ঢাকা অফিস।।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ রোধে যেসব দেশে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আগমন বন্ধের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আরও বেশি ভয়ংকর ও শক্তিশালী বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। ওমিক্রনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ বলে জানিয়েছে ডাব্লিউএইচও।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইসরাইল, হংকং, বতসোয়ানা ও বেলজিয়ামে এই করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
রূপ বদলেই করোনা ভাইরাসের এই ধরন নিজের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। আগের সব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। এমনকি করোনার নতুন এই ধরনটি টিকার কার্যকারিতাকেও ফাঁকি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে থাকেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে নতুন ধরন ওমিক্রনকে বলা হচ্ছে ’সুপার ভ্যারিয়েন্ট’।
ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
এদিকে, বাংলাদেশে এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে রোববার (২৮ নভেম্বর) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৮তম সভায় আলোচনা শেষে চার সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চার সুপারিশগুলো হলো :
১. বাংলাদেশে যেসব দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
২. কোনো ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (বিগত ১৪ দিনে) ইতিহাস থাকলে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ এর টেস্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন করতে হবে।
৩. প্রতিটি পোর্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল-কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করা হল।
৪. কোভিড-১৯ এর পরীক্ষায় জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে পরীক্ষা করার সুপারিশ করা হচ্ছে।