ভুয়া ভাউচারে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেতারে দুদকের অভিযান

4
Spread the love

ঢাকা অফিস ।।

বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ বেতারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। জানা গেছে, অভিযান শেষে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেছে টিম।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (বিশেষ তদন্ত-২) মোহাম্মদ ফয়সালের তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক তানজির হাসিব সরকারের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বেতার ভবন এবং বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন কেন্দ্র ইউনিটের সম্মানি খাতে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় চুক্তিভিত্তিক শিল্পীদের সম্মানি দেওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। শিল্পী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দ্বারা কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত বা অন্যান্য কাজ করানো হয় কি-না, বিষয়টি যাচাই করতে নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম।

সংস্থাটি জানায়, অনুসন্ধান শেষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এদিন সাতটি অভিযোগের বিষয়ে (দুটি অভিযান, ৫টি দপ্তরে পত্র পাঠানো) পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বরাদ্দ সম্মানি ভাতার অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযােগের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর সদরের উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে অভিযান চালায় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। এসময় দুদক টিম সরেজমিনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, লক্ষ্মীপুর কার্যালয় পরিদর্শন করে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে দুদক জানতে পারে, ওই প্রশিক্ষণটি সম্পূর্ণ আবাসিক এবং এটি পরিচালনা প্রশিক্ষণার্থী খাবার অন্যান্য খরচ বাবদ খাতে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে, যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খরচ করা হয়। অর্থ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিতরণের সুযোগ নেই। টিম বিষয়ে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।