মোংলায় নিঁখোজ বাল্কহেডের আরেক স্টাফের লাশ উদ্ধার: এখনও নিঁখোজ ২

11
Spread the love

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে কয়লা বোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় সর্বশেষ নিঁখোজ থাকা তিনজনের মধ্যে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাংকরেজ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় থাকা মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এ্যাসোসিয়েশন’মোংলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হাসান বাবুল জানান, গত সোমবার রাতে হাড়বাড়িয়ার নম্বর এ্যাকংর এলাকায় দুর্ঘটনাকালে বাল্কহেডটির দুইজন ষ্টাফ জীবিত উদ্ধার হয়। তখন নিঁখোজ থাকেন মোট জন। ওই জনের মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে সন্ধ্যায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারপরও নিঁখোজ থাকেন তিনজন। ওই তিনজন নিঁখোজ থাকা অবস্থাতেই সংশ্লিষ্টরা বুধবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন। তারপর থেকে নিঁখোজদের পরিবার লাশের সন্ধানে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় খুজতে থাকেন। তারই এক পর্যায়ে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে হাড়বাড়িয়া-০৯ নম্বর এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখেন তারা। এরপর তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া লাশটি ওই বাল্কহেডের ষ্টাফ রবিউল ইসলামের (৩৫)তার বাড়ী পিরোজপুরের স্বরুপকাঠী এলাকায় বলে জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া লাশ দুইটি হলো ষ্টাফ নুর আলম (৩২) মহিউদ্দিনের (৩৫)এই দুইজনের বাড়ীও স্বরুপকাঠীতে। তবে এখনও আরো দুইজন ষ্টাফ নিঁখোজ রয়েছে। তারা হলেন, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জিহাদ মোংলার সামছু।

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার নম্বর এ্যাংকরে থাকা একটি বিদেশী জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে ছেড়ে আসার পর সেলিং হওয়া অপর একটি বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাল্কহেডটি ডুবে যায়। বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় অবস্থানরত বিদেশী জাহাজ এম,ভি এলিনাবি থেকে সোমবার রাতে ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে বাল্কহেড এম,ভি ফারদিন। বাল্কহেডটির কয়লা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের গাবতলীতে যাওয়ার কথা ছিল।