‘সেই বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চিঠি দেওয়া হবে’

3
Spread the love

ঢাকা অফিস।।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করা হবে। বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার সন্ধায় গনমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী কথা বলেন। এর আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে এক দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের কাছে একই কথা বলেন। 

ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশকে মামলা না নিতে বিচারিক আদালতের রায়ের সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মতামত জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি বলেন, আমি উনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। অবজারভেশনে (৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়) উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সম্পর্কে আমি বলতে পারি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এই কারণে আগামীকাল (রোববার) প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য একটা চিঠি লিখছি। বিষয়ে ওই বিচারক ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।-যুগান্তর