কোটি টাকা নিয়ে এনজিও ম্যানেজার উধাও

4
Spread the love

 যশোর  অফিস।।

যশোরের চৌগাছায় গ্রাহকের এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও নিবন্ধন বিহীন ‘পল্লী অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা (পিডো)’ নামে একটি এনজিও’ম্যানেজার সবুজ কুমার। সংস্থাটির সলুয়া বাজার শাখার হিসাবরক্ষক দুইজন মাঠকর্মী বৃহস্পতিবার চৌগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন। এর আগে সংস্থাটির আড়পাড়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন সংস্থাটির সলুয়া বাজার শাখার হিসাবরক্ষক সুমন হোসেন। সময় এই শাখার দুই মাঠকর্মী আদুরী খাতুন এবং মুন্নী খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে ‘পল্লী অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা (পিডো)’ চৌগাছা উপজেলার সলুয়া বাজারে শাখা খুলে আশেপাশের চৌগাছা যশোর সদর উপজেলার ১০-১৫টি গ্রামে কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। আমরা সংস্থার সলুয়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপক চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের সবুজ কুমারের কাছ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ডিপিএস, সঞ্চয়, এফডিআর সীমিত পরিসরে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। আমাদের সঙ্গে ব্যবস্থাপক সবুজ কুমারের স্ত্রীর বড় বোন শিউলি বালাও মাঠকর্মীর কাজ করতেন। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্তও আমরা সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করি। সময় বার্ষিক ক্লোজিং কার্যক্রম চলছিল। ব্যবস্থাপক সবুজ কুমারও আমারদের সাথে ২৮ ডিসেম্বর অফিস করেন।

২৯ ডিসেম্বর সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ব্যবস্থাপকের স্ত্রীর বড়বোন শিউলি বালা মাঠকর্মী আদুরী খাতুনের মোবাইলে কল করে বলেন, ‘দাদাকে পাচ্ছি না। সে হয়তো কোথাও চলে গেছে। সবাই একটু তাকে খোঁজ করেন।’ এরপর আমরা মাঠকর্মীরা সবাই মিলে ব্যবস্থাপক সবুজ কুমারের গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখতে পাই তার বাড়িতে তালা ঝুলানো রয়েছে। এর দুইদিন পর সবুজ কুমারের স্ত্রীর বড় বোনকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে তাঁর বাবার বাড়ি উপজেলার বাড়িয়ালী গ্রামে গেলে দেখি তিনিও স্বামী-সন্তান নিয়ে পালিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, গ্রাহকদের বিভিন্ন হিসাবের প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টাকাসহ ব্যবস্থাপক পালিয়ে যাওয়ার পর সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। তার স্ত্রীর বড় বোনও তাদের সাথে যোগসাজসে পালিয়েছে। আমাদের সাত মাসের বেতন বাকি। এখন গ্রাহকরা তাদের টাকার জন্য আমাদের চাপ দিচ্ছেন।

বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এমন কোনো সংস্থার নিবন্ধন যশোরে নেই। সংস্থাটির চৌগাছার আড়পাড়া শাখার বিরুদ্ধেও কিছুদিন আগে এমন অভিযোগ উঠেছিল।