স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১২ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন- কনস্টেবল মোল্লা মেজবাহ উদ্দিন (পলাতক), ফরহাদ আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান (পলাতক) এবং তাদের সহযোগী আরমান শিকদার জনি ও মো. বায়েজিদ। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনার সময় খুলনা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর স্থানীয় যৌন ব্যবসায়ী শাহরিয়ার রিন্টু ও আবু ইছহাককে দৌলতপুর বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেটের সামনে শান্তি রানী বিশ্বাসের চায়ের দোকানে আটকে রাখেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। আসামি মেজবাহ উদ্দিন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দর কষাকষির এক পর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। স্থানীয়রা বুঝতে পেরে ঘটনাটি দৌলতপুর থানায় জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিন্টু ও ইছহাককে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে তখন দৌলতপুর থানার এসআই কাজী বাবুল হোসেন বাদী হয়ে তিন পুলিশ সদস্য ও তাদের দুই সহযোগীর নামে মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বাবলু খান ওই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দেন।