বিশৃঙ্খলাকারীদের আগাম গ্রেপ্তারের নির্দেশ সিইসির

2
Spread the love

ঢাকা অফিস ।।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে কথা বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘এলাকার মাস্তান বা দোষী লোক, যেগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তাদের আগাম গ্রেপ্তার করার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি। সেগুলো তারা করবে।’ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে স্থানীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সিইসি মন্তব্য করেন। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে তারা কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন বা বলছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে এভাবেই, কতগুলো ঘটনা ঘটেছে রাতের অন্ধকারে। যেটা রাত ৩টা-৪টার দিকে। এসব জায়গায় তো তারা হঠাৎ করে ঘটনার আগে কিছু করতে পারেনি। যেগুলো ঘটেছে, তারা কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং বাই দিস টাইম অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। আর যারা গ্রেপ্তার হননি, তাদেরকে গ্রেপ্তার করার তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

সহিংসতা রোধে আপনারা এবার কী পদক্ষেপ নেবেন, এমন প্রশ্নে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব নির্বাচনে সহিংসতা রোধ করার জন্য। একটাও সহিংসতা হবে না, একটাও মারামরি হবে না; এই নিশ্চয়তা তো আমরা কেউ দিতে পারি না। আমরা চেষ্টা করব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।’ ‘যেসব পকেটে আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোনো খবর পাওয়া যাবে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটতে পারে; সেখানে বেশি বেশি নজর দিতে হবে। এমন আশঙ্কা থেকে থাকলে আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে’, যোগ করেন সিইসি নূরুল হুদা। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘আমরা দাবি করি, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। সামগ্রিক অর্থে নির্বাচন সফল হয়েছে। অল্প বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো কিছুতেই কাম্য নয়। তবু নির্বাচনের মানদ- যদি ভোট প্রদান হয়, তাহলে আমি বলব গত নির্বাচনগুলো গড়ে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।’ নূরুল হুদা আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করে। সেই উত্তেজনা উত্তাপ কখনো কখনো সহিংসতায় পরিণত হয়ে যায়। যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। আমরা দেখেছি যে কোথাও কোথাও মারামারি হয়েছে, খুন জখম হয়েছে। তারপরেও স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন চালু রেখেছে এবং সেই নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।’ মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপালনকারীদের প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি মাঠপর্যায়ে যারা নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য। যেখানে নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল, সেসব জায়গার নির্বাচন স্থগিত করেছেন। এভাবে গত ধাপে প্রায় সাড়ে আট হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ থেকে ১৮টি নির্বাচনি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পারেনি। তার মানে, আমরা দেখেছি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।’ সিইসি কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।