কোন তেলে কোন সৌন্দর্য জানুন!

11

মিলি রহমান।।

নানা রকমের তেল আছে। অনেকেই অনেক তেলের নাম জানে, কিন্তু কোনটি কোন জন্য ভালো সে সম্বন্ধে খুব কমই জানি। আমরা জেনে শুনে তেলের ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফল পাবো। আজ আমরা জানবো দশটি তেলের নাম এবং তার ব্যবহার।

সৌন্দর্যচর্চায় বিশেষ করে চুলের যত্নে যুগে যুগে সেরা হিসেবে খ্যাত নারকেল তেল। চুলের গোড়া শক্ত করে এই তেল। এছাড়া ত্বকে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের যত্নে নারকেল তেল যে ব্যবহৃত হতে পারে তা আমরা অনেকেই জানি না। নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে।

সরিষার তেল : খুশকি সারাতে সরিষার তেলের জুড়ি মেলা ভার। গরম করে তালুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। খুশকি উধাও হবে। সরিষার তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে পারে। শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। শিশুর ত্বকেও খাঁটি সরিষার তেলের ম্যাসাজ অন্য রাসায়নিকযুক্ত তেলের তুলনায় নিরাপদ।

তিলের তেল : তিলের দানার গুণাগুণের শেষ নেই। এ থেকে হয় তিলের তেল। তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। যাদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে, তাদের ওই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথাও ঠান্ডা থাকে। শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য কর্পূর তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে। সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।

অলিভ অয়েল : শুষ্ক তালু প্রাণ ফিরে পায় অলিভ অয়েলে। তবে চুলে লাগানো যাবে না। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক ছোপ ছোপ ত্বক কোমল মসৃণ করে তোলে।

আমন্ড অয়েল : চোখের নিচে কালি দূর করতে ব্যথা, ফোলা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে তেলটি।

ক্যাস্টর অয়েল : চোখ ভ্রু ঘন করতে নিয়মিত দু’তিন ফোটা ক্যাস্টর অয়েল ধৈর্য ধরে লাগান।

এপ্রিকট অয়েল : ময়েশ্চারাইজার ত্বকের পুষ্টির জন্য এপ্রিকট অয়েল খুবই উপকারী।

ইভনিং প্রিমরোজ : অ্যাকনে, একজিম, খুশকির ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

ক্যারট অয়েল : বয়সের ছাপ কমানো পুড়ে যাওয়া রোধে ব্যবহৃত হতে পারে তেল।

অ্যাভোকাডো : নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।