে কারামুক্ত করতে হবে। তারেক রহমান হবেন আগামীর বাংলাদেশের লেলিন অথবা আহমদ শাহ পাহলভী। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। টেক ব্যাক বাংলাদেশ শ্লোগান উচ্চারণ করে তিনি বলেন, দেশ থেকে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে, জনগনের ন্যায়সঙ্গত অধিকার সমূহ হারিয়ে গেছে। লাড়াইয়ের মাধ্যমে সকল হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রশিক্ষিত রাজনৈতিক কর্মী তৈরির ওপর গুরুত্বআরোপ করে তিনি বলেন, প্রশিক্ষীত বাহিনী ছাড়া যুদ্ধে জয়লাভ করা যাবেনা। তিনি জিয়াউর রহমানের লেখা একটি জাতির জন্ম প্রবন্ধটি পাঠের জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানান।
বিকেল ৩টায় কর্মসুচির শুরু হলেও বহু আগে থেকেই মহানগর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক মিছিল এসে সভাস্থলে এসে পৌছাতে থাকে। নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই অডিটোরিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে সামনের চত্বর ও রাস্তায় জনতার ঢল পৌছে যায়। মাগরেবের বহু সময় পরেও হাজার খানেক শ্রোতা পিনপতন নীরবতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শোনেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা। প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শেখ মুজিবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. গাজী আব্দুল বারী, বিএফইউজের সাবেক সহ সভাপতি অ্যাড. ড. জাকির হোসেন, বারের সাবেক সভাপতি অ্যাড. এস আর ফারুক, বারের সাবেক সভাপতি অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সহ সভাপতি মো: রাশিদুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ওলামা দল সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসাইন। এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
রামপালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম বার্ষিকী পালন করলো যুবদল
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৮৬ তম জন্ম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার বাসস্টট্যান্ডে অস্থায়ী কার্যালয়ে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মাসুদুর রহমান পিয়ালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এস এম আলমগীর কবীর বাচ্চুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মশিউর রহমান সুমন, ওয়াহিদুজ্জামান সাবু, শেখ নুরুল ইসলাম, হাওলাদার মাসুদ রানা, কামরুল হাসান টোকন, মৃধা রাকিবুল ইসলাম, মল্লিক হাসানুর রহমান তিতাস, নাসিম শেখ, জিয়া ফকির, মোনায়েম হোসেন, আসাদুজ্জামান, মোজাফফর হোসেন, ফেরদৌস জোয়ারদার, মোস্তাইন সরদার, কামাল হোসেন, কুতুব উদ্দিন, হালিম গাজী, ইজাজুল মল্লিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাজী ওজিআর রহমান, ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম, তামজীদ, মামুন, সবুজ, সামিন প্রমুখ। আলোচকগণ শহীদ প্রেসিডেট জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা এবং শেষে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
ফকিরহাটের নওয়াপাড়ায় ওর্য়াড আ,লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটের পিলজংগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১নং টাউন নওয়াপাড়া ওয়ার্ডের বিশেষ বর্ধিত সভা বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারন সম্পাদক মোড়ল জাহিদুল ইসলাম।
ওয়ার্ড আ,লীগের সাধারন সম্পাদক মিহির সরকার এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আ,লীগের সহ-সভাপতি সুবির কুমার মিত্র, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ ঘোষ ও ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি প্রভাষক অঞ্জন কুমার দে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ইউনিয়ন আ,লীগের সহ-সভাপতি ঢালী আব্দুল খালেক, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক অমল দত্ত মনি, সাংগঠনিক মোঃ মোশারেফ হোসেন ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক রিংকু চক্রবর্তী। সভায় সংগঠনকে সুসংগঠিত করার লক্ষে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
খালিশপুরে বৃহত্তর বরিশাল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভা ও দোয়া
খবর বিজ্ঞপ্তি
বৃহত্তর বরিশাল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় খালিশপুরস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। বরিশালের কৃতি সন্তান, ঝালকাঠি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও মংলা কাষ্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সুলতান হোসেন খানের মাতার মৃত্যুতে তার আত্নার মাগফেরাত কামনায় সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আল মামুন ফারুক, সভা পরিচালনা করেন সাঃ সম্পাদক খন্দকার খলিলুর রহমান। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ডালিম হাওলাদার, শ্রমিক নেতা জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, শ্রমিক নেতা সেলিম শিকদার, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম কাজল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউসুফ আলী শিকদার, এমদাদুল হক চুন্নু, হান্নান ডাকুয়া, মহিউল আজম খান, সুজন মালাকার, সুমন খন্দকার, খোকন হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম, মনির হোসেন, জামাল হোসেন, শেখ রিপন হোসেন প্রমূখ।
বটিয়াঘাটায় ছাত্রলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ একটি আদর্শের নাম। প্রত্যেকটি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামীতে ছাত্রলীগের মাধ্যমে দেশের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। সে লক্ষ্যে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়মে ছাত্র সমাবেশের আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা গুলি বলেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আমিরুল মোমেনীন রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান শেখ ইমন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বিএমএ সালাম, জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য দিলীপ হালদার, অধ্যক্ষ অমিতেষ দাশ, জেলা আ’লীগের সদস্য মোঃ জামিল খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম- সাধারণ সরদার জাকির হোসেন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন ইমু। সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা যুবলীগ নেতা বিধান চন্দ্র রায়, বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পলাশ রায়, প্রহ্লাদ জোয়াদ্দার, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ হাদি উজ-জ্জামান হাদী, অজিত বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অনুপম বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার সভাপতি ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য এস এম ফরিদরানা, সাংবাদিক সুমন বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিরুল্লাহ হীরা প্রমূখ।
বটিয়াঘাটায় কৃষিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তদের সম্মাননা প্রদান
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান কর্তৃক ডড়ৎষফ ঝড়রষ উধু অধিৎফ ২০২১এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায় কর্তৃক বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার অর্জন করায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার বিকাল ৩ টায় স্থানীয় কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিএই হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ কৃষিবিদ এস এম ফেরদৌস, জেলা বীজ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান, জেলা সভাপতি মোঃ মোকলেছুর রহমান মনা, প্রকৌশলী দীপঙ্কর চন্দ্র বালা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার। অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে মোঃ আব্দুল হাই খান, মিহির কান্তি বৈরাগী, কৃষ্ণ পদ, কমলেশ বালা, সাংবাদিক সুমন বিশ্বাস প্রমূখ। সভা শেষে জাতীয় পুরস্কার অর্জনকারী কর্মকর্তাদ্বয়কে অতিথিবৃন্দ সংবর্ধনা ক্রেস্ট হাতে তুলে দেন।
বটিয়াঘাটায় কাজীবাছা ও শৈলমারী নদীতে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
বটিয়াঘাটা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ কম্বিং অপারেশন-২০২২ এর আওতায় গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৫ টায় কাজীবাছা ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দী সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক জাল উদ্ধারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন । এসময় ২০ হাজার মিটার চরপাটা জাল আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে আটককৃত জাল কিসমত ফুলতলা কাজীবাছা নদীর পাড়ে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে ফেলা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্টেট মোঃ মমিনুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল মামুন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আমীর আলীসহ নৌবাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ ।
বাগেরহাটে সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ, ধর্ষকের যাবজ্জীবন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণের অপরাধে খোকা হাওলাদার (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ঘটনার ৬ বছর পরে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। সেই সাথে আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছে আদালত।
আসামী মো. খোকা হাওলাদার জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফুলহাতা গ্রামের প্রয়াত আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানাযায়, ২০১৫ সালের ৩১ মে রাত আটটার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে উত্তর ফুলহাতা গ্রামের এক কাপড় ব্যবসায়ির বাড়িতে প্রবেশ করেন মো. খোকা হাওলাদার। তখন দুই শিশু সন্তানের সামনে কাপড় ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে (২৫)ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন খোকা হাওলাদার। ধর্ষণ শেষে ব্যবসায়ির স্ত্রীর মুঠোফোন ও বেশকিছু স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান খোকা হাওলাদার। ঘটনার সময়ে ওই ব্যবসায়ি স্থানীয় ফুলহাতা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। কাজ সেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান ব্যবসায়ী। পরের দিন সকালে ওই ব্যবসায়ী খোকা হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই বছরের ২৯ আগষ্ট আদালতে খোকা হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান শেখ। ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের সংশোধিত ৯ (১) ধারায় অভিযুক্ত আসামী খোকার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রণজিত কুমার মন্ডল এবং আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী শেখ মনিরুজ্জামান।
লুটপাট দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পায়নি, আওয়ামী লীগ ও পাবে না
বাগেরহাট প্রতিনিধি
লুটপাট, দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগ ও পাবে না। আওয়ামী লীগের সকল অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিচার এদেশেই হবে। জনগনের অধিকার আদায়ে বিএনপি জনগন কে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারকে চরম শিক্ষা দেওয়া হবে। এজন্য সকলকে সোচ্চার হতে হবে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাগেরহাট শহরের সরুইস্থ দলীয় কার্য্যলয়ে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ শমসের আলী মোহনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, সাবেক জেলা বিএনপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক হাদীউজ্জামান হিরো, যুবদলের সাবেক সভাপতি মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আলী সাদ্দাম দ্বীপ, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম স্বপন, মহিলা দল নেত্রী নার্গিস আক্তার ইভা, যুবদল নেতা জসিম সরদার, ওমর আলী মুন্না,মহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নেয়ামুল কবির রাহুল প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে অঘোষিত একদলীয় স্বৈর শাসন চলছে। সবার উপর শোষন নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে সরকার। বিএনপির আন্দোলনের ভয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ১৩ জানুয়ারী বাগেরহাটের গোটাপাড়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ করেছে। এ ঘটনায় বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামসহ দলীয় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। এসময় এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বাগেরহাটে বাগান থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাগান থেকে মো. হাবিবুল্লাহ হাওলাদার(১৮) নামের এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার মধ্য বিশারীঘাটা গ্রামের নিজ বাড়ির বাগান থেকে এই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে নিখোজ ছিল হাবিবুল্লাহ।
মো. হাবিবুল্লাহ হাওলাদার বিশারীঘাটা গ্রামের আওয়াল হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের পিতা আউয়াল হাওলাদার বলেন, সারা রাত খুঁজে হাবিবুল্লাহর কোন সন্ধান পাইনি। সকালে বাগানের মধ্যে দেখি মাটির দিকে মুখ করে পড়ে আছে। একটি চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া। আমার মনে হয় রাতে কেউ তাকে হত্যা করে বাগানে ফেলে গেছে। আমি এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও সঠিক বিচার চাই।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) তুহিন মন্ডল বলেন, হাবিবুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
ডুমুরিয়ায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত : একদিনে ২৭ আসামি আটক
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গাঁজা বিক্রেতা, জিআর,সিআর মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত ২৭ আসামীকে আটক করা হয়েছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একাধিক টিম মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার ভোর রাত পর্যন্ত থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ টোলনা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৮) ও মোঃ সেলিম বিশ্বাস (৩৭ )গ্রেপ্তার করা হয়।এছাড়া জিআর ও সিআর মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী আঙ্গারদহা গ্রামের জয়দেব দাস (৪২), মিকশিমিলের মোঃ রহমাত @ রাসেল বাগচী, টিপনার মোঃ মনিরুল শেখ,আরাজি সাজিয়াড়ার বাসিত বিশ্বাস,শোভনার দেবব্রত মল্লিক ( ৩৩ ), দিবস মল্লিক ( ৫৫ ) ও ললিতা মল্লিক (৪৮), কালিকাপুরের মোঃ শহিদুল শেখ (৩৬), সেনপাড়ার নারগিস (৪২), আরাজি ডুমুরিয়ার আশিষ বিশ্বাস (৩২) ও সৌমিত্র বিশ্বাস, মধুগ্রামের আবুল কালাম (৫০), পাকুড়িয়ার মাহমুদ গাজী (৩৭), আন্দুলিয়ার রুবেল গাজী ( ৩৪ ), বরুনার চয়ন মন্ডল ( ১৮ ), চন্দন মন্ডল (১৮),অরুন মন্ডল ( ৫০ ), কোমলপুরের আঃ সালাম ফকির (৩২), মোঃ আলিমুর ও রহমান (২৭),খর্ণিয়ার বজলুর রশিদ, শোলগাতিয়ার বাপ্পী কুমার মন্ডল (২৬), চুকনগর এলাকার হাসেম আলী সরদার ও আসমা বেগম, ঘোনা মান্দারডাঙ্গা গ্রামের আকলিমা খাতুন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, পুলিশ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসামিদের আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জে বৃদ্ধার মুত্যু হলো করোনায়
বিশেষ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খাইরুন নেছা (৭২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড় টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খাইরুন নেছা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভিটস্বর গ্রামের আফজাল মন্ডলের স্ত্রী। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাজহারুল ইসলাম।বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রসূত্রে জানাগেছে, বুধবার সকাল ১০ টার দিকে অসুস্থ খাইরুন নেছাকে তার স্বজনেরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার ভিতরে শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ থাকায় নমুনা পরীক্ষায় তার ফলাফল করোনা পজেটিভ আসে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী আটক
বিশেষ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিলুপ্তপ্রায় মেছোবাঘ আটক করেছে এক গ্রামবাসী। বুধবার দুপুরে তেঘরীহুদা গ্রামের মাঠ থেকে কৃষকেরা এ মেছো বাঘটি আটক করে। বর্তমানে মেছোবাঘটি ওই গ্রামের নমির উদ্দীনের বাড়ি আটকে রাখা হয়েছে। পরে বন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলী জানান, গত কয়েক মাস ধরেই রাতে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে মৃত ছাগল পাওয়া যাচ্ছিল। ছাগলের সবগুলোই গলা কাটা বা কোন প্রাণীর কামড়ের চিহ্ন ছিল। এরপর বুধবার মাঠ থেকে একটি মেছোবাঘ আটক করা হয়। গ্রামের সবার ধারনা এই বাঘটিই হয়তো এসব ছাগলগুলো মেরে ফেলতো।
তেঘরিহুদা গ্রামের শাহিনুর রহমান জানান, গ্রামের একটি পুকুরের পাশে মেছোবাঘটি লুকিয়ে ছিল। এরপর কৃষকেরা তাড়া করে আটক করে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জোনের সহকারী বন সংরক্ষক এএফজি মোস্তফা কামাল জানান, কোটচাঁদপুর থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তাকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হচ্ছে।
দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতির পরিবারের সকলে করোনায় আক্রান্ত
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শেখ মুশার্রফ হোসেনের সহধর্মীনি সহ পরিবারের সকলেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের রোগমুক্তি কামনা, বিএনপি’র মহাসচিব ফকরুল ইসলাম আলমগীর সহ তার পরিবার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দৌলতপুর থানা বিএনপি’র উদ্যোগে গতকাল বাদ জোহর স্থানীয় দৌলতপুর বেবী স্ট্যান্ড মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানা বিএন’পির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক নান্নু, সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত হোসেন লাভলু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম শিকদার, আছাদুজ্জামান আছাদ, জাহিদ হাসান খসরু, মাসুদ রানা ডাবলু, আরমান হোসেন, মাসুদুর রহমান রানা, আশরাফ হোসেন, আব্দুল জলিল হাওলাদার, শেখ ইউনুস আলী, হারুন-অর-রশিদ, মোঃ শাহাজাহান খাঁন, সৈয়দ গাজী, শামীম আজাদ খান মিলু, খোসনুর রহমান জনি, কামরুল হোসেন এরশাদ, শওকত হায়াত, শহিদুল ইসলাম, মুক্তার হোসেন, ইকবাল ফকির, রহমান, আব্দুর রহমান, রাকিব হোসেন প্রমুখ। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বেবী স্ট্যান্ড মসজিদের পেশ ইমাম।
কুয়েটে ন্যানো টেকনোলজি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে ‘ন্যানো টেকনোলজিঃ স্মল থিংস ম্যাটার অ্যান্ড হ্যাভ পাওয়ার টু ট্রান্সফর্ম এনার্জি, হেলথ অ্যান্ড দ্যা এনভাইরনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে কুয়েটের প্রসাশনিক ভবনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আবু জাকির মোর্শেদ। সেমিনারে রিসোর্র্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরের কোপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যাচারাল সায়েন্সেস বিভাগের সেন্টার অফ ন্যানো টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিন। সেমিনার শেষে কুয়েট এবং যুক্তরাষ্ট্রের কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এতে কুয়েটের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা এবং কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. এম জামাল উদ্দিন।
দাকোপে উলাসীর উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বাজুয়া (দাকোপে) প্রতিনিধি
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উলাসী সৃজনী সংঘের উদ্যোগে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন (উই) প্রকল্পের অবহিত করন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় দাকোপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান। উলাসীর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, মাসুম আলী ফকির, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান, সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রবির রায়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা সাহাবুর রহমান, দাকোপ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজগর হোসেন ছাব্বির, ইউপি সদস্য জাহিদ ফকির, সুব্রত মন্ডল, চন্দনা রানী জোয়াদ্দার, হাফেজ শাহ আলম মীর, নারী নেত্রী রওশন আরা বেগম, উর্মিলা সরকার, সাধনা বিশ্বাস, তাসলিমা বেগম, উলাসীর রিজিওনাল সমন্বয়কারী কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী ব্রজেন্দ্রনাথ শীল প্রমুখ। কর্মশালায় উলাসীর বিগত দিনের কর্মকান্ডের প্রশংসা করে আলোচকবৃন্দ নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে দাকোপে নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
কয়রায় এসডিজি লোকালাইজেশন ইন দ্য সুন্দরবন রিজিওন বিষয়ে ওয়ার্কশপ
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি
কয়রা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ইউএনডিপির সার্বিক সহযোগিতায় এসডিজি লোকালাইজেশন ইন দ্য সুন্দরবন রিজিওন উপজেলা পর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ১৯ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ ওয়ার্কশপে সরকারি কর্মকর্তা,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক,শিক্ষক,ইউপি সচিব,এনজিও প্রতিনিধি সহ সুশীল সমাজের লোকজন অংশ গ্রহন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম। ইউএনডিপির সিএনআরএস টিমের পলাশ কান্তি হালদারের পরিচালনায় এতে বক্তব রাখেন ইউএনডিপির রিজিওনাল প্রোজেক্ট ম্যানেজার অশোক কুমার অধিকারী, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রানী সম্পদ অফিসার ডাঃ মুস্তাইন বিল্যাহ,প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাগর হোসেন সৈকত,মহিলা বিষয়ক অফিসার রেশমা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম বাহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জিয়াউর রহমান জুয়েল, প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী, আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, আছের আলী মোড়ল, সাংবাদিক হারুন অর- রশিদ, মোঃ রিয়াছাদ আলী,এনজিও প্রতিনিধি মনতোষ কুমার মধু,সরোয়ার আলম প্রমুখ।
সাতক্ষীরার মানিকহার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন
খান নাজমুল হুসাইন,সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে ও স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে নিজ মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে আবারো বাল্য বিয়ে করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে বুধবার বেলা ১১ টায় তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আহছান উল্লাহ’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ মল্লিক, অভিবাবক আনারুল মোল্লা, আব্দুল বিশ^াস, জাহাঙ্গির আলম, সাবেক ইউপি সদস্য লাভলি বেগম, জোহরা বেগম, ময়না বেগম প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, আজহারুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, মাদ্রাসাটির কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম একই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শান্তা খাতুনকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। শিক্ষককের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকার সচেতন মহল বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। একপর্যায় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে চাকরী থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। অথচ বহিস্কার থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষকের সহযোগিতায় নিয়মিত প্রতিষ্ঠানের হাজিরা দিচ্ছেন। তার মত লম্পট শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে থাকলে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। বক্তারা অবিলম্বে ওই লম্পট শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ফুলবাড়ীগেট এলাকায় জীবন-জীবিকা নিয়ে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি ||
নগরীর ফুলবাড়ীগেট বাসষ্টান্ড মোড়ে রিকশা চালক কালাম মুন্সি বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন। আগে দিনে যেখানে তিনি চার – পাঁচশত টাকা রোজগার করতেন এখন তা দুই-তিনশ টাকায় নেমে গেছে। তিনি বলেন, আগের মতো এখন আর বেশি মানুষ বাইরে আসেনা। যদি সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়, কি খেয়ে বেচে থাকবো ! সংসার কীভাবে চালাবো ।’বুধবার খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ীগেট কুয়েট রোড, ল্যাবরেটরী মোড়, মিরেরডাঙ্গা টিবি হাসপাতাল রোড, শিরোমনি বাজার , গিলাতলা সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুধু কালাম মুন্সি নয় বরং এখন সড়কে থাকা প্রায় সব রিকশা/ভ্যান চালক ও নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা একই ধরনের। একেতো কমে গেছে আয়, তার উপর রাস্তায় বের হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এ প্রসঙ্গে বাদামতলা চক্ষু হাসপাতালের সামনে বিশ্রামরত রিকশাচালক মোঃ জুয়েল মৃধা বলেন, বিশ্রাম তো আর এমনি এমনি নেই না ভাই। কোনো যাত্রী নাই। সকাল থেকে ১০০ টাকাও আয় হয়নি এখনো। দিনশেষে নিজে খেতে হবে আবার পরিবারের জন্য কিছু টাকা গ্রামেও পাঠাতে হবে। কোনো জমানো টাকাও নেই যে তা দিয়ে চলবো। এখন সব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি।পাশে থাকা দিনমজুর লিটন সরকার বলেন, কাজ তো এখন একদমই নাই, তার উপর নতুন করে করেনা ভাইরাস নাকি বেড়েছে লোক রাস্তায় বের না হলে ইনকাম হবে কোথাথেকে এদিকে আবার বাজারেও দাম বেড়েছে সবকিছুর। আগে মহসেন জুট মিলে কাজ করতাম মিলটি বন্দ হওয়ার পর যখন যে কাজ পায় সেটাই করি এখন তাও নাই। মানুষ উপার্জন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জীবন বাজি রেখে জীবিকার জন্য কাজে যাচ্ছে মানুষ। কিন্তু মহামারী করোনার আঘাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পসহ সামগ্রিক উৎপাদন ও অর্থনীতি ধসে পড়েছে। ফলে ৭০ ভাগ মানুষের উপার্জন কমে গেছে। অথচ কমেনি জীবনযাত্রার ব্যয়। উল্টো মানুষের উপার্জন কমলেও বেড়েছে জীবনযাত্রার খরচ। কেননা গত কয়েক মাসে অব্যাহতভাবে বেড়েছে চাল, ডাল, তেলসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্য, মাছ, মাংস ও শাকসবজির দাম। ফলে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে কস্ট কাটিংয়ের পথে হাঁটছেন অনেকেই। এর ফলে চাকরি হারাচ্ছেন অনেকেই। আবার রোজগার কমে যাওয়ায় যেমন বিপাকে পড়েছে মানুষ, তেমন চাকরি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী। অনেকেই নিয়মিত বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারছেন না। মানুষ বাসা ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক বাসা খালি হয়ে গেছে। কেউ কেউ বাসা বদলে অপেক্ষাকৃত কম খরচের বাসায় যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার এলাকা ছেড়ে গ্রামেই চলে যাচ্ছেন। বাড়ি ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল অনেক বাড়ির মালিকও পড়েছেন বিপাকে।স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়েও খরচ বেড়েছে। অথচ আয় বাড়েনি। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাজ হারানোর পর এখন বাসস্থানও হারানো শুরু করেছে মানুষ। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত ধরে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে শহর ছেড়েছে বহুজন। ভাড়ার আয় বন্ধ হওয়ায় বিপাকে আছেন অনেক বাড়িওয়ালা। একইভাবে জরুরি ওষুধ, ভোগ্যপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিছুদিন আগে গরিবের ডাল ভাতের সঙ্গী মোটা মসুর ডাল ছিল ৬০ টাকা কেজি। এখন সেটা ৯০ টাকা। আর এ সময়ে মোটা চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত। ফলে সাধারণ মানুষে জীবন ও জীবিকার হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর এই সংকটে সবাই এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। মানুষ সবচেয়ে বেশি অনিশ্চয়তায় পড়েছে জীবন ও জীবিকা নিয়ে। আবার এরই মধ্যে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে কর্ম হারানোর আতঙ্ক। ফলে মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন। যারা কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন আর কর্ম হারিয়েছেন তারা আবার নতুন করে দরিদ্রের খাতায় নাম লেখাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৫০জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। শেখ নাদির হোসেন লিপু শিশু কল্যাণ প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরন বিতরণ করা হয়।
বুধবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ শিক্ষা উপরণ বিতরণ করেন মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি এ কে এম হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোফিদা আক্তার জোনাকী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আদিত্য হালদার, পৌর কাউন্সিলর মোঃ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরে বিদ্যালয়ের ১শ’৫০জন শিক্ষার্থীর হাতে স্কুল ব্যাগ, খাতা, পেন্সিল, বক্স ও মিল্কভিটার দুগ্ধজাতীয় শিশুখাদ্র তুলে দেয়া হয়।
গোপালগঞ্জে মটর পার্টস ব্যবসায়ি কোটন হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে মটর পার্টস ব্যবসায়ি মিন্টু মিনা ওরফে কোটন মিনা (৪৮) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মামাতো ভাই জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বুলবুল ইসলাম।
বুধবার বেলা ১২টায় গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে কোটন মিনা প্রতিদিনের মতো তার দোকান বন্ধ করে ফকিরকান্দির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। একপর্যায় তার সন্ধান পেতে ব্যর্থ হন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন সকালে স্থানীয় লোকজন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে গোপালগঞ্জের ফকিরকান্দি নামক এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কোটন মিনার লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে।
এদিকে, আমার ভাই হারানোর বেদনায় খবরে আমরা ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়ি। আমাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। অপরদিকে, আমরা অত্যান্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করি একটি মহল এ হত্যাকান্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান বাসু হত্যাকান্ডের সাথে যোগসূত্র স্থাপনের অপচেষ্টা চালিযে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
ওই স্বার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি বাসু হত্যা মামলার পরবর্তী নির্ধারিত তারিখ।ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।নিহত কোটন মিনার ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেওয়ার কথা নয়। অথচ বিভিন্ন মিডিয়ার কোটন মিনার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
বুলবুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।পাশপাশি কেউ যাতে কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন খাদে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাতে না পারে, সে ব্যপারে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় জেলা শ্রমিক লীগ, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশের সাড়ে ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সহাস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বুধবার অভিযানের প্রথম দিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোংলা-খুলনা মহাসড়কের মোংলার দিগরাজসহ আশপাশের সাড়ে ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় মহাসড়কের দিগরাজ, বগুড়া ব্রিজ, ভাগা ও ফয়লাহাট বাসষ্ট্যান্ড এলাকার অধিগ্রহণ করা প্রায় ১০ একর সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা উপ-সচিব অনিন্দিতা রায়ের পরিচালনায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাসহ সড়ক বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা অনিন্দিতা রায় বলেন, সড়কটি ছয় লেন করার জন্য সড়কের দুই পাশে ২০ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ স্থাপনার পাশাপাশি সড়কের পাশে রাখা বিভিন্ন প্রকার মালামাল অপসারণ করছি। যাতে ছয় লেনের কাজে কোন প্রকার বাঁধার সৃষ্টি না হয়।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান একটি প্রক্রিয়া। আমরা উচ্ছেদ অভিযানের আগে সড়কের জায়গার সীমানা নির্ধারণ ও মাইকিং করে সতর্ক করেছি। এরপরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেননি, তাদের স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
নড়াইলে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ
মোঃ আবু তাহের, নড়াইল
নড়াইলে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল এবং ওমিক্রন মোকাবেলায় মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতু বন্ধন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সদরের কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ খলিল আল রশিদ।
বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিনয় মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ সুজাউদ্দিন, শিমুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল কুমার বিশ্বাস, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সেতু বন্ধন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিজয় দে, সাধারণ সম্পাদক মনোজিত পাল, নড়াইল কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজীর আলী, কবি বিপুল বিশ্বাস, পিযুষ বিশ্বাসসহ অনেকে। কম্বল ও মাস্ক বিতরণ ছাড়াও সেতু বন্ধন ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও কেককাটা হয়। সেতু বন্ধন ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় দে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এর আগে গত ২৩ নভেম্বর সদরের বিভিন্ন এলাকায় আমলকি, হরিতকি, বহেড়া, জলপাই, পেয়ারা, কাঁঠাল, আম, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২০০ চারা রোপন করেছি। এছাড়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন প্রদত্ত মাস্ক বিতরণসহ করোনা সংকটে আগদিয়া এলাকায় ২৫টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। এদিকে, ডেঙ্গু মোকাবেলায় মাইকিংসহ প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
খুবির শিক্ষাকার্যক্রম আপাতত সশরীরেই চলবে কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত
খবর বিজ্ঞপ্তি
চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ১১টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে একাডেমিক প্রধানদের সাথে উপাচার্যের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
সভায় চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস আপাতত সশরীরে চালু রাখা, একই সাথে অনলাইনের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনে মিক্সড পদ্ধতি অনুসরণের সম্ভাব্য দিকেও তিনি আলোকপাত করেন। কোভিড পরিস্থিতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে উপাচার্য বেশকিছু দিক-নির্দেশনা দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো শিক্ষার্থী এখনও টিকা গ্রহণ না করে থাকে, তাহলে তাদেরকে খুঁজে বের করে তালিকা প্রণয়ন এবং বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা গ্রহণে সুযোগ করে দিতে নির্দেশনা দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রভোস্টবৃন্দ ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ৯টায় পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এর আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক সহশিক্ষা কার্যক্রম শরীর গঠন ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। তিনি বলেন, আজ স্কুল-কলেজের শিক্ষা হয়ে গেছে কোচিং নির্ভর। এটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আশা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বর্ণ কমল রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর এ কে ফজলুল হক। আগামীকাল এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
মোড়েলগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ
মোড়েলগঞ্জে প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের স্থানীয় রাজনৈতিক দলাদলীর কোন্দলের জের ধরে ৯৬ নং বটতলা চন্দনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল হালদারের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে আসছেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক অভিভাবক।
গত রোববার সকালে ওই বিদ্যালয়েরর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগকারি ও স্থানীয় সাধারণ মানুষকে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে বসা হলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীর নানা মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ভুল বুঝাবুজির কারনে অভিযোগ দিয়েছি আমার অভিযোগপত্রটি তুলে নিবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, সোনাতন অধিকারী, সহকারি শিক্ষক হোসেল রানা, সাবেক ইউপি সদস্য আ. হাকিম মৃধাসহ স্থানীয় জনসাধারণ। প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল হালদার বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলের কারনে তিনি হয়রানী শিকার হয়েছেন। স্কুল ছাত্রী হয়রানির বিষয়টি ভিত্তিহিন।
মোড়েলগঞ্জে গাঁজা সহ ৬ মামলার আসামী আটক, ৪ বালুর ড্রেজার ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড
মোড়েলগঞ্জে প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ গাঁজা সহ ৬ মামলা আসামী শামীম বেপারী (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। আটক শামীম পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোবাহন বেপারীর পুত্র।
পুলিশের এসআই মলয় কুমার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে পৌর সদরের জুতাপট্রি খেয়াঘাট থেকে ২০ গ্রাম গাঁজা সহ তাকে আটক করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী শামীম বেপারী বিরুদ্ধে মাদক, নাশকতা, ধর্ষনের চেষ্টা সহ মোড়েলগঞ্জ থানায় ৬ টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মোড়েলগঞ্জ থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। একইদিনে সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মো. আলী হাসান বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪ বালুর ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, এম বি মায়ের দোয়া, মেসার্স হাসি খুসি এন্টারপ্রাইজ, এম বি রিফাত ইসলাম ও এম বি আমেনা মান্নান ।
বাগেরহাটে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬জন্ম বার্ষিকী পালন
স্টাফ রিপোটার
বাগেরহাটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জেলা বিএনপির আয়োজনে বুধবার বেলা ১১ টায় শহরের সরুই দলীয় কার্য্যলয়ে জন্ম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক শেখ শমসের আলী মোহনের সভাপতিত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনা ও দেশ প্রেম নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, সাবেক জেলা বিএনপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক হাদীউজ্জামান হিরো, যুবদলের সাবেক সভাপতি মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আলী সাদ্দাম দ্বীপ, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম স্বপন, মহিলা দল নেত্রী নার্গিস আক্তার ইভা, যুবদল নেতা জসিম সরদার, ওমর আলী মুন্না,মহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নেয়ামুল কবির রাহুল প্রমুখ।
বক্তারা বাগেরহাটে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্ননা করে বলেন, দেশে অঘোষিত একদলীয় স্বৈর শাসন চলছে। সবার উপর শোষন নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে সরকার। এমনকি নানাভাবে অত্যাচার নিপিরণসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চালানো হচ্ছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামসহ দলীয় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বক্তারা এ সকল মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এভাবে আর চলতে দেওয়া যায়না। এখনই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বিএনপির আন্দোলনের ভয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ১৩ জানুয়ারী বাগেরহাটের গোটাপাড়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ করেছে। এ ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা করেছে। বক্তরা হুসিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, হামলা মামলা করে জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি কে দমিয়ে রাখা যাবে না। লুটপাট, দুর্নীতি করে এ দেশে কেহ রেহাই পায় নাই। আওয়ামী লীগ ও পাবে না। জনগনের অধিকার আদায়ে অনতিবিলম্বে বিএনপি জনগন কে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করবে। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আবুবক্কর।
মোরেলগঞ্জে একটি পুলের অভাবে ঝুঁকিতে শক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পল্লীতে একটি পুলের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে একটি পুল নির্মানে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছনা বলে দাবি এলাকাবাসীর।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গড়ঘাটা ও কুমারখালী খালের ওপরে এ বাঁশের সাঁকোটির অবস্থান। দীর্ঘ ৮-১০ বছর যাবৎ স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে ঝুঁকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারপার হতে হচ্ছে। ইতোপূর্বে এখানে একটি কাঠের পুল থাকলেও তার অস্তিত্ব বলতে কয়েকটি লোহার খাম্বা দৃশ্যমান রয়েছে। সাঁকোটির পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে পার কুমারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পার কুমারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
পার কুমারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক একরামুল কবির জনান, এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। যেকোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পাওে বঢ় ধরনের দূর্ঘটনা। আর দূর্ঘটনার আশঙ্কায় এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে চায়না অনেক শিক্ষার্থী।ওই ইউনিয়নের কুমারখালীর ওয়ার্ড মেম্বার প্রিন্স হোসেন ও গড়ঘাটার ওয়ার্ড মেম্বার হাসিব শেখ জানান, জোড়া তালির মাধ্যমে সাঁকোটি চলাচলের জন্য সচল রাখা হয়েছে। পুনঃনির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সরকারী বরাদ্ধ পেলে পুলটি নির্মানে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দাকোপে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্প
মোঃ শামীম হোসেন – বাজুয়া
মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো খুলনার দাকোপের বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদে মানুষ গৃহস্থালি কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাশের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হত বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র। দাকোপ উপজেলার পানখালি, তিলডাঙ্গা, কামারখোলা, চুথরখালি, দাকোপ, বানিশান্তা, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোব, বাজুয়াসহ কয়েকটি গ্রামে মাহালী পরিবার ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেতের শিল্পকে আকড়ে ধরে রেখেছেন একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। সরেজমিনে দেখা যায়, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর দিন দিন বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজার গুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এ্যালুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়। তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর।
জানা যায়, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থাথী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। বাঁশ ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব পণ্য বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবন যাপন। এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলা গুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খাল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে। যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়ায় ভাগ্যের ব্যাপার। যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে। চাঁদপুর গ্রামের বাঁশ-বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা চিত্তরঞ্জন পাহান বলেন, বাঁশ-বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছে। অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তিনি।বাজুয়া দাসপাড়া থেকে মৃত্যুঞ্জয় বলেন বাপ- দাদার পেশা ছাড়তে পারছি না এক সময় আমাদের তৈরি পূণ্যর কদর ছিল এখন আর নাই। তাই এই পেশা থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছে সকলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্প।
মোংলায় সুপেয় পানি ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে মানববন্ধন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জলবায়ু ন্যায্যতা ও সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে পৌর শহরতলীর দক্ষিণ কাইনমারী এলাকার পশুর নদীর পাড়ের অধিবাসীদের অংশগ্রহণে বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এবং ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড জার্মানী’র সহযোগীতায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সংগঠক মো. নূর আলম শেখ। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের নেত্রী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার কমলা সরকার, মোংলা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, বাপা নেতা নদীকর্মী হাসিব সরদার, বাদাবন সংঘ’র রাকেশ সানা, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের নেত্রী চন্দ্রিকা মন্ডল, শিউলি স্বর্ণকার ও স্বপ্না খান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের চারপাশে পানি থৈ থৈ করলেও খাবার পানি নেই। নিরাপদ পানির গভীর সংকটে আমরা নিমজ্জিত। নিরাপদ পানির অভাবে নদীর এবং পুকুরের লবণাক্ত পানি পানি পান করে পশুর নদীর পাড়ের মানুষেরা নানাবিধ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে নারীরা সুপেয় পানির অভাবে নানাবিধ শারিরীক সমস্যায় ভুগছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে ফলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন, কৃষিসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র হুমকিতে। বক্তারা জীবাশ্ম জালানি থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে সরে এসে নবায়িত জ্বালানী শক্তি গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষতিপূরণ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জোর দাবী জানান।
পাইকগাছার দেলুটিতে পরিকল্পিত উপায় চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ধান চাষের দাবিতে মত বিনিময় সভা
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় ২১ নং পোল্ডারে পরিকল্পিত উপায় ও পরিবেশ সম্মত চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ধান চাষ অব্যহত রাখার দাবিতে জমির মালিকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টায় সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিকেতন স্কুল মাঠে হাজারও জমির মালিকরা এ মত বিনিময় সভা করে। জমির মালিক শেখ সুলতান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেলুটি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নির্মল কান্তি মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক জিতেন্দ্র নাথ ঢালী কালীদাশ রায, বিভুতি ভুষন রায়, ভোল্টন মন্ডল, মোঃ আবুল হোসেন গাজী, ব্রজেন মন্ডল, বক্তব্য রাখেন, আব্দুল আজিজ গাজী, নিরজ্ঞন রায়, মনিরুল সরদার, সুভাষ মন্ডল, প্রকাশ মন্ডল, আব্দুর রহমান মল্লিক, শফিকুল সরদার, মুজিবুর রহমান গাজী, আবুল কাশেম গাজী, স্বপন বিশ্বাস, পলাশ মোড়ল, মোকসেদ জোয়াদ্দার, গোলাম মোস্থফা গাজী, মান্নাব গাজী, দিপক মন্ডল, কালীপদ মন্ডলসহ হাজারো জমির মালিক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জমির মালিকরা বলেন আমাদের ২১ নং পোল্ডারে ১১ হাজার বিঘা জমি রয়েছে। আমরা দির্ঘ আশি দশকের পর থেকে চিংড়ী চাষের পাশাপাশি ধান চাষ করে আসছি। আমরা এ এলাকা থেকে প্রায় ১শ কোটি টাকার চিংড়ি, ১২ কোটি টাকার কাঁকড়া, ১৫ কোটি টাকার হরিনা চিংড়ি, ২৫ কোটি টাকার সাদা মাছ, এবং ৩৫ কোটি টাকার ধান উৎপাদন করে থাকি। কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করে আসছে। আমরা ৯৫ শতাং জমির মালিকরা চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ধান চাষের জন্য রায় দিয়েছি।
নগরীতে হিউম্যান রাইটস্ প্রোটেকশনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ
খবর বিজ্ঞপিটÍ
নগরীতে হিউম্যান রাইটস্ প্রোটেকশনের পক্ষ থেকে গরীব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার(১৯ জানয়ারী) সন্ধ্যায় নগরীর ছোট মির্জাপুরস্থ সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। হিউম্যান রাইটস্ প্রোটেকশনের চেয়ারপার্সন ডা. এ কে এম কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এজাজ আহম্মেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম ডিএ বাবুল রানা। এছাড়াও উপস্থি ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা এস এম আকিল উদ্দিন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন লাভলু প্রমুখ। উল্লেখ্য হিউম্যান রাইটস্ প্রোটেকশন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গরীব ও দুস্থদের শীত নিবারনের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারধর করল হাসপাতাল কর্মচারী
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ||
শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে নিয়ে জাহিদুল ইসলাম হাসপাতালে এসেছিলেন করোনার টিকা দিতে। হাসপাতালে প্রবেশের সময় কর্মচারীর মোটরসাইকেলে হালকা ধাক্কা লাগে। এরপর স্ত্রীর সামনেই ইজিবাইক চালকে মারধর শুরু করেন হাসপাতালের কর্মচারী সাইফুল। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হননি। জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইকটিও ভাংচুর করতে দ্বিধাবোধ করেননি। বুধবার দুপুরে এমনই ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
মারধরের শিকার ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম উপজেলার বনখিদ্দা গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন জাহিদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুরের দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে একটি ইজিবাইকের সঙ্গে হাসপাতালের পোর্টার সাইফুল ইসলামের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এরপর একটু বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরপর সাইফুল ইজিবাইক চালক তার স্ত্রী ও সন্তানের সামনে শার্টের কলার ধরে তাকে মারধর করে এবং পাশ থেকে একটি লাঠি নিয়ে ইজিবাইক ভাংচুর করে। এ সময় ইজিবাইক চালক নিরুপায় হয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরের দিকে ৬ মাসের শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে নিয়ে করোনার টিকা নিতে কালীগঞ্জ হাসপাতালে প্রবেশের সময় গেটে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগে। এরপর মোটরসাইকেলে থাকা সাইফুল তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এরপর লাঠি নিয়ে ইজিবাইক ভাংচুর করে। এ সময় সন্তানকে কোলে নিয়ে তার স্ত্রী ইজিবাইকে বসে ছিলেন। একমাত্র ইজিবাইকটি তার উপার্জনের একমাত্র সম্বল।
জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী শান্তনা খাতুন বলেন, তার সামনেই তার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। ইজিবাইক ভাংচুরের সময় তিনি সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন। ইজিবাইকের সামনের গ্লাস ভাংচুর করার সময় কাঁচের টুকরা তার ও সন্তানের শরীরে লাগে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত হাসপাতালের পোর্টার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দেয় ইজিবাইকটি। এ সময় তার মোটরসাইকেলের একটি লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়।
মারধর ও ইজিবাইক ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যদি মরে যেতাম? তখন আপনারা কি করতেন?
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষকের হাত ভেঙে দিলেন নতুন চেয়ারম্যান!
মাগুরা প্রতিনিধি ||
মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করতে রাজি না হওয়ায় মাগুরার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা একজন শিক্ষককে হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মাগুরার সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা বুধবার হাসপাতালেও সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে হুমকি দেয়ায় তিনি ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুপুরে মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সদর উপজেলার ছোটজোকা আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শাহাদত হোসেন অভিযোগ করেন, মাদ্রাসাটির পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত সপ্তাহে তিনিসহ ৪ জনকে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে। এখন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার অনুযায়ী সভাপতি নির্বাচনের অপেক্ষা। এ অবস্থায় নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা সোমবার রাতে সভাপতি হিসেবে সমর্থন চেয়ে একটি আবেদন পত্রে তার স্বাক্ষর দাবি করেন। কিন্তু শাহাদত হোসেন স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তার মোটরসাইকেলের হেলমেট খুলে একের পর এক আঘাত করেন। একই সঙ্গে চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা অন্যান্যরাও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ঘটনার পর ওই রাতেই তিনি মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হন।
হামলার শিকার শিক্ষক শাহাদত হোসেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসার সময় চেয়ারম্যান এ বিষয়ে থানা পুলিশ না করতে স্থানীয় মাতবরদের তার কাছে পাঠিয়েছে। বুধবার সকালেও শহরতলী পারলা গ্রামের চিহ্নিত কিছু লোকজন পাঠিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে নিরাপত্তার পাশাপাশি হামলার বিচার চেয়ে পুলিশের কাছে এসেছি।
তবে অভিযুক্ত বেরইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা ওই শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষক সম্পর্কে আমার ভগিনীপতি। কিন্তু তার চরিত্র ভালো নয়। পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে তার আত্মীয় হোসেন মোল্যার বাড়িতে আমাদের বৈঠক ছিল। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে সে পড়ে গিয়ে আঘাত পেতে পারে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে তার সমর্থন দাবির বিষয়টি সত্য নয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় শত্রুজিতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কাশেম বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হলে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।
চোর চক্রের ২৫ সদস্যের নামে মামলা
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গম লুট করার দায়ে চোর চক্রের ২৫ সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দর্শনা সার্কেলের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর হাসান শিহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নামোল্লেখসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দর্শনা রেল বন্দরের ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়লে তারা গমের বস্তা ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।
দর্শনা রেল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা গম রেলপথ দিয়ে দর্শনা ইয়ার্ডে এসে পৌঁছায়। এ সময় ওই ইয়ার্ডে বিপুল পরিমাণ গম মজুদ ছিল। মঙ্গলবার রাতে ২০-২৫ জনের একটি চোরচক্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেলের ওয়াগন ভেঙ্গে গম লুট করার চেষ্টা করে। এ সময় রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে তারা ৭ বস্তা গম ফেলে পালিয়ে যায়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
টিকা নিয়ে ফেরার পথে ছাত্রীদের বাসে হামলা, জ্ঞান হারায় ২০ জন
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ||
যশোরের কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে (করোনা টিকা) বাসে বাড়ি ফেরার পথে একদল বখাটে যুবক স্কুলছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকার ওপর হামলা করে। বখাটেদের হামলায় অন্তত ২০ জন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। ৪ জন ছাত্রী আহত হয়।
বখাটেদের হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন এলাকার চৌকিদার লিয়াকত হোসেন। তিনিও সন্ত্রাসীদের হামলায় জ্ঞান হারান।
ঘটনাস্থল কেশবপুর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পাঁজিয়া বাজারে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, বাসভাড়া করে কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৭৮ জন ছাত্রী নিয়ে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে। তাদের সঙ্গে ছিলেন স্কুলের ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। টিকা নিতে গেলে বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করলে পথে বাসে হামলা করে বখাটেরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলাই কুমার ব্রহ্ম জানান, সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছে স্কুলছাত্রী জুঁই বিশ্বাস, শিক্ষক উজ্জ্বল বৈরাগী, মহেন্দ্র নাথ, শিক্ষিকা রাখি ঢালি, শিক্ষার্থী ইয়াসমিন, প্রিয়া মণ্ডল, কেয়া মণ্ডল, তাহমিনা খাতুন, শ্রাবণী মণ্ডল। এ সময় আতঙ্কে প্রায় ২০ জন ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কয়েকজন ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। জুঁই মণ্ডলকে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের পাঁজিয়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলাই কুমার ব্রহ্ম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কেশবপুর থানার এসআই তাপস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
প্রেমিককে বাসায় এনে সর্বনাশ করেন রেখা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রথমে প্রেম করেন। এরপর বাসায় ডাকেন। তারপরই সর্বনাশ। প্রেমিককে বাসায় ডেকে মারধর করে সব হাতিয়ে নেন। জিম্মি করে মুক্তিপণও আদায় করেন।
প্রেমের নামে এভাবেই অভিনব উপায়ে প্রতারণা করেন মোছা. রেখা খাতুন (৩০)। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি। এক সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে।
মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের হাসপাতাল এলাকা থেকে এই প্রতারককে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, রেখা একজন প্রতারক। তিনি প্রতারণার জন্য প্রেমের ফাঁদ পাতেন। এই প্রতারণার জন্য তার আলাদা একটি চক্রও আছে। চক্রের বাকি সদস্যরা পুরুষ। রেখা সহজ সরল এবং অপেক্ষাকৃত বয়স্ক লোকদের সঙ্গে প্রেম করেন। এরপর তাদের বাসায় নিয়ে আসতেন। বাসায় আসলেই চক্রের পুরুষ সদস্যরা মারধর করে তার মোবাইল ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতেন।
এরপর নগ্ন ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করতেন। একই কায়দায় মঙ্গলবার ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে জিম্মি করেন রেখা ও তার দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রেখাসহ তার সহযোগী আলী হিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আরও দুইজন পালিয়ে যান। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। মাহমুদ হাসান খান বাবুকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুমোদিত কমিটিতে যারা রয়েছেন-
আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্য সচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, খাজা আবুল হাসনাত, এম জেনারেল ইসলাম, রউফুন নাহার রিনা, মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, মো. আব্দুল জব্বার বাবলু, আনোয়ার হোসেন খান (খোকন), মো. শাহজাহান কবীর, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোকাররম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন- মাহতাব উদ্দীন (চুন্নু), মো. আজিজুর রহমান পিন্টু, মো. রাফিতুল্লাহ মহলদার, হাবিবুর রহমান (বুলেট), মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, মাহমুদুর রহমান তরফদার, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, আবুল কালাম আজাদ (উথুলী), মো. মনিরুজ্জামান লিপ্টন, মো. আমিনুল হক (রোকন), সালমা জাহান পারুল, মো. জিল্লুর রহমান (পল্টু), আবুল হোসেন তোহা, নীলিমা ইসলাম বিশ্বাস ও নুর নবী সামদানী।
করোনায় আক্রান্ত নগর বিএনপির সদস্য সচিব
স্টাফ রিপোর্টার।।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। উপসর্গ দেখা দিলে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) করোনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোট-এ করোনা পজিটিভ আসে। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন বলে জানিয়েছে বিএনপি নেতা আজিজুল হাসান দুলু। দুলু খুলনাঞ্চলকে জানান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন শারীরকভাবে সুস্থ আছেন এবং তার মনোবল অটুট রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সুস্থতা কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন।