বিনোদন ডেস্ক।।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ফোনালাপ। এতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে আপত্তিকর ভাষায় বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মাহিকে তুলে এনে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছেন তিনি! সেই ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেন।
ওমরাহ পালন করতে বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবে আছেন মাহি। তিনি বলেন, সেদিন ঘটনা ঘটার পর আমি বেশ বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্মসম্মানে কতটুকু আঘাত লেগেছে সেটি আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। এবং আজকেও আমি ভীষণ লজ্জিত নিজের কাছেও সেই সঙ্গে দেশবাসীর কাছে।
আপনারা নিজে থেক একবার চিন্তা করে দেখবেন আসলে এই ভাষার প্রতিউত্তর আমি কী দিতাম সেই সময়? বলার ভাষা আমার সেদিন ছিল না। আমি নিজের মতো করে উত্তর দিয়ে পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। এটা ঠিক দুই বছর আগের ঘটনা ছিল।
আমি বরাবরের মতো সেদিনও বলেছিলাম, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি কোনো না কোনোভাবে তিনি তার ফল পেয়েছেন। এটা আমার কাছে প্রমাণিত।
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে স্যরি বলছি। কারণ ফোন রিসিভ করতে পারিনি। আমি ওমরাহ করতে এসেছি। আসলে এই অবস্থায় ফোন সিরিভ করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। আপনারা চিন্তা করে দেখবেন আমার জায়গায় থেকে আসলে আমি দোষী নাকি নির্দোষ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের ওমরাহ কবুল করেন।
ফোনালাপে শোনা গেছে চিত্রনায়ক ইমনের কণ্ঠ। মূলত ডা. মুরাদ ইমনকে ফোন করেছেন এবং পরে মাহির সাথে কথা বলেছেন। ফোনালাপটি নিয়ে এরই মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শোবিজ কর্মীদের মধ্যে।
ভাইরাল সেই ফোনালাপ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক ইমন। অডিওটি সঠিক বলে সময় নিউজকে ভার্চুয়াল কলে নিশ্চিত করেছেন। ইমন বলেন, ‘যা শুনেছেন তাই। এটি আসলে বছরখানেক আগের ঘটনা। একটি সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে প্রতিমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। বাকিটা তো আপনারা শুনেছেনই।’
কোন সিনেমার মহরত? উত্তরে ইমন বলেন, আমরা তখন ‘ব্লাড’ সিনেমার প্রস্তুতিতে ছিলাম। বনানীতে পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন ভাই ছিলেন। তখনই উনি (ডা. মুরাদ) ফোন করেছেন। আমি আসলে প্রতিমন্ত্রীকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি কিন্তু বলেছি, ‘হ্যাঁ, ভাই আসছি। দেখছি ভাই।’
এ ঘটনায় ইমনের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ‘আমি মাহিকে নিয়ে গেছি এমন কোনো কথা কিন্তু নাই। মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর কী কথা হয়েছে সেটা আমি তখনও জানতাম না। আজকে শুনলাম। মন্ত্রী চাওয়ার পর আমি মাহিকে ফোন দিয়ে সুমন ভাইয়ের সাথে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা বলা শুরু করি। আমি শুধু উনাকে (প্রতিমন্ত্রী) সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
বনানীতে মিটিং শেষ করে যার যার মতো করে বাসায় চলে গেছেন বলে জানান ইমন। তার ভাষায়, একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী যেকোনো শিল্পীকে ফোন দিতেই পারেন। তবে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য না। বিষয়টি মাহি এবং আমার জন্য বিব্রতকর।
গেল ২৪ নভেম্বর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ওমরাহ পালনে যাওয়ার বিষয়টি জানান মাহিয়া মাহি। পোস্টে মাহি লিখেছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ, জীবনে প্রথমবার ওমরাহতে যাচ্ছি। এ অনুভূতি প্রকাশের ঊর্ধ্বে। তোমার জন্য অন্তর থেকে অনেক অনেক দোয়া। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।