রামপাল(বাগেরহাট)সংবাদাতা।।
বাগেরহাটের রনজিৎপুর গ্রামের বহুবিতর্কীত বিনোদন কেন্দ্র চন্দ্রমহল ইকোপার্কে বিনোদনের নামে চলছে উঠতি বয়সি কপোত-কপোতিদের অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড চলার কারণে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরম ভাবে নষ্ট হচ্ছে। অতিদ্রুত অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে তা চরম আকার ধারন করবে। জানা গেছে, খুলনা র্যাব-৬ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষন অধিদপ্তর এর বিভাগীয় কর্মকর্তারা নানান অভিযোগ এনে চন্দ্রমহল ইকোপার্কে ১৫ই নভেম্বর সকালে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমানে বন্যপ্রাণী ও তার চামড়া উদ্ধার করেন। উদ্ধার করার পর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পার্ক কর্তৃপক্ষ-কে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু জরিমানার নগত ৫০হাজার টাকা প্রদান করায় পার্কের কথিত ম্যানেজারকে ছেড়ে দিয়ে জব্দকৃত বন্যপ্রাণী ও প্রাণীর চামড়া নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর হতে পার্কে দর্শনার্থী আসা অনেকাংশে কমে যেতে থাকে। আর দর্শনার্থী কম আসার কারনে তাদের ব্যাবসায় অনেকটা ধস নামে। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন স্থানে লোক নিয়োগ করে পার্কে দর্শনার্থী আসার জন্য আহবান জানাতে থাকেন। কিন্তু পার্কে কোন চিত্তবিনোদনের জীব-জন্তু মনমুগ্ধকর দেখার কিছু না থাকায় অধিকাংশ দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পার্কে আসা থেকে বিরত থাকেন। এঅবস্থায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ভিন্ন কৌশনে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতি (কপোত-কপোতি) প্রবেশ করাচ্ছে। আর এই যুবক-যুবতিরা মাঠ ফাঁকা পেয়ে পার্কের ভিতরে নানা প্রকার অনৈতিক কার্যকালাপে লিপ্ত হচ্ছে। পার্কের ভিতরের পূর্বপার্শ্বে টিনের বেড়া ও বেশ কয়েকটি বেঞ্চ তৈরী করা রয়েছে। সেখানে কপোত-কপোতিরা নিরপদে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে নানান গল্পের ছলে তারা অসামাজিক কাজ করেই চলছে। অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে,দুর-দুরান্ত হতে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতিরা ৫০টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে প্রবেশ করে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে এর পর নিরাপদ স্থান বলে ক্ষাত পূর্বপার্শ্বে চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা বেঞ্চে বসে অনৈতিক কাজ করছে। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কার্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরম ভাবে নষ্ট হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বয়স্ক ব্যাক্তি বলেন, তারা চরম বিপদে রয়েছে। চন্দ্র মহলের ভিতরে ও বাইরে বিনোদানের নামে যে বেহায়াপানা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আপনারা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের মত সাধারন জনগনের কষ্টের কথা তুলে ধরে পার্কটির অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধের ব্যাবস্থা করেন। তা না হলে আমাদের এলাকা রশাতলে চলে যাচ্ছে। তারা পার্কের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন। এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে,এম আজিজুল হকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি অতিদ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।