শার্শায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ নিহত – ১ : আহত ১১

3
Spread the love

বেনাপোল প্রতিনিধি।।

যশোরের শার্শা উপজেলার পোষ্টার সাটানোকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জন নিহত আহত হয়েছেন উভয় প্রার্থীর ১১ জন সমর্থক। নিহত কুতুব উদ্দিন (৩০) রুদ্রপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আনারস প্রতীকের সমর্থক।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে। আহতদের মধ্যে জনের অবস্থা গুরুতর।

এর আগে সকালে একই ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী বাবলু রহমানের ভাই আরিফ ইকবাল (৩৮) কে কুপিয়ে জখম করেছে। টানটান উওেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। যে কোন সময় আবারো হামলার আশংকা করছে এলাকাবাসী। ঘটনান্থলে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ

আহতরা হলো নৌকা সমর্থক বর্তমান মেম্বার মেম্বার প্রার্থী হবিবার (৫০), আক্কাচ আলী (৩৫), আজগার আলী (৩৫), মাসুদ হোসেন (২৫), আইনাল হোসেন (৪০) মন্টু মিয়া (৫০)স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার সমর্থক মেম্বার প্রার্থী ইকতিয়ার (২৫), আলাউদ্দিন (৫৫), আরশাদ আলী (৬০), কুতুব (৩৫) সাহাবুদ্দিন (৪০)এদের মধ্যে মন্টু আরশাদের অবস্থা আশংকাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে রুদ্রপুর বাজারে পোস্টার মারা নিয়ে বর্তমান মেম্বার হবিবর রহমানের সাথে তার আপন চাচাতো ভাই মেম্বর প্রার্থী ইকতিয়ারের সাথে তর্ক হয়। সময় আরেক পক্ষ এসে তর্কে যোগ দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। দেশিয় অস্ত্র রামদা, লাঠি লোহার রড নিয়ে একে অপরের কুপিয়ে মারপিট করে আহত করে। এদের মধ্যে হবিবর মেম্বার নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু চাচাতো ভাই ইকতিয়ার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেনের সমর্থক।

আহতদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মন্টুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিদ্বন্দি দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকার বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগের দিনে এই মারামারি পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না যায়।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।