স্টাফ রিপোর্টার ।।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারসহ ৪ দফা দাবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক সমিতির আহবানে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় শিক্ষকরা প্রতিবাদ র্যালি করেন। র্যালি শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়েট ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ইলেক্টিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমরা শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ চাই। যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে অবস্থান করাসহ নির্বিঘ্ন পদচারণা করতে পারেন।’
এ সময় প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের সেই সব মানসিক নির্যাতনকারীদের বহিষ্কার চাই। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে- এমনটা শিক্ষকদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বহিস্কার করতে হবে।’
সমাবেশে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। বলা হয়, ছাত্রদের মধ্যে অসহিষ্ণু ভাব তৈরি হয়েছে। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃস্টি করেছে। শিক্ষকরাও এ বিষয়ে চরম উদ্বিগ্ন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বেলা ৩টায় হঠাৎ মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন। এরপর অভিযোগ ওঠে, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান গ্রুপের নেতাদের মানসিক নির্যাতনের ফলে ওই শিক্ষকের অকাল মৃত্যু হয়েছে।