দাকোপের বাজুয়ায় দ্রব্যর মূল্য আকাশ ছোঁয়া, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের

4
Spread the love


 মোঃ শামীম হোসেন- বাজুয়া (দাকোপ) ।।

খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়াসহ পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারে শাকসবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া মূল্য বাড়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রায় সকল দ্রব্যই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ অভাবনীয় কষ্টে আছেন। স্মরণকালে দ্রব্যসামগ্রীর এমন চড়া দাম কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।দাকোপ এলাকার ছোটবড় হাটবাজার গুলো ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানের চাউলের দাম প্রতি কেজি-৫৫- ৫৮ টাকা। বোতল জাত সয়াবিন প্রতি লেটার ১৬০-১৬২ টাকা, আর সুপার সয়াবিন প্রতি কেজি ১৫০-১৫৩ টাকা। সরিষার তেল ২২০-২২৫ দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি মসুরি ডাল কেজি প্রতি ১০০-১১০ টাকা, আর মোটা দানা মসুরি ডাল ৮৫-৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি প্রতি কেজির দাম ৮০-৮৩ টাকা। এই উত্তাপ সবজি বাজারে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালিন শাক সবজির দাম অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে দ্বিগুন বেড়েছে। প্রতি কেজি ফুলকপি ও ওলকপি ৮০-৯০ টাকা, টমেটা ৮০-৯০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০,বাঁধাকপি ৪০-৫০, কাঁচালংকা ১৫০-১৬০, মূলা ৪০-৫০, কাঁচাকলা ৪৫-৫০, বরবটি ৫০-৬০, পালংশাক ৫৫-৬০, লালশাক ৩৫-৪০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি করছে। তবে আলু, রসুন ও পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায় থাকলেও মাংসের দাম বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০-৯০০, গরুর মাংস ৫৫০-৬০০, পোল্ট্রি মাংস ১৭০-১৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর আগুন মূল্যে নাকাল হওয়া দিনমজুর  বাজুয়া দাশপাড়া গ্রামের জগো দাশ ও যাদব মন্ডল জানান, চাউল কেনার পর অন্য অন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছেনা। ভীষন কষ্টে আছি। চালনা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সোহেল  ও বাজুয়া বাজারের ব্যাগিন সরকার বলেন, গতবারের তুলনায় এবার শীতকালিন সবজিসহ অন্যান্য শাকসবজি বাজারে আমদানি খুবই কম বলে দাম বেড়েছে। লাউডোব গ্রামের কৃষক গৌরাঙ্গ জানান, এবছর দীর্ঘ ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি চাষে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় শাকসবজির উৎপাদন কমেছে। তাই বাজারে শাকসবজির দাম এতো চড়া।