খুলনায় মাদক মামলায় ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা

3

খুলনায় মাদক মামলায় দুজনের  জেল-জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার

ডুমুরিয়া থানার মাদক মামলার দুআসামীকে বিভিন্ন মেয়াদের জেল-জরিমানার দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৭ অক্টোবর) খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেছেন।

রায়ে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার উলা গ্রামের অভিমান্য ঢালীর ছেলে তপন কুমার ঢালীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং পেড়ীখালী গ্রামের রঞ্জন বাছাড়ের ছেলে তুহিন বাছাড়কে ৬ মাসের সশ্রম করাদ-, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশম্র কারাদ-াদেশ  দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আসামী তুহিন আদালতে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং তপন কুমার পলাতক ছিলেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মনসুর আহমেদ মেহেদী নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর খুলনা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল ডুমুরিয়া উপজেলার মইখালী বাজারে অবস্থান করে। তারা জানতে পারে উলা গ্রামের উলা হাজিবুনিয়া মোড়ে মোসলেমের দোকানের সামনে মাদক বিকিকিনি হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে সেখানে পৌছানো মাত্র কয়েকজন দৌড়ে পলানোর চেষ্টা করে। এসময় ১৭৭ পিস ইয়াবাসহ তপন কুমার ও তুহিন বাছাড়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় গোয়েন্দা শাখার এসআই সনজীব ঘোষ বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং- ৫। ওই বছরের ৭ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অর্জুন কুমার দাস দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট শেখ এনামুল হক ও এপিপি এম ইলিয়াস খান।

মহানগর দায়রা জজ আদালতে মাদক মামলায় দুআসামির ৭ বছরের কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার  

খুলনা সদর থানার মাদক মামলার দুআসামির প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৭ অক্টোবর) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেছেন। দ-প্রাপ্ত আসামীরা হলেন শাহানারা ও সোনিয়া। রায় ঘোষণাকালে উভয় আসামি পলাতক ছিলেন।

আদালতের স্টোনোগ্রাফার মো. হাদিউজ্জামান হাদি নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রূপসা ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে শাহানারা বেগম ও তানিয়ার কাছ থেকে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ  অধিদপ্তরের পরিদর্শক পারভীন আক্তার বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং- ৪৪। ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো. মোসাদ্দেক হোসেন তাদের দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন ও এপিপি অ্যাডভোকেট মো. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার।