দৌলতপুর-দেয়াড়া খেয়াঘাটে জনভোগান্তি চরমে

34
Spread the love

আসাদ, দিঘলিয়া।।

 খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা একটি দ্বীপ উপজেলা হিসেবে পরিচিত।ভৈরব, আতাই মজুতখালী নদী দ্বারা বেষ্টিত দিঘলিয়া উপজেলার মূল ভূখন্ড। নদী পারাপারের জন্য ১৯ টি খেয়াঘাট এই জনপদের মানুষ ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে অধিক ব্যবহৃিত খেয়াঘাট দৌলতপুর-দেয়াড়া খেয়াঘাট। যে ঘাট ব্যাবহার করে দিঘলিয়া সহ পাশ্ববর্তী অন্য দুই উপজেলার জনগণ নদী পারাপার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সহ চলছে চরম অব্যাবস্হাপনা।

ভূক্তভোগী জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতপুর খেয়াঘাটটি খুলনা জেলা পরিষদ এর আওতাধীন। দিঘলিয়া উপজেলার সাথে যোগাযোগ এর একটি ব্যস্ততম অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে দেয়াড়া- দৌলতপুর খেয়াঘাট। এই খেয়াঘাটের উপর ভরসা করে প্রতিদিন হাজার হাজার জনগণ তাদের শিক্ষা, ব্যবসা, চাকুরী নিত্য প্রয়োজন মেটাতে শহরের সাথে সংযোগ রক্ষা করে চলেন। এই খেয়াঘাট দিয়ে ৪৫% এরও বেশি, নারী শিশু পারাপার হয়। এমন একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ খেয়াঘাটের অব্যবস্থাপনা দৈন্যদশার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীদেরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। বিশেষ করে বয়স্ক, নারী শিশুদের ক্ষেত্রে এই দূর্ভোগ চরম। ঘাট পারাপারের সিঁড়ি গুলোর বেহালদশা চোখে পড়ার মত। প্রায় প্রতি দিনই ঘটছে কোন না কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা।

উল্লেখ্য  আনেক অভিযোগের পর গত ৮ নভেম্বর  দৌলতপুর-দেয়াড়া খেয়াঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘাট কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও পরের দিন থেকে পূর্বের ন্যায় অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অবমাননার সামিল। গত এক বছরে  অনেক বার অভিযোগ জানালেও কতৃপক্ষ আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসির প্রাণের দাবি ঘাট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং জনগণের জান-মালের ক্ষতি রোধকল্পে দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের সিঁড়ি পুননির্মাণ করা সহ ঘাটের সুব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ যেন অতিসত্বর নেওয়া হয়।