কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ।।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে কবরস্থানে সেলিমের কবরের কাছে মানুষ ভিড় করতে দেখা যায়।
সেলিমের বাবা তার ছেলের লাশ উত্তোলনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকালে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ উত্তোলনের খবর। সংবাদ শুনে স্থানীয়রা ও সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই সেলিমের গ্রামের বাড়ি বাঁশগ্রাম কবরস্থানে ভিড় করেন। লাশ উত্তোলনের কোনো আলামত না পেয়ে সেই সমস্ত লোকজন উপস্থিত হন তার গ্রামের বাড়িতে।
এ সময় ড. সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী বলেন, তার ছেলের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ পর্যন্ত তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। বরঞ্চ সকাল থেকে বিভিন্ন সাংবাদিক ও এনএসআই থেকে তাকেই ফোন করে জিজ্ঞেস করেছে তিনি লাশ উত্তোলনের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা?
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তিনি খুলনা যেতে পারেননি টাকার অভাবে। কারণ তার ছেলে প্রতি মাসে যে টাকা পাঠাতো সেই টাকায় তার সংসার চলতো। কিন্তু বর্তমানে তিনি একেবারেই কপর্দকশূন্যে। তার কাছে কোনো টাকা নেই যা নিয়ে খুলনা গিয়ে ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন। তবে টাকা ধার করে হলেও তিনি খুলনা যাবেন এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, তার ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের জন্য যদি লাশ কবর থেকে তোলা হয় তার কোনো আপত্তি নেই। তিনি অপরাধীদের বিচার দাবি করেন।
লাশ উত্তোলনের বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এখনো পর্যন্ত অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি বা এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।