খুলনাঞ্চল ডেস্ক।।
মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথান শুক্রবার বলেছেন, মনে হচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ওমিক্রন একটি খুব বেশি সংক্রমণশীল একটি ভ্যারিয়েন্ট। রয়টার্সের নেক্সট গ্লোবাল কনফারেন্সে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আতঙ্কিত হয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। একবছর আগের তুলনায় আমরা এখন অন্যধরনের অবস্থার মধ্যে আছি। টিকা কার্যক্রম বাড়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তিনি।
স্বামীনাথান বলেন, প্রথম শনাক্ত হওয়া অঞ্চল গাউটেং থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রদেশের প্রাথমিক যেসব রিপোর্ট আমরা পেয়েছি তাতে আমাদের মনে হচ্ছে এটি খুব বেশি সংক্রামক, খুব বেশি সংক্রমণযোগ্য। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
প্রকৃতপক্ষে, আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্টটি খুব বেশি সংক্রমণশীল।
স্বামীনাথান উল্লেখ করেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসা গোষ্ঠীর বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য। যতদ্রুত সম্ভব তথ্য প্রদানের জন্য তারা অবিরাম কাজ করছেন।
২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনিই নতুন নতুন দেশে ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে নতুন করে বিধি-নিষেধের পথে হাঁটছে অনেক দেশ।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( ডব্লিউএইচও) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে সতর্ক করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই ম্যানিলা থেকে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি বলেন, করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় প্রত্যেকটি দেশ ও সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় শুধু সীমান্ত সম্পর্কিত পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করা উচিত হবে না। দ্রুত সংক্রমণশীল এ ধরন ঠেকাতে প্রস্তুতির বিকল্প নেই। ওমিক্রন সম্পর্কে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে পারছি না। প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সক্ষমতা বাড়ানো ও টিকা কর্মসূচি ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।