সাবজাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের একটি ইউনিয়নের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। ভোটের ২ দিন পরে উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র হতে ব্যালট পেপারেরর ৮ টি মুড়ি বই পুলিশ উদ্ধার করার পরে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ৫ পরাজিত মেম্বার প্রার্থী পুণ নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারীরা হলেন, ওই ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মিলন হোসেন,নাছির উদ্দিন,রাজিব আহম্মেদ, সোহাগ হুসাইন ও মাজহারুল হান্নান লিটন।
অভিযোগকারীরা লিখিত অভিযোগে বলছেন, গত রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের দিন তাদের ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপারের ৮ টি মুড়ি বই পুলিশ উদ্ধার করে। এছাড়াও পাশর্^বর্তী কেন্দ্র ৫ নং ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থীও অনুরুপভাবে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।
তারা লিখিত অভিযোগে বলছেন, ওই কেন্দ্রের অসাধু প্রিজাইডিং অফিসার আবু সাইদ ভোটে কারচুপি কওে ফলাফল উল্টে দিয়েছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে ভোটের পরদিন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুপুর ২ টার সময় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবু সাইদের রুমের ড্রয়ার খুললে ৮ টি কাটা ব্যালটের মুড়ি বই দেখতে পান। এ সময় তিনি বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে অবহিত করলে পরাজিত মেম্বর প্রার্থীরা সেখানে হাজির হন। এর কিছু সময় পরই সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার আবু সাইদ মটরসাইকেলযোগে সেখানে আসলে এলাকাবাসী তাকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুড়ি বই জব্দ ও প্রিজাইডিং অফিসারকে থানাতে নিয়ে আসে। প্রার্থীদের অভিযোগ,উক্ত প্রিজাইডিং অফিসার গোপনে ওই বই ব্যালটে আবু জাফরের ফুটবল প্রতিকে সীল মেরে তাকে বিজয়ী করিয়েছেন। তারা এমন অনিয়মের সুষ্ট বিচারসহ পূনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানান। এদিকে অনুরুপভাবে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সদস্য প্রার্থী কোরবান আলী তার কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পূণ গননার দাবী করেছেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আবু সাইদ জানান, ভোট শেষে তড়িঘড়ি করে ভোটের মালামাল বুঝ করতে গিয়ে ৮ টি মুড়ি বই ভুলে ফেলে এসেছেন। কোন রকমের ঘুষ কারচুপির বিষয়টি সত্য নয়।
এদিকে ওই ইউনিয়নের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কৌশিক আহম্মেদ জানান, কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগপত্র নিয়ে তার কাছে এসেছিলেন। তাদের অভিযোগে দাবীর বিষয়টি আমাদের সমাধান করার এখতিয়ার নেই। এমন বিষয়টি সমাধান করার মালিক একমাত্র ট্রাইবুনাল।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, ভোট গ্রহন শেষে প্রিজাইডিং অফিসারের ভুলে মুড়ি বইগুলি সেখানে হয়তো থেকে গিয়েছে। পরে তা উদ্ধার হয়েছে। তবে, এর বাইরে কিছুই নেই বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, মুড়ি বই উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে মুড়ি বইগুলো জব্দ করে থানাতে এনেছেন। এ বিষয়ে ওইদিন থানাতে একটি জিডি করা হয়েছে।