সারা খুলনা অঞ্চলের খবরা খবর

76

 বড়দলে নৌকা প্রতীকের বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত

আশাশুনি প্রতিনিধি

আশাশুনির বড়দল ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিশাল পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামীলগের সভাপতি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুরঞ্জন ঢালীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আলিমকে নির্বাচিত করে অবহেলিত ইউনিয়নের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে শেখ হাসিনাকে সন্মানিত করুন। নৌকার ভোটার নৌকায় ভোট দিতে ভয় করবে একথা শুনে অবাক হচ্ছি। আপনারা সকল ভয়ভীতি দূর করে এখন থেকে বলুন নৌকায় ভোট দেব। যদি কোন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয় আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো। নৌকা সে নৌকা না বলে যারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন তারা নিজেদের শুধরে নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঋণ শোধ করুন। নাহলে যেসব নেতাকর্মী নৌকার প্রার্থীদের বিরোধীতা করছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, জেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক মিহির কান্তি মন্ডল। সাংবাদিক এম এম সাহেব আলী শিক্ষক উত্তম মন্ডলের উপস্থাপনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত ছিলেন, কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এন এম বি রাশেদ সরোয়ার শেলী, সেলিম রেজা, লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তুহিন, আঃ রহমান ফকির, মতিলাল সরকার, বিকাশ চন্দ্র মন্ডল,  সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আজ ছাত্রদলের ছাত্র গণ জমায়েত সাবেক নেতাদের সংবর্ধনা

খবর বিজ্ঞপ্তি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (জানুয়ারী) সোমবার খুলনায় সাবেক ছাত্র নেতাদের সংবর্ধনা ছাত্র গণ জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত কর্মসূচি যৌথভাবে আয়োজন করেছে খুলনা মহানগর জেলা ছাত্রদল। বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এবং ছাত্রদল যুবদলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। কর্মসূচি সফল করতে গত এক সপ্তাহ ব্যাপি ব্যাপক প্রস্ততি চলেছে। বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে দিকনির্দেশনায় ছাত্রদলের  সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি সফল করতে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে। থানা ইউনিট কমিটির প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিএনপির সকল থানা কমিটি এবং যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্ততি সভার মাধ্যমে কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করতে গ্রহণ করেছে নানা কর্মকৌশল।

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি : ছাত্র গণ জমায়েত সফল করতে সোনডাঙ্গা থানা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রস্ততি সভা ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে রবিবার বিকেলে হাফিজুর রহমান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির সাবেক যুবনেতা জালাল শরীফ। সাজ্জাদ আহসান পরাগের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বক্তব্য রাখেন আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শফিকুল ইসলাম হোসেন, তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, আশফাকুর রহমান কাকন, মিরাজুল ইসলাম, হাসানুর রশিদ মিরাজ, আল জামাল ভূঁইয়া, শেখ জামালউদ্দিন, তারিকুল ইসলাম তারেক, তাজিম বিশ^াস, মুসা খান, সিরাজুল ইসলাম, খায়রুল বেনু, মঈদুল হক টুকু, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল হালিম, বাকার, আজিজুল, হাবিবুর রহমান, আবু ওয়ারা, নুর মোহাম্মদ, ডা. আব্দুল হালিম, ইউনুস মোল্লা, আলমগীর হোসেন আলম, ওয়াহিদু হাওলাদার, বিপ্লব, আব্দুল গফফার, ইব্রাহিম হাওলাদার, মিজা মাহমুদ, মাহমুদ আলম শামীম, নজরুল ইসলাম, শাহ আলম, মিজানুর রশিদ মিজান, ইয়াজুল ইসলাম এ্যাপোলো, জাহিদুল ইসলাম খোকন, হাবিবুর রহমান বিপুল, বদরুল আলম রয়েল, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনি, রিয়াজুল কবির, জোবের আলম তুয়াজ, সোহেল, সাকারুল ইসলাম সুমন, হিরা, মাহবুব, সাইফুল মল্লিক, লাবু বিশ^াস, নজরুল ইসলাম বাবু, লালু, আলমগীর হোসেন,নুর হোসেন বাদল, ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, আব্দুল আহাদ শাহিন, তরিকুল ইসলাম নকিব, ইসমাইল হোসেন, শেখ মারজান হোসেন, ইকবুল রহমান ইমুল প্রমুখ। সভা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জোর দাবি জানানো হয়। সভা থেকে ছাত্র গণ জমায়েত সফল করতে সোনাডাঙ্গা থানার ৭টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ সোনালী ব্যাংক চত্বরে জমায়েত হবেন এবং মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের ২০ বছর পূর্তিতে কয়রা বাজার আউটলেটে কেক কেটে উদযাপন

খবর বিজ্ঞপ্তি

অবিচল আস্থা অর্জনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্যাংকিং সেবায় সম্ভাবনার পথে সীমানা ছাড়িয়ে ২০ বছর পূর্ণ করেছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাংক ব্যাংক লিমিটেড। উপলক্ষে কয়রা বাজার আউটলেটে কেক কেটে ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার (জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় কয়রা আউটলেটে কয়রা বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সাংবাদিক শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কয়রা সদর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মন্ডল, ব্র্যাক এজেন্ট ব্যাংকের এআরও মোঃ পারভেজ মিয়া, কয়রা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হারুন অর রশীদ, সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম, চৌকুনি কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার রায়, এ্যাডঃ আনিছুর রহমান, ব্র্যাংক ব্যাংকের রিলেশনশীপ অফিসার আশিস চৌধুরি, শাহানুর রহমান, রাজিবুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের কোষাধাক্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাসারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিলন, আ্শরাফুল, শিপনসহ কয়রা বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা উদ্যোক্তাদের এসএমই সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষকে সেবা দেওয়ার দিক থেকে ব্র্যাক ব্যাংক এখন দেশের বৃহত্তম আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম।

গোপালগঞ্জ শেখ রাসেল শিশু পার্কে হামলার ঘটনায় মামলা

অর্জুন বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ শেখ রাসেল শিশু পার্কে সন্ত্রাসীদের হামলা লুটপাটের ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেখ রাসেল শিশু পার্কের ইজারাদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শিকদার বাদী হয়ে নং আসামী আজিবুল এর নাম সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০/১২ জন অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং:পি-১৪ তারিখ:০১/০১/২০২২। মামলা সূত্রে জানা যায়,  শেখ রাসেল শিশু পার্কের ইজারাদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শিকদার গোপালগঞ্জ পৌরসভা থেকে এক বছরের জন্য পার্কের ইজারা নেয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়  এলাকার চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ চাঁদাবাজ প্রকৃতির কতিপয় সন্ত্রাসী বিনা টিকিটে ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে তাদের বাধা প্রদান করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইজারাদার এর কাছে প্রতিদিন হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আজিবুল খাঁ, বাপ্পি কাজী আকাশ কাজী মিলন শেখ হাবিব শেখ নাজিম গাজী আরাফাত খান শাওন শেখ নিজাম শেখ অপুকাজি আরমান কাজী মেহেদী শেখ নাদের সেখ সহ অজ্ঞাত আরও ১০/২০ জন ইজারাদার জাহাঙ্গীর শিকদার এর উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সময় তাদের হাতে থাকা লোহার রড হাতুড়ি রামদা চাইনিজ কুড়াল চুরি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভিতরে থাকা একটি মোটরসাইকেল একটি ফ্রিজ প্রবেশ গেট ভাঙচুর করে আনুমানিক লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এসময় ইজারাদারের ছেলে ফারুক সিকদার আল আমিন সিকদার বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদের মারাত্মক আহত করে। সময় উক্ত সন্ত্রাসীরা ইজারাদার এর পকেটে থাকা বিদ্যুৎ বিলের ৬১ হাজার টাকা একটি অপ্প মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। জীবন বাঁচানোর জন্য চিৎকার করিলে কতিপয় লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে। উক্ত সন্ত্রাসী ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পূর্বে প্রতিদিন হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় হলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে স্থান ত্যাগ করে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইজারাদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শিকদার এর দুই ছেলে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনির জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত চলছে আশা করি দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

অভয়নগরে ৪৬ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা আটক ১০

স্টাফ রিপোর্টার

যশোরের অভয়নগরে আতœঘাতী কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের চেষ্টার অভিযোগে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আটক পলাতক ৩৬ জনকে আসমী করে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক বনি-আমিন। আটক আসামীরা হলেন, নওয়াপাড়া গুয়াখোলা গ্রামের কামরুজ্জামাওে পুত্র নওয়াপাড়া পৌর বিএপির যুগ্ম-আহবায়ক আসাদুজ্জামান জনি(৩৮), রাজঘাট এলাকার মো, জাকির হোসেনের পুত্র পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মো.আকরাম হোসেন কুরাইশী(৩৬), কোটা গ্রামের ওমর আলীর পুত্র থানা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুর রহমান (৩৫), বনগ্রামের বেনজীর আহম্মেমের পুত্র থানা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ পরিভেজ সাথী(৩৮), বাগদা গ্রামে সাকাওয়াত সরদারের পুত্র যশোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২), পাইকপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদ শেখের পুত্র থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান ইউসুফ(২৯), পায়রা গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তানভির আহম্মেদ(২৫), বাগদা এলাকার আতিয়ার রহমান বিশ^াসের পুত্র জেলা ছাত্রদলের সদস্য মামুন বিশ^াস(৩০), চলিশিয়া গ্রামের ইনতাজ আলীর পুত্র শহিদুল ইসলাম(২৫), বাগুটিয়া গ্রামের সরোয়ার শেখের পুত্র ইকবাল শেখ(৩৫)মামলা সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারী (শরিবার) ৮,৩৫টায়(রাত) উপজেলার একতারপুর তালতলাহাট চাঁর রাস্তার মোড়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সড়কপথ, রেলপথ বিভিন্ন কলকারখানা সহ রাষ্ট্রিয় সম্পদ ক্ষতিসাধন সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার উদ্দ্যেশে এক থেকে দেড়শত বিএনপির নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা, লোহার রড সহ ইটপাটকেল নিয়ে রাষ্ট্রোবিরোধী শ্লোগান দিয়ে রাষ্ট্রিয় সম্পদের ক্ষতি চেষ্টাকালে অভয়নগর থানার এস আই বনি-আমিন, আকরাম হোসেন, ইসরাফিল আহম্মেদ শামীম, রিয়াজ হোসেন, জয়ন্ত সরকার, শাহ্ আলম, মনিরুল ইসলাম, মনিরুজামান, এস আই আব্দুল হামিদ, সিলন আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঘটনা স্থল থেকে উপরক্ত ধৃত আসামী সহ মোট ৪৬ জন কে এজাহারী অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১/১। এবিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শামীম হাসান বলেন, গ্রেপ্তার কৃত আসামীদের আজ রবিবার (জানুয়ারী) যশোর আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

বেসরকারী জুট মিল শ্রমিকদের শ্রম পরিচালকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

খুলনায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জুট স্পিনার্স, মহসেন, সোনালী, এ্যাজাক্স সহ বন্দকৃত জুট মিল চালু শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে জানুয়ারি রবিবার খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে খুলনার বেসরকারী জুট মিল শিরোমনি হুগলী বিস্কুট কোম্পানীর শ্রমিকরা কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিক নেতারা বলেন মালিকপক্ষ সবসময় চাইবে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের ঠকাতে , শ্রমিকদের দেখভাল করার দায়িত্ব কলকারখানা প্রতিষ্ঠান উপমহাপরিদর্শকের কিন্তু খুলনার করকারখানা উপমহাপরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমান শ্রমিকদের ব্যাপারে কোন কিছুই করছেননা অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়না , আটরা মিরেরডাঙ্গা শিল্প এলাকায় বর্তমানে তিব্র শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটলে  এর দায়দায়িত্ব ওনাকেই নিতে হবে শ্রমিক নেতারা বলেন শ্রমিকদের হারানোর কিছু নেই তাই বাধ্য হয়ে পাওনা পরিশোধের দাবিতে এবার আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে আগামি  জানুয়ারী বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টায় অনশন কর্মসূচি , জানুয়ারী রবিবার সকাল ১০ টায় খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমনি রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান শ্রমিক নেতারা ।  বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচি সভাপতিত্ব করেন মহসেন জুট মিলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আমির মুন্সি জুট স্পিনার্স মিলের শ্রমিক নেতা শাহ মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় সময় বক্তব্য রাখেন বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আছহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা  ইজ্ঞিল কাজী , সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেক, জুট স্পিনার্স মিলের শ্রমিক নেতা ইকবাল বিশ^াস, কাগজী ইকরাম হোসেন, আসাদুজ্জামান (আশা) , ৩৪ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক  শেখ মোঃ  ইকবাল হোসেন, মীর আনছার আলী, আবু তালেব, হাশেম গাজী,  মোঃ আল মামুন গাজী, মেহেদী হাসান, মোঃ কেসমত আলী, মোঃ সোলায়মান, খায়রুল আলম,  মোঃ আলাউদ্দিন,  সবুর, আলম, আঃ রশিদ, হাছান, আতাউর,আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, হুগলী বিস্কুট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান,  সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরহাদ মোড়ল   মোঃ ই্য়াসিন আলী, মোঃ হাফিজ , জয়, মোঃ জিন্নাহ, আলি হামযা, প্রমুখ

খানজাহান আলী থানায় গত বছরে  ৭০  মাদক মামলা, গ্রেফতার ৭৮

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত বছরে ৭০ টি  মাদক মামলার ৭৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছে।থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত খানজাহান আলী থানায় ৭০টি নিয়মিত মাদক মামলা হয়েছে। এছাড়া থানায় দায়ের হওয়া মামলার ৭৮ আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস জানান, গত বছরে থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক মামলার ৭৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সময়ে ২৩ কেজি ৪শ গ্রাম গাজা, ৭৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১২ লিটার মদ ১৯৮৪ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮৯ টি মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে ৩২ টি বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পরোয়ান নিস্পত্তি করা হয়েছে , ৯৪ টির মধ্যে ১২২ জনকে  কেএমপি করা হয়েছে, ৫০৬ ধারায় জন এর ব্যক্তির বিরুদ্ধে ০৬ টি মামলার প্রসিকেউশন করা হয়েছে এছাড়া টি বিদেশী পিস্তল রাউন্ড গুলি সহ উদ্ধার করা হয়েছে থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ^াস রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতেও কঠোর হাতে আইন-শৃঙ্খলা রেখেছেন স্বাভাবিক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মত-পার্থক্যের ঊর্ধে থেকে সরকারের উন্নয়নমূলক সাফল্যগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে পুলিশি কার্যক্রমকে রেখেছেন বেগবান।খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ^াস বলেন থানায় সেবা পেতে টাকা লাগে না। সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতনকারী এসব কাজে মদদ দানকারিদের সাথে থানা পুলিশ আপোষ করে না। থানা এলাকাকে মাদক, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মুক্ত রাখতে যেকোন কঠোরতা নিতে পুলিশ পিছ পা হবে না। মাদক আর নাশকতাকারীদের কোন ছাড় নেই। তিনি বলেন- সরকারের সাফল্য যাতে কোনভাবে ম্লান না হয়সেজন্য কেএমপি পুলিশ কমিশনার মহোদয় এর নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার উত্তর, সহকারি পুলিশ কমিশনার দৌলতপুর জোন সার্বিক তত্তাবাধয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, এজন্য তিনি সাংবাদিক সহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

শিরোমণি হলি চাইল্ড স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বই বিতরণ অনুষ্ঠান

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

শিরোমণি পুর্বপাড়া ০৭ নং ওয়ার্ড কাজীপাড়া হলিচাইল্ড স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বই বিতরণ অনুষ্ঠান রবিবার সকাল ১০ টায় স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালক কাজী মাহফুজুর রহমান।  বিশেষ অতিথি ছিলেন শিরোমনি দিশারী যুব পর্ষদের সাধারন সম্পাদক কাজী আজাদুর রহমান হিরোক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শায়লা আরজুমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরনাহার, শান্তনা মন্ডল, শাহীনা পারভিন, আক্কাস আলী, জেবুন্নেসা মিনা প্রমুখ

গিলাতলা আহমদিয়া দাখিল মাদরাসায় বই বিতরন অনুষ্ঠান

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

গিলাতলা আহমাদিয়া দাখিল মাদরাসায়  ছাত্র ছাত্রীদের বই বিতরণ অনুষ্ঠান রবিবার সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা  প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা কমিটির সভাপতি শেখ আঃ হক। মাদরাসা সুপার মুহাম্মাদ ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদরাসার দাতা সদস্য মোঃ গোলাম কিবরিয়া মিন্টু অনুষ্ঠানে অনন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম, মাওলানা মোস্তফা গোলাম সরওয়ার, মোঃ আমিন উদ্দিন, খন্দকার আঃ মালেক, নাসিমা খাতুন, বিলকিস খাতুন, রামকৃঞ্চ দাস, হেনা পারভিন, মোঃ হারুন আর রশিদ, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ মুর্শেদ হোসেন, মোঃ আবুল বাশার, রাইশা খাতুন, মিয়া আবুল কালাম, মহিউদ্দিন প্রমুখ

শিরোমনিতে মহিলা গনসেবা সংস্থা  কতৃক সেলাই ম্যাশিন বিতরন অনুষ্ঠান

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

শিরোমনিতে মহিলা গনসেবা সংস্থা  কতৃক সেলাই ম্যাশিন বিতরন অনুষ্ঠান জানুয়ারি রোববার বিকাল টায় শিরোমনিস্থ সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সংস্থার সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার সাথির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফুলতলা  উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা খানম। বিশেষ অতিথি ছিলেন গনসেবা সংস্থার সভাপতি শফিউল আযম খান ফিরোজ, সাধারন সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য শেখ আব্দুস সালাম ইউপি মেম্বার পায়রা বেগম। সংস্থার সাধারন সম্পাদিকা আরিফা বেগমের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ফুলতলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস সহায়ক কাজল রায়, মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, আঃ সামাদ, সাবিয়া খাতুন , রেহেনা বেগম, হালিমা বেগম, সুমনা বেগম, রোজিনা বেগম, সিমা, মুক্তা, আরিফা প্রমুখ অনুষ্ঠান শেষে এলাকার হতদরিদ্র শিরোমনি দক্ষিনপাড়া এলাকার আপন মোল্লার স্ত্রী নিলুফা খাতুন এবং রবিউল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুনকে সেলাই ম্যাশিন প্রদান করা হয়

বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির ইউপি সদস্যসহ পিটালেন সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যানকে

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

দিঘলিয়া  উপজেলার  বারাকপুর ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সদস্যকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে বৃহস্পতিবার বিকাল টার সময়ে বারাকপুর   তফসিল অফিস এর সামনে   ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন  সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান বিশ^াসকে মারপিট ও  ০৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নিত্যরজ্ঞন নং ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য মোঃ  হায়দার কে  অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ  করা হয় বলে অভিযোগ করেন। বারাকপুর  ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন তফসিল অফিসের পাশে একটি হোটেলে আমি ভাত খেয়ে বের হওয়ার পর কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন আমার বুক পিঠে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারে ,নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিত্য রজ্ঞন  জানান, বর্তমান সংসদ সদস্যের কোন প্রোগামে আমি বা আমার কোন সমার্থক না যায়  এজন্য চেয়ারম্যান গাজী জাকির  হোসেন  হুমকি দেই, ০৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হায়দার বলেন  জনগন আমাদেরকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে অথচ কোন কারন ছাড়াই চেয়ারম্যান আমাকে বারাকপুর বাজারে শত শত লোকের সামনে গালিগালাজ করেছে এটা নতুন কিছু নই তিনি প্রতিনিয়ত বাজারের সাধারন ব্যবসায়ি এমনকি ভ্যানচালকদের গায়েও হাত তোলেন এদিকে  কোন কারন ছাড়াই সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান কে মারপিট ইউপি সদস্যকে গালিগালাজ করার  খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসি একত্রিত হয় এসময়   ইউপি চেয়ারম্যান কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দিঘলিয়া থানার ওসি মোঃ আহসান উল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে , লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ।  এলাকাবাসি জানান ইউপি চেয়ারম্যান ইতিপুর্বে একাধিকবার এলাকার সাধারন মানুষ , ব্যবসায়ি সহ নিরিহ লোকের গায়ে হাত তোলেন বিষয়ে একাধিকবার দিঘলিয়া থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।  যার কারনে তিনি একের পর এক বেপরোয়া হয়ে সাধারন মানুষকে মারপিট সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন এমনকি তার অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তিনি ইউপি সদস্যদের সহ সাধারন মানুষকে  মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারন মানুষ রোবার বিকাল টায় বারাকপুর বাজারে  এলাকাবাসির উদ্যোগে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শিরোমনি  হুগলী বিস্কুট কোম্পানি চালু ও  বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকদের কারখানার সামনে অবস্থান

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

শিরোমনি বিসিক শিল্প এলাকার হুগলী বিস্কুট কোম্পানি চালু শ্রমিক কর্মচারীদের ১৬ সপ্তাহের মুজুরি এবং বোনাস পরিশোধের দাবিতে হুগলী বিস্কুট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে  গতকাল সকাল ১০ টায় কারখানার গেটে অবস্থান কর্মসুচি পালন করে শ্রমিকরা অবস্থান চলাকালে সংগঠনের সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরহাদ মোড়লের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মোঃ ই্য়াসিন আলী, মোঃ হাফিজ , জয়, মোঃ জিন্নাহ, আলি হামযা, রমজান, বাদল মোশারেফ, কাজল, প্রিয়া, সাকিরা, তরু, আবুল, রবিউল, শামিমা , হনুফা বেগম প্রমুখ সময় বক্তারা বলেন মালিকপক্ষ শ্রম আইনকে অমান্যকরে কারখানাটি বন্দ রেখেছে শুধু তাইনয় শ্রমিকদের ১৬ সপ্তাহের বকেয়া বোনাস পাওনা রয়েছে মালিকপক্ষ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করাতে কারখানার শ্রমিকরা চরম মানবেতর জীপনযাপন করছে , অতিদ্রত পাওনা পরিশোধ না করা হলে লাগাতার আন্দোলন এর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলে জানান ।  

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন: তালুকদার খালেক

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক রবিবার নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দরিদ্র শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সকাল ৯টায় সিটি মেয়র নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড অফিস প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। বিকেলে তিনি পৃথক পৃথকভাবে নগরীর ১৫, ১৩, ১১, ০৮, ১০, ০৭ ০৯ নং ওয়ার্ডের দরিদ্র শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। সিটি মেয়র প্রত্যেক ওয়ার্ডের ৪’৫০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।

শীতবস্ত্র বিতরণ কালে সিটি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মহামারীকালে তিনি অসহায় কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে জনসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সরকারের পাশাপাশি আর্ত-পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানদের দায়িত্ব কর্তব্য মন্তব্য করে তিনি দরিদ্র অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য সামর্থবান সকলের প্রতি আহবান জানান।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি বাবুল রানা, কেসিসি’মেয়র প্যানেলের সদস্য মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর এস.এম খুরশীদ আহম্মেদ টোনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদ, শেখ মোসারাফ হোসেন, কাজী তালাত হোসেন কাউট, মোঃ সুলতান মাহমুদ পিন্টু, এমডি মাহফুজুর রহমান, মোঃ ডালিম হাওলাদার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, রহিমা আক্তার হেনাসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন।

রামপাল উপজেলা যুবদলের মতবিনিময় সভা

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা

রামপাল উপজেলা যুুুবদলের আহবায়ক কমিটির এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেল টায় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান পিয়ালের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আলমগীর কবির বাচ্চুর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক উপজেলা সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. রুহুল আমীন, শেখ আবুল মাহামুদ, গাজী শাহাজালাল, কামরুজ্জামান টোকন, তিতাস মল্লিক, রিপন মুন্সী, মশিউর রহমান, নাহিদুল ইসলাম নাসিম,  রাকিব মৃধা, জিয়া ফকির, মোজাফফর হোসেন, সাব্বির হাসান জনি, নাসির গাজী, মো. রাসেল, মাসুদ রানা, বাবুু, আমিনুল প্রমুখ। এর পূূূর্বে একই স্থানে পেড়িখালী ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন, ডক্টর ফরিদুল ইসলাম, সময় বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইজারদার মহসিন হোসেন, শেখ আ. আজিজ বাবু, কাবির মোড়ল, মোল্লা লিয়াকত আলীসহ নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ফরিদ বলেন, এই মুুহুর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এবং তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন বেগবান করতে সকল মতের উর্ধে থাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার উপর জোর দেন। সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। সময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উভয় অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর শোক: খুলনা মহানগরীর রুকন উম্মে কুলসুমের ইন্তিকাল

খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন উম্মে কুলসুম (৬৭) ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)শনিবার সকাল ৮টায় খুলনা মহানগরীর শিপইয়ার্ড রোডস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্য জনিত কারণে শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, তিন মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্বামী মাস্টার আব্দুর রউফ। তিনি বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করেন। যোহরবাদ হাজী আব্দুল মালেক জামে মসজিদের সামনে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে হাজী আব্দুল মালেক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে উম্মে কুলসুমের ইন্তিকালে গভীর শোক শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মহানগরীর আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলম, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট শাহ আলম, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, খুলনা সদর উত্তর থানা আমীর মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, দক্ষিণ থানা আমীর হাফিজুর রহমান সেক্রেটারি কাজী মাহফুজুর রহমান, মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি মো. আব্দুল আউয়াল সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান নাঈম।

শোকবানীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, উম্মে কুলসুমকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা ক্ষমা রহম করুন এবং তাকে নিরাপত্তা দান করুন। তাকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে কবুল করুন তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুনাহখাতাগুলোকে নেকিতে পরিণত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন। তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাদেরকে শোকে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।

রূপসায়  ছিন্নমূল মানুষের  জন্য শীতবস্ত্র দিলেন  সালাম মূশের্দী এমপি

রূপসা প্রতিনিধি 

খুলনা-আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব অসহায় মানুষের পাশে সবসময় আছেন এবং থাকবেন।  এই শীতবস্ত্রে কিছুটা হলেও অসহায় মানুষের শীত লাঘব হবে।  শীতবস্ত্র পেয়ে অসহায় মানুষেরা প্রধানমন্ত্রী সাংসদ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানুয়ারী (রবিবার) দুপুরে রূপসা উপজেলার  টিএসবি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সকল সহযোগী সংগঠন অসহায়-দুস্থদের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে কম্বল বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কথা বলেন।  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো:  জাহাঙ্গীর শেখ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আ:  সালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মজিদ ফকির, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এমপির প্রধান সমন্বয়কারী যুবলীগ নেতা নোমান ওসমানী রিচি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাবিব, প্রভাষক অহিদুজ্জামান,  সালাম মুর্শেদী সেবা সংঘের টিম লিডার, সামছুল আলম বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিনয় হালদার,  আজিজুল হক কাজল, কৃষকলীগ নেতা আ:মান্নান, ইউপি সদস্য দাউদ শেখ, ইন্তাজ মোল্লা, শফিকুল ইসলাম বাবু, প্রশান্ত দে, যুবলীগের শফিকুর রহমান ইমন,সেবা সংঘের তরিকুল ইসলাম,খলিলুর রহমান, ছাত্রলীগের রিয়াজ, সজল,হিমেল,প্রদীপ প্রমূখ। এসময় ইউনিয়নের ১হাজার ১শত কম্বল বিতরণ করা হয়।

স্বামীসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালার আটারই গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া ঘাতক স্বামীসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন, নিহত গৃহবধুর বাবা তালা উপজেলার আমানুল্যাহপুর গ্রামের সূর্যকান্ত দাস।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছর পূর্বে আমার কন্যা শিখা রানী দাসকে তালা সদরের আটারই গ্রামের অনিল দাসের পুত্র গোবিন্দ দাসের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই গোবিন্দ আমার কন্যাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করতো। আমার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আমার কন্যা শিখা রানী সব নির্যাতন সহ্য করে আসছিলো। কিন্তু স্বামী গোবিন্দ, তার শ^াশুড়ি, শ্বশুর একত্রে আমার কন্যাকে মারপিটসহ শারিরীক মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে আমার কন্যা আমাদের জানালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার শালিস করেও তেমন কোন সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে গোবিন্দের ঔরশে আমার কন্যার গর্ভে দুটি কন্যা সন্তানও জন্মগ্রহণ করে। কন্যাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার কন্যা শিখা রানী সংসার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, গত জানুয়ারী ০২২ তারিখ সকালে আমার কন্যা শিখা রাণী আমাকে ফোন করে জানায় যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী গোবিন্দ, তার শ^াশুড়ি শ্বশুর তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ মারপিট করছে। একপর্যায়ে আমাকে ফোন দেওয়ার খবর জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে তার স্বামী গোবিন্দ, তার শ্বাশুড়ী বিল্ব দাসী, শ্বশুর অনিল দাস আমার কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য তার মরদেহটিকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরবর্তীতে গোবিন্দ আমাকে ফোনে জানায় আমার কন্যা আত্মহত্যা করেছে। আমি গোবিন্দদের বাড়িতে গিয়ে দেখি স্বামী গোবিন্দ, তার শ্বাশুড়ী বিল্ব দাসী, শ্বশুর অনিল দাস পলাতক রয়েছে এবং আমার কন্যার লাশ বারান্দায় শোয়ানো রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে তার শ্বাশুড়ী বিল্ব দাসীকে আটক করেছে। কিন্তু মূল হত্যাকারী স্বামী গোবিন্দ শ^শুর অনিল এখনো পলাতক রয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি সময় একজন অসহায় পিতা হিসাবে তার কন্যার হত্যাকারী স্বামী গোবিন্দ, শ^শুর অনিল শ^াশুড়ি বিল্ব দাসীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, শিখা রানী দাসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় শিখার বাবা সূর্যকান্ত দাস বাদি হয়ে শিখার স্বামী গোবিন্দ দাস, শ্বশুর অনিল দাস, শ্বশুড়ি বিল্ব বালা দাস দেবর মান্দার দাসের নাম উলেখ করে রবিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে নিহতের শ^াশুড়ি বিল্ব দাসীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

রূপসায় র‌্যাবের অভিযানে ছিনতাই অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

রূপসা প্রতিনিধি||

র‌্যাব-৬, (সদর কোম্পানী) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল ছিনতাই অপহরণ মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রূপসা থানাধীন জাবুসা মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার চাকুলী গ্রামের মোঃ আফজাল মোড়লের ছেলে মোঃ আমিনুল মোড়ল (২১) এবং মোঃ ইকবাল শেখের ছেলে মোঃ রাজন শেখ (২৭)র‌্যাব-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট থানার মামলা নং-০১, তারিখ- ডিসেম্বর (২০২১), ধারা ৩৬৫/৩৮৫ পেনাল কোড এর এজাহারনামীয় পলাতক আসামী আমিনুল মোড়ল রাজন শেখ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল, একটি সীমকার্ড এবং নগদ ২৪০ টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত এজাহারনামীয় আসামীদেরকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বাগেরহাটে মাদকসেবীদের হামলায় শশুর-পুত্রবধূ আহত

স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে মাদকসেবীদের হামলায় বিশ^জিৎ দাস (৫০) তার পুত্র বধূ শিমু রানী দাস (২২) গুরুত্বর আহত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর মোড়েলগঞ্জ থানাধীন ৮নং বনগ্রাম ইউনিয়নের আবেতা গ্রামের বিশ^জিৎ দাসের বসত ঘরের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ^জিৎ দাসের স্ত্রী গীতা রানী দাস বাদি হয়ে ৪জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, বিশ^জিৎ দাসের বসত বাড়ির রাস্তা দিয়ে পাশ^বর্তী রবিন কুমার দাস তার পরিবার চলাচল করে। রবিন কুমার দাস তার পরিবার মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বাড়ীর মেয়েদের বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করার কারনে আমরা তাদেরকে আমাদের বসত বাড়ির পথ ব্যবহার করতে নিষেধ করি। এতে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় আমাদেরকে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে আমরা আমাদের বসত ঘরে অবস্থান কালে পাশ^বর্তী রবিন কুমার দাস (৫০), তার ভাই অনাথ কুমার দাস (৫৫), প্রভাত দাস(৩৩) সুকান্ত দাস (১৮) দা ,কুড়াল ,লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এসে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ঘর বের হতে বলে। আমার স্বামী বিশ^জিৎ দাস ঘর থেকে বের হলে তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট শুরু করে। সময় রবিন কুমার দাসের হাতে থাকা ভারি ধারালো রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে স্বজোরে কোপ দিলে সে গুরুতর জখম হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। সময় আমার পুত্র বধূ শিমু রাণী দাস আসামীদেরকে ঠেকানোর চেষ্টা করিলে অনাথ দাসের হাতে থাকা চাপাটি দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে স্বজোরে কোপ দিলে কোপ মাথার তালুতে লেগে গুরুত্বর জখম হয় সে। আসামীদের হাতে থাকা লোহার রড, লোহার হাতুড়ি,রামদা দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং আমার পুত্র বধুর সাথে থাকা স্বার্নালংকার ঘরে থাকা নগত টাকা নিয়ে যায়। সময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদেরকে মোড়েলগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাগেরহাটে গ্রীল ভেঙ্গে  ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর নগদ টাকা ও  স্বর্ণালংকার লুট

স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট

বাগেরহাটের কচুয়ায় জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে করে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর, নগদ টাকা স্বর্নালংকার লুট করেছে দূবৃর্ত্তরা। শনিবার (০১ জানুয়রি) গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য সৈয়দ আলী শেখের বাড়িতে ৫-জনের একটি সংঘবদ্ধ দল এই লুটের ঘটনা ঘটায়। এসময় সংঘবদ্ধ দলটি সৈয়দ আলী তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের চেতনা নাশক স্প্রেতে অচেতন হয়ে যায় বৃদ্ধ দম্পতি। পরবর্তীতে সৈয়দ আলীর আলমিরাতে রাখা মেয়ে নাতনীর ভরি স্বর্নালংকার নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুটে নেয় তারা। রবিবার (জানুয়ারি) সকালে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধ সৈয়দ আলী শেখের জ্ঞান ফিরলেও, অচেতন অবস্থায় রয়েছে স্ত্রী মর্জিনা বেগম।

বৃদ্ধ সৈয়দ আলী শেখের একমাত্র মেয়ে হিরাজী বেগম বলেন, সকালে আমার ছোট মেয়ে নানা বাড়িতে (সৈয়দ আলীর বাড়ি) গিয়ে দেখে সামনের জানালার রড খোলা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখে বাবা-মা অচেতন অবস্থায় পরে আছেন। বিষয়টি আমাদেরকে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে বাবা-মাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সাইনবোর্ড ক্লিনিকে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাবার জ্ঞান ফিরলেও মা এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।

হিরাজী বেগম আরও বলেন, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আমি।পাশের গ্রামে স্বামীর বাড়িতে থাকি আমি। যার ফলে আমাদের বাড়িতে শুধু বৃদ্ধ বাবা-মা-থাকেন। একটু নিরাপদ মনে হওয়ায় আমার মেয়েদের স্বর্নালংকার বাবার বাড়িতেই থাকত। হজ্বের জন্য জমানো বাবার দেড় লক্ষ টাকাও নিয়ে গেল ডাকাতরা। আমাদের বড় সর্বনাশ হয়ে গেল। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

বৃদ্ধ সৈয়দ আলী শেখের বরাত দিয়ে হিরাজী বেগম আরও বলেন, প্রতিদিনের মত রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বাবা-মা। গভীর রাতে জানালার রড ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ৫-জনের একটি দল। প্রথমে তারা মারধর করে। তারা আমার বাবার ঘাড়েও কোপ দেয়। পরবর্তীতে চেতনা নাশক স্প্রে করে অচেতন করে স্বর্নালংকার নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।

কচুয়া থানার এসআই মোঃ শহর আলী বলেন, নগদ টাকা স্বর্নালংকার লুটের ঘটনা শুনে আমরা বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি পরিদর্শণ করেছি। বৃদ্ধের বাড়ির জানালার কাঠ রড বেশ পুরাতন। জানালার রড খুলে তারা ভিতরে প্রবেশ করেছে। বৃদ্ধ দম্পতি অচেতন অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাগেরহাটে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত

স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট

মুজিব বর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে বাগেরহাটে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। পরে বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এমরফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।এসময়, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট  জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাড. শরিফা খানম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশ এখন আর পুলিশি রাষ্ট্র নেই। এখন মানুষের কল্যানে কাজ করে রাষ্ট্র। অসহায় প্রতিবন্ধীদের কল্যান এবং অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর। সমাজ সেবার কাজকে দেশের অসহায় মানুষদের আরও দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান তারা।

বাগেরহাটে প্রেমের টানে ঘরছাড়া কিশোর-কিশোরী উদ্ধার

স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট

বাগেরহাটে প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোর-কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাাব। শনিবার (০১ জানুয়ারি) রাতে যশোর জেলা সদরের শঙ্কপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে পলাতক কিশোর সরণ বর্মন তার সাথে থাকা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-এর সদস্যরা। পরবর্তীতে উদ্ধার করা কিশোর-কিশোরীকে বাগেরহাট মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব সদস্যরা।

এর আগে ২০ ডিাসেম্বর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার ওই কিশোর-কিশোরী প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২২ ডিসেম্বর সকালে ওই কিশোরীর মা তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে আড়পাড়া এলাকার কিশোর সরণ বর্মন (১৬) তার বাবা সাধন বর্মনকে কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর আগের দিন পালিয়ে যাওয়ার পর কিশোরীর পরিবারের লোকেরা কিশোরের বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাট করে। কিশোরের বাবাকে মারধর করে এবং কুপিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলে। নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

র‌্যাব-এর কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট সদর থানার একটি অপহরণ মামলার সূত্র ধরে আমরা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করি। এক পর্যায়ে শনিবার রাতে যশোর জেলা সদরের শঙ্কপুর এলাকার আসামীর পূর্ব পরিচিত একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। আসামীকেও গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধারকৃত ভিকটিম আসামীকে বাগেরহাট  মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডুমুরিয়ায় গুটুদিয়া ইউনিয়নে অভিষেক অনুষ্ঠান

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ায় গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান,সদস্যদের অভিষেক অনুষ্ঠান প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আগত ইউনিয়ন বাসি চেয়ারম্যান সহ রইউপি সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।এরপর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অভিষেক অনুষ্ঠান রিচালনা করেন পরিষদের সচিব সুবীর কুমার দত্ত।বক্তব্যদেন আ’লীগনেতা কাজি নুরুল ইসলাম,পঞ্চানন মন্ডল,মাওলানা আব্দুল মতিন,দিপংকর মন্ডল,প্যানেল চেয়ারম্যান তাপস কুমার ফৌজদার,মাসুদ রানা সরদার,ইজ্জত আলী মোড়ল,মেহেদী হাসান মিন্টু,রিপন সরদার,পলাশ হালদার,মাসুদ হাওলাদার,অর্চণা ফৌজদার,মঞ্জুরানী রায় বন্দনা রানী কবিরাজ।সভা শেষে ভোটাভুটিতে তাপস কুমার ফৌজদার প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ডুমুরিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন জখম

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ায় রাতের আঁধারে শামীম জাহান সুমন নামের এক কৃষককে ধারালো হাসুয়া দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকির হোসেন শেখ (৩৫) কে আটক একটি দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া জব্দ করেছে। গত শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার খাজুরা বিলপাটিয়ালা এলাকায় ঘটনা ঘটে। ঘটনায় পিতা-পুত্র কে আসামী করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিবরনী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সদর ইউনিয়নে বিলপাটিয়ালা এলাকার যাবজ্জীবন সাজা ভোগকারী খবির শেখের সাথে একই এলাকার আহত কৃষক শামীম জাহান সুমনের জমি-জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে।তারই জের ধরে ঘটনার রাতে খবির তার ছেলে একাধিক মামলার আসামী জাকির হোসেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সুমনের উপর হামলা চালায়। এতে ধারালো হাসুয়ার কোপে রক্তাক্ত জখম হয় সুমন।এরপর তাকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই স্থানীয় জনতার হাতে ধৃত জাকির কে আটক করে এবং দেশীয় অস্ত্র ধারালো হাসুয়া জব্দ করে। ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন,ঘটনায় আহত’স্ত্রী ফারজানা আকতার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ধৃত আসামী কে জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

কলারোয়ায় পুলিশি অভিযানে এতিমখানার শিশু উদ্ধার

সোহাগ হোসেন কলারোয়া

কলারোয়ায় পুলিশি অভিযানে হারিয়ে যাওয়া এতিমখানার শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত শিশু উপজেলার গোয়ালচাতর এতিমখানা থেকে হারিয়ে যায়। থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার(৩০ ডিসেম্বর) গোয়ালচাতর এতিমখানার শিশু যশোর জেলার কোতোয়ালী থানার মৃতঃ কামাল হাসান লায়লী বেগমের ছেলে রুহিত হাসান (১১) একই জেলার শার্শা উপজেলার বাগুডি গ্রামের মৃতঃ আমিরুজ্জামান নারগিস বেগমের ছেলে আতিকুজ্জামান(১৪)কে সকাল সাড়ে টার দিকে এতিমখানায় না পেয়ে থানায় জিডি করা হয়। একই দিনে এতিমখানার শিক্ষক আসাদুজ্জামান সহ শিশুদের মায়ের উপস্থিতিতে করা জিডি নং- ১৪৬৫। জিডির সূত্র ধরে কলারোয়া থানার এসআই হানিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উদ্ধারের অভিযান শুরু করেন। অভিযানের এক পর্যায়ে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে দুইদিন খুলনার সোনাডাঙ্গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এক পর্যায়ে শিশু পাচার চক্রের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শনিবার (জানুয়ারী) বিকালে অবুঝ শিশু দুইজনকে কৌশলে যশোরের হারিয়ে যাওয়া শিশু আতিকুজ্জামানের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার (এসআই) হানিফ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান। ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, উদ্ধারকৃত দুই শিশুকে সন্ধ্যার পর তাদের মাতা লায়লী খাতুন নারগিস বেগমের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

মুজিব বর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালিত হয়েছে। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ শেখসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গা অবৈধ দখলে: উচ্ছেদ অভিযান শুরু

পি কে অলোক,ফকিরহাট।

বাগেরহাট জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিপুল পরিমানে জায়গা সরকারী রাস্তার সাইড সোল্ডার অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে ফকিরহাটের লখপুর কাটাখালী বাস্ট্যান্ডে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিধান কান্তি হালদার এর নের্তৃত্বে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার লখপুর বাসস্ট্যান্ডে পশ্চিম পার্শ্বে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সরকারী পুকুরের পাড়ের চতুর পার্শ্বে প্রায় ১৪/১৫টি ভুমিহীন পরিবার পূর্বপার্শ্বে মোজাফ্ফার মোড়ল নামের একজন ব্যাক্তি প্রায় ১০ফুট সরকারী জায়গা দখল করে সেখানে বৃহৎ আকারের একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে, সেখানে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছেন। তাদেরকে বারবার মৌখিক লিখিত ভাবে নৌটিশ প্রদান করলেও দখলকারীরা তাঁতে কোন কর্ণপাত করছিল না। যে কারণে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করতে এই অভিযান শুরু করা হলেও পুকুর পাড়ের ১৪/১৫টি ভুমিহীন পরিবার-কে তিন দিনের এবং পূর্বপার্শ্বে জনৈক মোজাফ্ফার মোড়লকে ১মাস এবং কাটাখালী কলেজ রোডের মার্কেট এবং তার সাইড সোল্ডারে সিমানার প্রচীর নির্মাণ কারীদের ৩দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে দখলকারীরা স্বঃস্বঃ উদ্যোগে যদি তাদের অবৈধ স্থাপনা গুলি উচ্ছেদ না করেন তাহলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন সহ আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিধান কান্তি হালদার জানিয়েছেন।

এদিকে দখলকারী ভুমিহীনরা বলেছেন, তারা সরকারী জায়গায় থাকতে চান না। তাদেরকে সরকারী ভাবে জায়গা ঘর বেধে দিলে তারা জায়গা ছেড়ে দিবেন। অপর দিকে কাটাখালীর কলেজ রোডের একাধিক দখলকারীরা অভিযোগ করে বলেছেন, তারা বারবার জেলা পরিষদকে তাদের সিমানা নির্দ্ধারণের জন্য অনুরোধ করলেও তাঁরা তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না। তারা সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে তাদের জায়গা মেপে সিমানা নিদ্ধারণ করারও জোর দাবী করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একেএম জাকির হোসেন, প্রধান সহকারী গৌরাঙ্গ কুমার পাল, গ্রাফার সাকিল হোসেন, সার্ভেয়ার মোঃ ইমরান, অফিস সহায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইকবাল হোসেন সওজের সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান সহ মডেল থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন এবং মোঃ কাউয়ুম।

দাকোপে হাজার যুবকের সংসার চলে মোটর সাইকেলে

মোঃ শামীম হোসেন- বাজুয়া

খুলনার দাকোপের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার বেকার যুবকদের মোটর সাইকেলে যাত্রী বহন করে সংসার চলে তাদের। দাকোপ উপজেলায় ১৫০০-২০০০ যুবকের আয়ের একমাত্র ভরসা মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করে চলছে তাদের সংসার। জানা গেছে, সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মোটর সাইকেল চালকরা চালনা সদরের ডাকবাংলো মোড়, বাজুয়া মোড়, পোদ্দারগঞ্জ বাজার, লাউডোব মোড়, বুড়ির ডাবুর মোড়, কৈলাশগঞ্চ বোর্টবাড়ী, ঠাকুর বাড়ি ঘাট, রামনগর ঘাট, কালিনগর ঘাট, তিলডাঙ্গা মোড়, চুতরখালি মোড়, কামারখোলা সহ ইউনিয়নের আজিজের মোড় বাজার নামক স্থানে জড়ো হতে থাকে। সেখান থেকে তারা এলাকার, খুলনা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছে চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। দূরত্ব অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেন। এতে তাদের একেকজনের সারা দিনে আয় হয় ৩০০-৪০০ টাকা। তেল খরচ বাবদ ব্যয় হয় ১৫০-২০০ টাকা। অবশিষ্ট টাকা দিয়েই চলে সংসার তাদের। বাজুয়া এলাকার মোটরসাইকেল চালক অসীম রায় জানান, আমরা ২৫০ জনের বেশি মোটরসাইকেল চালক প্রতিদিন বাজুয়া চড়ার বাঁধ মোড় থেকে যাত্রী বহন করে পোদ্দারগঞ্জ হয়ে দাকোপ উপজেলার পানখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে যাই। আমাদের এই রাস্তা দিয়ে অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে তেমন পারে না। তাই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রীদের মোটরসাইকেলে বহন করে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার চালাই। উপজেলার লাউডোবের মোটরসাইকেল চালক হিরোনময় জানান, আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অটোসহ অন্য যানবাহনগুলো সব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না। আমরা মোটরসাইকেল চালকরা যঞ্জবাড়ী মোড় থেকে হুলোরচক, কালীনগর, বাজার, রামনগরসহ আজিজের মোড় বাজার এলাকা পর্যন্ত মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করি। পোদ্দারগঞ্জ এলাকার মোটর সাইকেল চালক সাহিদ গাজী  জানান, আমাদের এলাকার পাশ দিয়ে নদী বয়ে গেছে। বন্যায় প্রতি বছর রাস্তা-ঘাট ভেঙে যায়। এখানকার অধিকাংশ রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী। তাই মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল সম্ভব হয় না। তাই মোটরসাইকেল কিনেছি। তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এতে আমাদের সারা দিনে আয় হয় ৪০০-৫০০ টাকা। তেল বাবদ খরচ হয় ২০০-২৫০ টাকা। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সংসার চালাই। খুটাখালী গরুরহাট এলাকার যাত্রী বাবুরাম জানান, আমার বাড়ি খুটাখালী এলাকায়। আমি প্রায়ই মোটরসাইকেল করে পোদ্দারগঞ্জ, চালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করি। এই রাস্তা দিয়ে অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় আমরা মোটরসাইকেলে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করি। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। স্বল্প আয় দিয়ে মোটরসাইকেলের যা ভাড়া বহন করি তাতে চালকদের পেটের ভাত হয় না। দাকোপ এলাকার যাত্রী সুদাম জানান, আমি দাকোপ সিটেবুনে এলাকার বাসিন্দা। খুলনা থেকে আসলাম। এখন মোটরসাইকেল করে বাড়ি যাব। কিন্তু বাজুয়া ঘাট থেকে সিটেবুনে দুর্গম এলাকা হওয়ায় অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে মোটরসাইকেলই যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। খুলনা থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এসেছি। কিন্তু মোটর সাইকেলে সেসব জিনিসপত্র বহন করা কষ্টকর। তাই আমাদের এলাকার রাস্তা ঘাট ভালো হলে আমরা সহজেই চলাচল করতে পারতাম এবং যারা গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারাও ভালো ভাবে গাড়ি চালাতে পারতো। বাজুয়ায় গাড়ি চালাতে আসা মোটরসাইকেল চালক অমর মন্ডল জানায় আমরা অন্য কোন কাজ না পেয়ে গাড়িতে করে যাত্রী টানি আমাদের জীবন – জীবিকার জন্য আমরা প্রতিদিন এতো কষ্ট করে থাকি। এর ভিতর অনেক শিক্ষিত যুবকও রয়েছে যারা চাকরি না পেয়ে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে  এবং পড়াশুনাও করছে। তাই আমাদের মধ্য যারা শিক্ষিত আছে তাদের চাকরির ব্যবস্থা ও  যাদের চাকরির বয়স নাই তাদের যদি সরকার বিনাসুদে টাকা দিয়ে অথবা অন্য কোন কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতো তবে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভালোভাবে লেখা- পড়া শিখাতে পারতাম। তাই এলাকার হাজার হাজার বেকার যুবকদের জন্য কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি  আকর্ষণ করছি।

ফয়লাহাটে জবাইখানার পরিবর্তে ময়লার ভাগাড়ে গরু জবাই, জবাইখানা এখন গোয়াল ঘর

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লাহাটে নির্দিষ্ট জবাইখানা থাকা সত্বেও ময়লা-আর্বজনায় ভরপুর এমন নোংরা জায়গায় পশু জবাইসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তা বিক্রি করছেন মাংস বিক্রেতা নামক কসাইরা। তাই বাধ্য হয়েই সাধারণ মানুষকে তা কিনে খেতে হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নেই কোন তদারকি।

খোঁজ খবরে জানা গেছে, ২০১৮  সালে রামপাল উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলার ফয়লাহাটে একটি জবাইখানা নির্মাণ করেন। নির্মাণের পর থেকে হাতে গোনা দুই/একদিন সেখানে গরু জবাই করা হলেও আর কখনও তা করা হয়নি। ফলে দীর্ঘ তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে সেটি অব্যবহৃতভাবে পড়ে রয়েছে। ব্যবহার না করায় তার সংস্কারও হয়নি কয়েক বছরে। তাই সেটির চিত্রও এখন অনেকটা বেহাল।

ফয়লাহাটের স্থানীয় কসাইরা বলছেন, ওই ঘরটিতে গরু জবাই করার মতো তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। বিশেষ করে বর্জ্য অপসারণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তারা অন্যত্র সেই কাজটি করছেন। এছাড়া জবাইখানায় যাতায়াতের কোন রাস্তাও নেই। তাই তারা বাধ্য হয়েই ওই ময়লার ভাগাড়ের মধ্যে গরু জবাই করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান। স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বিষয় নিয়ে কসাইরা একাধিকবার জানালেও গত তিন বছরেও তার কোন প্রতিকার মিলেনি বলেও দাবী তাদের। তাই জবাইখানাটি এখন গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছে। কারণ কসাইরা গোয়াল ঘরের মত জবাইখানায় গরু রাখেন, সেখানে জবাই দেন না।

রবি বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ফয়লাহাটের দিন। হাটে বেশ কয়টি গরু জবাই করে কসাইরা মাংস বিক্রি করে থাকেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান, সামছু হাওলাদার অমিত পাল বলেন, রবিবার সকালেও কসাইরা ময়লার ভাগাড়ের মধ্যে গরু জবাই করেছেন। ময়লা-আর্বজনার মধ্যে গরুর চামড়া ছিলিয়ে মাংস কেটে নিয়ে যান তা বিক্রির জন্য। যেখানে তারা এখন গরু জবাই করছেন সেখানেও বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা না থাকায় চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওই জায়গা দিয়ে লোকজনের নাক চেপে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। কারণে সেখানে মশা-মাছিও গিনগিন করছে। জবাইখানা থাকার পরও কেন এমন নোংরা পরিবেশে গরু জবাই করা হচ্ছে তার কোন সদুত্তর মেলেনি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে। তারা বলেন, বাজারের গরুর হাটের পশ্চিম পাশে সরকারীভাবে যে জবাইখানাটি নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে পানি বর্জ্য অপসারণে তেমন কোন ভাল ব্যবস্থা না থাকায় কসাইরা সেখানে যেতে আগ্রহী হচ্ছেনা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।

প্রতিবছর বাজার ইজারা দিয়ে সরকারীভাবে বিপুল অংকের টাকার রাজস্ব আয় হলেও ময়লা আবর্জনা ফেলার  নির্দিষ্ট কোন স্থান নির্ধারণ করা হয়নি। তাই টনকে টন ময়লা ফেলা হচ্ছে চলাচলের রাস্তার গাঁ ঘেষে দাউদখালী নদীর তীরে। আর ময়লা পচে সর্বত্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারী ইজারা মূল্যের একটি অংশ বাজার উন্নয়নে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও বাজারের উন্নয়নে তা করা হয়েছে এমন কোন নজির নেই। বাজার ইজারাদারেরা ইচ্ছা করলে শুধু কসাইখানা নয় অনেক কিছুরই উন্নয়ন করতে পারতেন, কিন্তু তা তারা করেননি। গরু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি গরু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা ঠিক মত করলেও কোথায় ফেলে গরু জবাই করা হচ্ছে নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই তাদের।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনা হলেও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

রামপাল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, জবাইখানায় যে পানির সমস্যা রয়েছে সেটি সমাধান তো বাজার কমিটিই করবে। কারণ তারা হাট দিয়ে যে টাকা তোলে তার ভাগ বাজার উন্নয়নে ব্যয়ের বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা তা করছেনা। বিষয়টি তাদেরকে বার বার বলার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও তোলা হয়েছে। দেখি আগামী আইনশৃঙ্খলা তুলে এর সমাধান করা যায় কিনা। তা না হলেও সেখানে একটি টিউবওয়েল বসিয়ে দেয়া যায় কিনা দেখি।

খুলনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে জানুয়ারি থেকে দিনব্যাপী পিঠা মেলা

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপী পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে আগামী জানুয়ারি রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাব চত্বর লিয়াকত আলী মিলনায়তনে মেলা চলবে। পিঠা মেলায় স্টল নিতে আগ্রহী স্টল মালিকদের খুলনা প্রেসক্লাবের টেলিফোন নম্বরে (০২-৪৭৭৭২৩০২০) অথবা সরাসরি রিসিপশনে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে খুলনা প্রেসক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২১-ক্লাব সদস্য, সদস্যদের স্ত্রী সন্তানদের মধ্যকার খেলা সমূহের বিজীয়দের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আজ সোমবার সন্ধ্যা টায় ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরসহ ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য খুলনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী খুলনা আসছেন মঙ্গলবার

তথ্য বিবরনী

মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম এক দিনের সফরে জানুয়ারি মঙ্গলবার খুলনা আসছেন। সফরসূচি অনুযায়ী মন্ত্রী জানুয়ারি বেলা দুইটায় খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষণা জাহাজ হস্তান্তরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। পরে মন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করবেন।

খুলনায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত

তথ্য বিবরনী

মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার খুলনায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়। উপলক্ষে সকালে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযোদ্ধা, স্বামী পরিত্যাক্তা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রচলন করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একশত ২২টির অধিক ভাতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, কাউকে পিছনে ফেলে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান য্দ্ধুবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই অনগ্রসর, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নেকে অগ্রাধিকার প্রদান করেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুর রশীদ, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান বীর মক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী। স্বাগত জানান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন জেলা সমাজসেবা কার্যালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারলাইজড, জন্মগত হৃদরোগ থ্যালাসেমিয়া একশত একজন রোগীদের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন সিটি মেয়র। সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় এক লাখ আট হাজার চারশত ৬১ জনকে বয়স্ক ভাতা,  ৪৭ হাজার আটশত ৭৩ জনকে বিধবা স্বামী নিগৃহীত ভাতা এবং ৩৪ হাজার পাঁচশত ৭৯ জনকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাসহ মোট এক লাখ ৯০ হাজার নয়শত ৩১ জনকে জিটুজি পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইলে এই ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারলাইজড, জন্মহত হৃদরোগ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তার জন্য এপর্যন্ত দুই হাজার ৪১ জনকে দশ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাবে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

বই উৎসবের দিন শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

শামীম খান,মহেশপুর(ঝিনাইদহ)

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বছরও বই উৎসব হচ্ছে না। তবে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম পহেলা জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহের মহেশপুরেও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বই উৎসবের দিন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ২৯ নং সামন্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে গেল এক নেক্কারজনক ঘটনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এমদাদ জাহিদের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

জানায়ায়,শনিবার সকালে বই উৎসবের দিন সকল শিক্ষার্থীরা বই নিতে স্কুল প্রাঙ্গনে হাজির হয়ে লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন। লাইন এলোমেলো হলে প্রধান শিক্ষক এমদাদ জাহিদ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বেতের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। শিক্ষকের এমন আচারণে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পরে।

আবুল হোসেন নামের এক অভিভাবক বলেন, বছরের প্রথম দিন আমাদের সন্তানরা স্কুলে গিয়েছে আনন্দের সাথে নতুন বই নিয়ে আসতে। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অসূলভ আচারণ মোটেও কাম্য নয়।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ শামিম বলেন, লাইন এলোমেলো হওয়ার কারণে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে শুনেছি। তবে কোমলমতি শিশুদের অন্যায় হলেও তার মারধর করা উচিত হয়নি।

প্রধান শিক্ষক এমদাদ জাহিদ শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নতুন বছরের নতুন বই নিতে আসা  শিক্ষার্থীদের লাইনে দাড়িয়ে বই নিতে লাঠি হাতে ভয় দেখিয়ে লাইন ঠিক রাখার চেষ্ঠা করেছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান বলেন, বিষয়টি আমার অবগত ছিলোনা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, অতিদ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটি’পুষ্পমাল্য অর্পণ

খবর বিজ্ঞপ্তি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধানিবেদন করেছেন খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত পরিষদের নেতৃবৃন্দ। খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে অবস্থিত ভাস্কর্যে রবিবার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু. সাবেক সভাপতি নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য এস এম জাহিদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য হাসান আহমেদ মোল্লা, নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস এম কামাল হোসেন, সহকারী সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, এইচ এম শামিমুজ্জামান শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী সনি, ক্লাব সদস্য মোঃ শাহ আলম, মোঃ হুমায়ুন কবীর, দেবব্রত রায়, বাপ্পি খান, এস এম নূর হাসান জনিসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

গোপালগঞ্জ সরকারি গৃহায়ন বরাদ্দে পুনরায় তদন্ত করার দাবিতে মানববন্ধন পালন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের সরকারি গৃহায়ন বরাদ্দ দেওয়া ঘর সঠিক ব্যক্তিকে তদন্ত পূর্বক পুনরায় বরাদ্দ দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন স্মারকলিপি পেশ করেছে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের গৃহহীন পরিবারের সদস্যগণ। সোমবার সকাল ১০ তাই মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, জমিন গৃহহীনরা বরাদ্দকৃত ঘর পুনরায় তদন্ত করার দাবিতে হাতে হাত রেখে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন পালন করে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য বক্তারা বলেন মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে যে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাতে একই পরিবারের একাধিক সদস্য ঘর পেয়েছে। আবার বিশিষ্ট শিল্পপতি হওয়া সত্বেও তাদের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে। যাদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের আগে থেকেই ভালো বাসো স্থান রয়েছে। প্রকৃত গৃহহীনরা ঘর বরাদ্দ পায় নি। তাই পুনরায় তদন্ত করে সরকারি ঘর সঠিক ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ জানান মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা।

মোংলায় মেঘলা আকাশ, কুয়াশা বাতাসে শীতের প্রকোপ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

মোংলায় মেঘলা আকাশ, কুয়াশা বাতাসে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। রবিবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় জুড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, ফলে সূর্যেরও দেখা নেই। সেই সাথে কুয়াশা বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শীতে এখানকার জনজীবন জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় মোংলার মহাসড়কে যানবাহন বন্দরের পশুর চ্যানেলে নৌযান চলাচল পণ্য পরিবহণ বিঘ্নিত হচ্ছে। কুয়াশায় নদী সড়ক পথে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এদিকে হঠাৎ জেঁকে বসা প্রচন্ড শীতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা। ফেরিঘাট মামার ঘাটের দিনমজুর শ্রমিক ইউনুস আলী খাঁন, জাহাঙ্গীর মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন সামছুল হক বলেন, সকাল থেকে আকাশ মেঘলা, কুয়াশা বাতাসে খুব শীত। আমরা কোন কাজকাম করতে পারছিনা। কাজ করতে না পারলে খাবো কি, শীতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। কুয়াশার নদীতে নৌযান চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকির আশংকায় পর্যটনবাহী লঞ্চ, জালিবোট ট্রলারগুলো ঘাটে অলস বেঁধে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষতির সম্মুখীন পর্যটন শিল্পও। পর্যটনবাহী জালিবোট চালক মোঃ আলামিন বলেন, কুয়াশায় বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়ী (বাস) আসতে পারছেনা, ফলে পর্যটকও নেই। এছাড়া নদীতে কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে, নদীতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে তাই আমরা ঘাটে বোট রেখে অলস বসে আছি। মুলত মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় আকাশ মেঘলার পাশাপাশি কুয়াশা বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। তাই শীতার্তদের মাঝে নতুন করে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এর আগেও দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরের পর থেকে নদীর পাড়ের শীতার্ত পরিবারে কম্বল বিতরণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

জনসচেতনা বাড়াতে বিরামহীন ছুটে চলা এক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ ওবায়দুল্লাহ

কে এম  রেজাউল  করিম  দেবহাটাঃ

চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং মাদক নির্মুলসহ সবধরণের সামাজিক অপরাধ নির্মূলে জনগণকে সচেতন করতে বিরামহীন ছুটে চলেছেন দেবহাটা  থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ।  এরই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিনিয়ত  দেবহাটা উপজেলা  সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মসজিদ, হাটবাজার, ইউনিয়ন পরিষদের জনগণের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন তিনি।

সমাজের নানা রকম সমস্যা সমাধানের জন্য একজন ওসি জনগণের দোরগড়ায় পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি হৃদয় দিয়ে বরণ করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো। শেখ ওবায়দুল্লাহ  জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, সমাজে যারা খারাপ কাজের সাথে জড়িত তাদের সংখ্যা খুবই কম। সমাজে ভালো মানুষের বাস এখনো অনেক বেশি।

এই কমসংখ্যক খারাপ মানুষ সমাজটাকে অস্থিতিশীল করে তোলে। কারন একটাই! আমরা সমাজের মানুষগুলো প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছিনা। এটা অপ্রিয় হলেও সত্যকথা যে, আমরা প্রতিবাদ না করায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছি। স্থানীয় জনগণ যদি পুলিশকে সহযোগিতা করে তাহলে সমাজ থেকে এসব অপরাধীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া সম্ভব। শেখ ওবায়দুল্লাহ    তাদের বলেন, আপনাদের যেকোন সমস্যা সরাসরি পুলিশকে জানান তাহলে পুলিশ আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবে। তিনি মা-বোনদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা রাস্তায় বিভিন্ন কাজে চলাফেরা করেন তারা অবশ্যই থানার নম্বর স্থানীয় বিট পুলিশিংয়ের নম্বর সঙ্গে রাখবেন। বখাটে ছেলেরা আপনাদের উত্যক্ত করলে চুপ থাকবেন না বরং প্রতিবাদ করবেন।

পুলিশ আপনাদের সাহস হয়ে সহায় হয়ে পাশে আছে। আমি কথা দিলাম আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমি সদা প্রস্তুত আছি। আপনারা ইভটিজিংয়ের শিকার হলে স্থানীয় বিট পুলিশিংয়ের সহযোগিতা নেবেন অথবা সরাসরি আমার নম্বরে যোগাযোগ করবেন। এছাড়াও যেসব মানুষ বিপদে পড়বেন বা সমস্যার সম্মুখীন হবেন সরাসরি থানায় চলে আসবেন। কাউকে তদবির করতে হবেনা, কোন মানুষ সঙ্গে আনতে হবেনা। আমি শেখ ওবায়দুল্লাহ  নিজ হাতে আপনার অভিযোগ লিখে দেবো। এক কথায় আপনারা যে কোন রকম সমস্যায় পড়লে পুলিশের শরনাপন্ন হবেন পুলিশ আপনার সমস্যাটা নিজের মনে করে আপনাদের সেবা দেবে। সেই সাথে যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে ওসি বলেন, আপনারা সকলে বাবা মায়ের সেবা করবেন। বাবা মা কোন সন্তানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আমার কাছে আনলে চুল পরিমান ছাড় দেওয়া হবেনা। ওসি সবাইকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান  জানান।  স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ শেখ ওবায়দুল্লাহ  সাহা কে ধন্যবাদ জানান।

খুলনায় চারদিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বইমেলার সমাপনী: বইমেলায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার বই বিক্রি

তথ্য বিবরণী

মুজিববর্ষ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনায় চারদিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বইমেলার সমাপনী  রবিবার রাতে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনে এগুতে হবে। এই বইমেলা খুলনাবাসীকে অনুপ্ররণা যুগিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। বই হলো মানুষের প্রকৃত বন্ধু। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের সাথে অন্য বই পড়ার প্রবণতা থাকলে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে। বইপড়া বইকেনার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জাতি মননে আরো সমৃদ্ধশালী হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেএমপি’অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, সরকারি বজ্রলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ অতিকুজ্জামান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ জাফর ইমাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান জেলা শিক্ষা অফিসার খো. রুহুল আমীন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করে। চারদিন ব্যাপী এই বইমেলায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজারের অধিক বই বিক্রি হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

খুলনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ‘আটাক’ এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

খবর বিজ্ঞপ্তি

এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব খুলনা (আটাক) এর পক্ষ থেকে খুলনা প্রেসক্লবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব খুলনা (আটাক) এর নেতৃবৃন্দ  রবিবার সন্ধ্যায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু হাসান আহমেদ মোল্লা, সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, কোষাধ্যক্ষ এস এম কামাল হোসেন, সহকারী সম্পাদক শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, ক্লাবের নির্বাহী সদস্য শেখ মাহমুদ হাসান সোহেল, ক্লাব সদস্য আসাদুজ্জামান রিয়াজসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডা. মোঃ আতাউর রহমান, এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব খুলনা (আটাক) এর পক্ষ থেকে বক্তৃতা করেন উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল এস এম ওয়াসিম মেহবুব, উপদেষ্টা শেখ মোঃ রেজওয়ান এজাজ আহমেদ চৌধুরী সুমন, সহ-সভাপতি শেখ মামুন হোসেন মাহফুজা আক্তার, জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ আলামিন হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ শাকুর মাহমুদ (শোভন), সদস্য মোঃ আব্দুল বাকি, নাজমুন নাহার রুনু, শেখ মেরাজ হোসেন, মোঃ নূর ইসলাম রকি, মোঃ রাসেল মোড়ল, প্রিয়াম সি ফুড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আব্দুল কাদেরসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

ফুলতলার জামিরাসহ ওয়ার্ডে কৃষকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

খবর বিজ্ঞপ্তি

ফুলতলা উপজেলার ৩নং জামিারা ইউনিয়নসহ নয় ওয়ার্ডে কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে আগামী জানুয়ারি ফুলতলা উপজেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। গতকাল রবিবার বিকালে জামিারা ইউনিয়ন কৃষকলীগের উদ্যোগে ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিকউজ্জামান অশোক। আলোকিত অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. তারিক হাসান মিন্টু, ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এস মৃনাল হাজরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক আল মাহমুদ প্রিন্স, ফুলতলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস কে আলী ইয়াসিন, ফুলতলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অজয় নন্দী, ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান নান্নু। উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুবোধ কুমার বসু, সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ তুরান, আইচগাতী ইউনিয়ন কৃষকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান খান (মনা), জামিরা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহ্বায়ক মোঃ মেহেদী হাসান সরদারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, মোঃ আব্দুর রব, বিপ¬খান, আব্দুর রাজ্জাক খান, মিলন মোল¬া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ফোরকান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক, ডাঃ শেখ আব্দুল গফ্ফার, রুহুল আমিন, আব্দুর রহমান, আমির হোসেন মলি¬ক, শরিফুল ইসলাম, আব্বাস আলী মোল¬া, মনজু রানী বসু, মোঃ হায়দার মোল¬া, গীতারানী মন্ডল, আমির মলি¬ক, আমিুল ইসলাম, আমজাদ মোড়ল, নাসরিন সুলতানা, আব্দুর রহমান, রিক্তা রানী পাল, রনজিত মন্ডল, রনজান আলী মিন্টু, আশরাফুল আলম মোড়ল, আরিফুজ্জামান সাগর, সোহরাব আকুঞ্জি, আহম্মেদ বিশ্বাস, নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্মেলনে মোঃ মেহেদী হাসানকে সভাপতি হায়দার আলী মোল¬াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য এবং ১নং ওয়ার্ডে জগদীশ হালদারকে সভাপতি, উত্তম মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক, ২নং ওয়ার্ডে মোঃ আনারুল ইসলামকে সভাপতি, মোাঃ নজরুল খানকে সাধারণ সম্পাদক, ৩নং ওয়ার্ডে মোঃ হোসেন আলী সরদারকে সভাপতি, মোঃ বাহারুল গাজীকে সাধারণ সম্পাদক, ৪নং ওয়ার্ডে মোঃ আমজাদ মোড়লকে সভাপতি, মোঃ কামরুল আকুঞ্জিকে সাধারণ সম্পাদক, ৫নং ওয়ার্ডে আহম্মেদ বিশ্বাসকে সভাপতি, মোঃ কালাম খানকে সাধারণ সম্পাদক, ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ রশিদুল ইসলামকে সভাপতি, মোঃ সাগর মোল¬াকে সাধারণ সম্পাদক, ৭নং ওয়ার্ডে মোঃ ইউনুস সরদারকে সভাপতি, মোঃ আঃ কুদ্দুস সরদারকে সাধারণ সম্পাদক, ৮নং ওয়ার্ডে মোঃ হান্নান গাজীকে সভাপতি, মোঃ ইমদাদুল শেখকে সাধারণ সম্পাদক, ৯নং ওয়ার্ডে মোঃ বক্কর সরদারকে সভাপতি মোঃ সোহরাব আকুিঞ্জকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সভায় ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী’সুস্থতা কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।

সোনালী অতীত ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সোনালী অতীত ক্লাব খুলনার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা স্টেডিয়ামস্থ ক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে ক্লাবের সভাপতি মনসুর আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আহমেদ রাজ এর পরিচালনায় সভায় যারা সদস্যপদ নবায়ণ করেনি তাদের বিষয়ে, মাসে দু’টি প্রীতি ম্যাচ, ট্র্যাকসুট তৈরী আগামী জানুয়ারি নবগঠিত উপদেষ্টা কার্যনির্বাহী পরিষদের মতবিনিময় সভার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় গত ১৬ ডিসেম্বর শিরোমনিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে শেষ হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন কাজী নাসিবুল হাসান সানু, নুরুল ইসলাম খান কালু, খাইবার হোসেন সমেরু, শেখ হেমায়েত উল্লাহ, শেখ মনিরুজ্জামান মনি, মজিবর রহমান ফয়েজ, এস এম সোহরাব হোসেন, এস এম মনির হোসেন, মো. আবুল হোসেন আবুল, আদিলুজ্জামান আদিল, তরিকুল ইসলাম সোহান, এম জলিল, আমিনুর রহমান তালুকদার, শেখ মো. জাহাংগীর, মনিরুজ্জামান মনি জিএম আকরাম হোসেন।

ভারতে ফের শত শত মুসলিম নারী বিক্রির জন্য ‘নিলামে’

খুলনাঞ্চল ডেস্ক

ভারতের ফের শত শত মুসলিম নারী বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে ‘নিলামে’।  বিনা অনুমতিতে ছবি ব্যবহার করে একটি অ্যাপে মুসলিম নারী বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীর বিক্রির এই বিজ্ঞাপন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, আনন্দবাজার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে তথ্য জানা গেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইসমত আরা নামে এক সাংবাদিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে, মুম্বাই পুলিশও নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন শিবসেনার সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী জানিয়েছে। মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, মুম্বাই পুলিশের সাইবার ইউনিট  ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপে পাওয়া বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটা ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের ক্লোন। ওই ‘শালি ডিলস’ অ্যাপেই গত বছরের জুলাইতে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন’ করা করা হয়েছেল। ওই অ্যাপে ওয়েবসাইটে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছিল ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে। যদিও এখানে বেচাকেনার কোনো উদ্দেশই ছিল না। ওই অ্যাপের উদ্দেশ ছিল ব্যবহারকারীদের হেয় করা, অপমান করা এবং হয়রানি করা। ব্যাপারে এক নেটিজেন জানান, ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের মতো ঠিক একইভাবে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ কাজ করে।  অ্যাপটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লেতে মুসলিম নারীদের ছবি একের পর এক সামনে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মুসলিম নারীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।  তারা ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ তাদের ‘নিলামে’ তোলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বাইক বাঁচাতে গিয়ে বাস খাদে, প্রাণ গেল বাইসাইকেল আরোহীর

 যশোর অফিস

যশোর সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল (বাইক) বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে যায়। সময় বাসের চাপায় ইয়াকুব আলী (৫৫) নামে এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের ৩৫-৪০ জন যাত্রী। রোববার সদর উপজেলার সরুইডাঙ্গা আমতলা এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত বাইসাইকেল আরোহী ইয়াকুব আলী সদর উপজেলার জোত রহিমপুর গ্রামের হেরমত আলীর ছেলে।

পুলিশ স্থানীয়রা জানান, ইয়াকুব আলী বাড়ি থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে মনোহরপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। সময় যশোর থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লোকাল বাস মাগুরার দিকে যাচ্ছিল। বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ইয়াকুব আলী সংযোগ সড়ক থেকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে উঠলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই বাইসাইকেল আরোহী নিহত এবং বাসের অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মনোহরপুর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত যাত্রীদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। যশোর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজিজুল হক জানান, এক ঘণ্টা পর বাসের নিচ থেকে বাইসাইকেল আরোহীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সদরের ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মোকারম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। বাসটি  পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

 ‘ভাবিনি এমন সুন্দর একখান ঘর আমাদের হবে’

যশোর প্রতিনিধি

নতুন একটা বাড়ি পেয়ে যারপরনাই খুশি মৌসুমি-মুন্না দম্পতি। তাদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকটের সমাধান হয়েছে। টিনের ছাপড়া ঘরে রোদ-বৃষ্টিতে আর কষ্ট পোহাতে হবে না। ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত মৌসুমি বললেন, ‘ভাবিনি এমন সুন্দর একখান ঘর কখনও আমাদের হবে।’ যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের তীরেরহাট উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মো. মুন্না হোসেন (২৯)পৈতৃক ভিটা বলতে যা বোঝায়, তা হলো তিন শতকের একটি জমিতে টিনের ছাপড়া। সেখানে থাকতে হতো আরও তিন ভাইয়ের সঙ্গে। ভিটের এক কোণে টিনের ছাপড়া দিয়ে থাকেন দিনমজুর মুন্না। পরের জমিতে কিষানের কাজ করেই মূলত তার আয়-উপার্জন। স্ত্রী আর এক বছর বয়সী সন্তান মাহিনকে নিয়ে বেশ কষ্ট হতো সেখানে বসবাস করা। গরমের সময় খুব গরম, বর্ষায় টিন গলে বৃষ্টির পানি–অবস্থা ছিল তাদের নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু এখন তারা সেই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন যশোরের যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুলের কল্যাণে। নতুন বছরে নতুন ঘরের চাবি হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত মুন্না বলেন, ‘মাঠে কৃষিকাজ করি, পরের জমিতে। দিনের হাজিরা তিনশ’ টাকা। তাও সবসময় কাজ থাকে না। অভাব-অনটনের সংসারে ঘরের চালা, বেড়া মেরামত করার মতো অবস্থা কখনোই ছিল না। আর কখনও হবে কিনা জানি না। এমনও রাত গেছে, বৃষ্টি-বাদলার কারণে অন্যদের বারান্দায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। একটা পাকা বাড়ির স্বপ্ন কখনও দেখিইনি। কিন্তু বিপুল ভাইয়ের কারণে সেসব না দেখা স্বপ্ন আজ সত্যি হয়ে এসেছে। বিপুল ভাই আমাদের জায়গায় দুই রুমের বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন। বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া রান্নাঘর এবং একটি টয়লেটও রয়েছে। খুব খুশি হয়েছি, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না! আল্লাহ যেন তাকে মানুষের আরও সেবা করার সুযোগ দেন।’ মুন্নার স্ত্রী মৌসুমি খাতুন বলেন, ‘নতুন ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। রঙ করা হয়ে গেলে খুব শিগগিরই আমরা ঘরে উঠবো। ঘরে ওঠার পর একটা টিউবওয়েল আর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা লাগবে। বাড়ির বাইরে যেটুকু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে শাকসবজি, হাঁস-মুরগি পালন করতে পারবো।’ তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিপুলের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মুন্না-মৌসুমি দম্পতির আজকের এই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মূলে রয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। এই দম্পতির জন্যে একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা পেয়ে নিজ অর্থায়নে ঘরটি তাদের উপহার হিসেবে দিয়েছি। আর বছরের প্রথম দিন (জানুয়ারি) ওই বাড়ির চাবি তাদের হাতে দিয়েছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর যশোর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মানবিক যুবলীগের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঘরহীনদের বাড়ি করে দেওয়ার জন্য জেলা যুবলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল নতুন বছরের প্রথম দিন মুন্না হোসেনের হাতে উপহার হিসেবে ঘরের চাবি তুলে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মুন্না অত্যন্ত অভাবী মানুষ। তবে নীতিতে সে সৎ। এমন একজন মানুষকে স্বপ্নের মতো একটি বাড়ি উপহার দিয়ে যুবলীগ নেতা বিপুল একটি মানবিক কাজ করেছেন।’

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একটি মানবিক উদ্যোগ গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া। আমি সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালে চার পরিবারকে চারটি ঘর করে দিয়েছি। আর যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাইয়ের নির্দেশনা পেয়ে ব্যক্তিগত অর্থায়নে মুন্নাকে নববর্ষের উপহার হিসেবে ঘর দিয়েছি। যুবলীগের এই মানবিক তৎপরতায় অংশীদার হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিপুল বলেন, ‘বাড়িটির পলেস্তরা এখনও কাঁচা রয়েছে। চার-পাঁচ দিন লাগবে শুকাতে; তারপর রঙ করে দেওয়া হবে। আর পানীয় জলের জন্যে একটি টিউবওয়েল দেওয়ার চিন্তা রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ তো একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়; তারা আবেদন করলে পরবর্তী সহযোগিতা করা হবে।’

মাদকসহ অর্ধশতাধিক মামলার নারী আসামি গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা, মদ ইয়াবাসহ শিপ্রা নামে অর্ধশতাধিক মাদক মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সময় তার ছেলে শুকুর আলীকেও গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান। তিনি বলেন, দুপুরে মাদক কেনাবেচার গোপন সংবাদের ভিত্তি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুদ্ধিমান পাড়ায় অভিযান চালানো হয়। সময় জেলার শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী শিপ্রা বেগম (৬০) তার ছেলে শুকুর আলীকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বসতঘর তল্লাশি করে হাজার ২৪৫ পিস ইয়াবা, এক বোতল দেশি মদ, ৫০০ গ্রাম গাঁজা নগদ ৪২ হাজার ৪৬০ টাকা জব্দ করা হয়। ওসি মাহাব্বুর রহমান আরও বলেন, গ্রেফতার শিপ্রা বেগমের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মাদক মামলা আছে। তার ছেলে শুকুর আলীর বিরুদ্ধেও বেশকিছু মাদক মামলা আছে। আজও মাদক পাওয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে কুষ্টিয়ার নদী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

দখল দূষণে হারিয়ে যেতে বসেছে কুষ্টিয়ার আটটি নদী। জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এসব নদী এখন চরম অস্তিত্ব সংকটে। এসব নদীর বেশিরভাগই পদ্মা-গড়াইয়ের শাখা হলেও অবৈধ দখল, পলি জমে যাওয়া দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভরা যৌবন হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অনেক স্থানে প্রভাবশারীরা নদীর বুকে পিলার দিয়ে বিভিন্ন পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকলেও কেউ এর তোয়াক্কা করছেন না। নদ-নদী খাল-বিল দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে।

সরকারি এক হিসাব বলছে, কুষ্টিয়ায় নদ-নদী খাল-বিল দখলকারীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। আবার নদ-নদী দখলের পাশাপাশি সমানতালে চলছে নদী দূষণের পাল্লা। কল-কারাখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদ-নদীতে। কোথাও কোথাও ড্রেনের সংযোগ এমনকি মলমূত্রও গিয়ে মিশছে এসব নদীতে।

দৌলতপুর থেকে শুরু করে খোকসা উপজেলার মাঝপাড়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত পদ্মা নদী। এর প্রধান শাখা গড়াই নদী ৫০ কিলোমিটার, গড়াই নদীর শাখা কালী নদী ছেঁউড়িয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার, সাগরখালী নদী ভেড়ামারা থেকে ১৫ কিলোমিটার এবং হিসনা নদী ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এক যুগ আগেও জেলার এসব নদ-নদীগুলোর যৌবন ছিল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় দখল এবং দূষণের কারণে নদীগুলো এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নদীর এখন পানি প্রবাহ নেই।

দৌলতপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মা থেকে উৎপন্ন মাথাভাঙ্গা হিসনা নদী। কিন্তু দখল দূষণের কারণে নদী দুটি এখন চরম অস্তিত্ব সংকটে। নদীর বেশিরভাগ জায়গাই এখন দখলদারদের কবলে। বর্ষা মৌসুমে নদী দুটির কোথাও কোথাও পানি দেখা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে একেবারে মরা খালে পরিণত হয়। কোথাও কোথাও নদীর বুকে তামাক ধানচাষ করা হচ্ছে।

ভেড়ামারা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চন্দনা নদী। পদ্মা থেকে উৎপন্ন হওয়া এক সময়কার চন্দনা নদীর কোনো অস্তিত্ব এখন আর চোখে পড়ে না। প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে নদীর বেশিরভাগ।

মিরপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সাগরখালী নদী। নদীটি এখন মৃতপ্রায়। কয়েক বছর আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে খনন করে নদীটি আবার সচল করার উদ্যোগ নিলেও তাতে কোনো সুফল মেলেনি। নদীর দীর্ঘ এলাকা এখন পানিশূন্য।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদ। গড়াইয়ের শাখা নদটি এখন বিলীন হওয়ার পথে। বাঁধ দিয়ে মাছচাষ করা হচ্ছে নদটিতে। ঝাউদিয়া বৈদ্যনাথপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় নদীর বড় অংশ দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।

কুমারখালীর ডাকুয়া কালী নদী শুকিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। খোকসা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সিরাজপুর হাওর নদী। গড়াইয়ের অন্যতম শাখা নদীটি শুকিয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। নদীর দুই অংশে দুটি কালভার্ট স্লুইস গেটে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে নদী তার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ার নদ-নদী খালের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত তিন হাজার দখলদার রয়েছে। ফলে নদ-নদী খালের প্রবাহ এখন আর স্বাভাবিক নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা প্রশাসন পৃথকভাবে এসব দখলদারদের চিহ্নিত করেছে।

জেলার ছয়টি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন করে তালিকা তৈরি করেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কার্যালয়ের একটি সূত্রের দাবি, কয়েক বছর আগের করা তালিকার বাইরে বর্তমানে দখলদারদের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাওয়া দখলদারদের তালিকায় রয়েছে পদ্মা নদী, গড়াই নদী কয়েকটি বিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় এসব নদ-নদীর বাইরেও দখলে রয়েছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ছোট-বড় খালগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি দখলদার রয়েছে ভেড়ামারার হিসনা নদীতে। সেখানে নদী দখল করে পাকা দালানও করা হয়েছে।

সরেজমিন হিসনা নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর উভয় পাড়ে বাড়ি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর বুকে পানি না থাকায় কোনো কোনো জায়গায় ধানচাষ করা হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটা একটা নদী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় হিসনা নদীতে বড় বড় ট্রলার চলতো। তবে নদীর বর্তমান অবস্থা দেখে সে কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকা অনুযায়ী, পদ্মা নদী, গড়াই নদী সেচ প্রকল্পের ছোট-বড় খাল দখল করে আছে অন্তত দুই হাজার ৯২১ জন দখলদার। বেশিরভাগই পাকা আধাপাকা টিনের বসতঘর। কোনো কোনো জায়গায় টিনের দোকান রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে বাস ব্যবসা করে আসছেন তারা।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, নদ-নদী খাল দখলকারীদের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। যেকোনো উপায়ে নদ-নদী খালের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে জেলায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিবেশকর্মী খলিলুর রহমান মজু বলেন, তিনি প্রতিদিন সকালে গড়াই পদ্মা নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে বের হন। কিন্তু নদীর দিকে তাকালে দখল দূষণ দেখে কষ্ট লাগে। তিনি বলেন, দখলদারদের যখন চিহ্নিত করা গেছে তখন তাদের আইনের আওতায় আনতে বাধা কোথাই?