তথ্য বিবরনী।।
বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি একসুত্রে গাথা। দুদেশের সম্পর্ক সারা বিশে^র জন্য সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু–বাপু ডিজিটাল’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী বাপুজির জীবনের নানা পর্বের ছবি ও ভিডিও নিয়ে সাজানো এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ (বুধবার) বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী অসাধারণ সাদৃশ রয়েছে। তাঁরা দুজনই ছিলেন নিপীড়িত মানষের কণ্ঠস্বর। দুজনই অহিংস আন্দোলনের বিশ^াসী। এই দুই মহান নেতা কেবল বাংলাদেশ কিংবা ভারতের নেতা নন। তাঁরা সারা বিশে^র মুক্তিকামী মানুষের নেতা। তাদের দুজনের জীবন দর্শন বুঝা যাবে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা–৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান, খুলনা–৪ আসনের সংদস সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাতক্ষীরা–৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জগলুল হায়দার, খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোঃ মাহাবুব হাসান প্রমুখ। স্বাগত জানান খুলনার সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রায়না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং মহাত্মা গান্ধীর জন্মের একশত ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে খুলনাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীটি ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
=০০০=