মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
১ লা ডিসেম্বর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৭০ বছর আগে ১৯৫০ সালের ১ লা ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় এ বন্দরের। যাত্রা শুরুর ১০ দিনের মাথায় ১১ ডিসেম্বর পশুর চ্যানেলের জয়মনিরঘোলে ‘দি সিটি অব লিয়নস’ নামক প্রথম ব্রিটিশ পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙ্গরের মধ্যদিয়ে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১৯৮৭ সালে পোর্ট অব চালনা অথরিটি এ্যাক্ট অনুসারে প্রথমে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পরবর্তীতে মোংলা পোর্ট অথরিটি নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১ লা ডিসেম্বর বুধবার মোংলা সমুদ্র বন্দরের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবেন কর্তৃপক্ষ। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে নানা আয়োজনে মুলত স্বল্প পরিসরে উদযাপন হবে দিবসটি।
এ উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বন্দরের প্রশাসনিক চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর শুভ উদ্বোধন করবেন বন্দর কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা। বেলা সাড়ে ১১ টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠ, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসার শুভেচ্ছো বক্তব্য, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির কেক কাটা, দুপুর ১২ টায় বন্দর ব্যবহারকারী, কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য নির্বাচিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিদায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রেস্ট প্রদাণ করবেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও বন্দর চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা। দুপুর সোয়া ১টায় মোংলা বন্দরের অগ্রগতি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান, দুপুর দেড়টায় মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বন্দরের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
মোংলা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা বলেন, বন্দরকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল বন্দরে রুপান্তিত করার লক্ষে ও অচল বন্দরকে সচল এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বন্দরে ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরো উদ্যোগী, সহনশীল হয়ে মোংলা বন্দরের সুনাম রক্ষায় সকলের সহযোগীতার প্রয়োজন। ১৯৫০ সালের এ দিনে চালনা এ্যাংকারেজ পোর্ট নামে মোংলা সমুদ্র বন্দরের যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘপথ পরিক্রমায় নানা সমস্যা মোকাবেলা করে পণ্য আমাদানী-রপ্তানী ও সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। যা আগামী দিনেও এ উন্নয় ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।