খাবার খেয়ে অচেতন হলেন তাবলীগ জামাতের ১৫ মুসল্লী

4
Spread the love


পিরোজপুর প্রতিনিধি।।


পিরোজপুরের কাউখালীর একটি মসজিদে আসা তাবলীগ জামাতের ১৫ মুসল্লী রাতের খাবার খেয়েই অচেতন হয়ে পরেন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুসল্লীদের ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার আব্দুল হান্নান(৬০) এবং নোয়াখালী জেলার কাসিমপুর গ্রামের তাবারকউল্লাহকে (৬৩) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যান্যরা হলেন- নীলফামারি জেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজ-এর ছেলে মোস্তকিম (১৮), নেত্রকোনা জেলার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবর-এর ছেলে মিজানুর রহমান (৫০), নেত্রেকোনা জেলার বড়ইখালি গ্রামের কিতাব আলী’র ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৫), নওগাঁ জেলার বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিন-এর ছেলে ইদুকুল ইসলাম, নওগাঁ জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বার-এর ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), নওগা জেলার ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমান-এর ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), নওগাঁ জেলার নাবিলা নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্স-এর ছেলে মোস্তাকিম (৫৯) নওগাঁ জেলার রসুলপুর গ্রামের বসির শেখ-এর ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১), সুনামগঞ্জ জেলার মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুর-এর ছেলে শফিউল্লা (৬২), সুনামগঞ্জ জেলার কালিপুর গ্রামের নওয়াব আলী’র ছেলে জাফর আলী (৬০), কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লা’র ছেলে সফিউল্লাহ (৭০) কক্সবাজার জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌর-এর ছেলে আলী আকবর (৫৯), সুনামগঞ্জ জেলার ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলী’র ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালী জেলার কাশীমপুর গ্রামের আরশতিম-এর ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লা’র ছেলে হারুনুর রশিদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে নামাজ শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মুসল্লীরা। ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় কেউ ঘুম থেকে না উঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে স্থানীয়রা অজ্ঞান অবস্থায় ১৬ জনের ১৫ জনকে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ১৬ সদস্যরা ৪১দিনের চিল্লার অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার কাউখালীতে তাবলিগ জামাতের গারতা মসজিদে চিল্লায় অংশ নেয়।

তাবলিগ জামাতের সদস্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর গ্রামের মোজাহার হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর এক অচেনা লোক এসে আমাদের বাড়ি ঘর জিজ্ঞাসা করে। এসময় সে রাতের খাবার তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলে চলে যায়। একজন মুসল্লীর পকেট থেকে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল নিয়েছে। বাকিরা সুস্থ না হলে কিছু বলা যাচ্ছে না।

কাউখালীর অফিসার ইনচার্জ মো. বনি আমিন জানান , বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনো দুস্কৃতিকারী চুরির উদ্দেশ্যে না নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা।