মাচা পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফলতার হাসি

5

তালা উপজেলায় হাইব্রিড টমেটো চাষে লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম

ইলিয়াস হোসেন, তাল(সাতক্ষীরা)::

গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো খেতে বেশ সুস্বাদু। বাজারেও রয়েছে এই টমেটোর ব্যাপক চাহিদা। সল্প খরচে চড়া দামে টমেটো বিক্রয় হওয়ার কারনে বাণিজ্যিক ভাবে সফলতার আশায় মাচা পদ্ধতিতে টমেটো চাষের দিকে ঝুঁকছেন তালা উপজেলার চাষীরা।

তালা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও মাটি উর্বর হওয়ায় টমেটো চাষ ভালোপরিসরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড জাতের টমেটো গাছ লাগানোর ২-৩ মাসের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। চার পাঁচ মাস পর্যন্ত এ টমেটো সংগ্রহ করে বাজারজাত করা যায়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আট হেক্টর জমিতে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমরা চাষী ভাইদের আগ্রহ বেশি পেয়েছি। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তালা উপজেলার সদর সহ পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা, শাকদহ, কুমিরা, ইসলামকাটি এলাকায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ।

স্থানীয় চাষীরা বলেন, টমেটো সাধারণত শীতকালীন ফসল। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কিছু গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত আবিষ্কার করেছে। আর প্রথম বারের মতো টমেটা চাষ করে আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছেন অনেক চাষী ভাইয়েরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালা উপজেলার কৃষকরা সাধারণ ইস্পাহানি জাতের টমেটো চাষ করেছেন। আবার ক্ষেত্রে বিশেষ বারী জাতের টমেটো চাষ করতে দেখা গেছে জমিতে। প্রথম বছর টমেটো খরচ বেশি হলেও পরবর্তী বছর থেকে খরচ কম হয় বলে জানা গিয়েছে।

ইস্পাহানি জাতের টমেটো চাষ করতে, বীজতলা থেকে চারা তৈরি করতে হয়। জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে তৈরি করে জমিতে পলিথিন বিছিয়ে ছোট ছিদ্র করে চারা লাগাতে হয়। ফুল আসার পর পাটখড়ি,বাঁশের কঞ্চি, দড়ি ও তার দিয়ে মাচা তৈরি করতে হয়। গাছ বড় হলে মাচার ওপর তুলে দিতে হয়। ফলগুলো মাচায় ঝুলে থাকে। ফলগুলো মাটিতে ঠেকে থাকলে দ্রুত পঁচে যায়। মাচায় টমেটো চাষ করলে নষ্ট কম হয়।

উপজেলার কুমিরা গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন। টমেটো চাষ লাভজনক একটি ফসল। গ্রামের সবাই কম-বেশি চাষ করেছে। প্রতি গাছে ৪০-৫০ টি টমেটো ধরেছে। প্রতি কেজি টমেটো ৬০-৬৫ টাকা কেজি করে বিক্রি করতে পেরেছি। আগামীতে আরো বেশি করে চাষাবাদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চাষী আমিনুল ইসলাম সহ কয়েকজন চাষী ভাইয়েরা প্রতিনিধি এসএম বাচ্চুকে জানান, প্রথম বছরে এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতে ১ লক্ষ টাকার একটু বেশি টাকা খরচ হয়েছিল। এবছর ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। টমেটোর দাম গত বছরের তুলনায় এবছর ভালো। এখন পর্যন্ত কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা দরে ৫০-৬০ মণ টমেটো বিক্রি করেছি। বাজার মূল্য স্বাভাবিক থাকলে বিঘা প্রতি ২-৩ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, টমেটো খেতে বেশ সুস্বাদু। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসেই ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। এদিকে কৃষকদের সফলতা ও আগ্রহ বাড়ায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে বারি হাইব্রিড টমেটো চাষের জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হবে। বর্তমানে যে ফলন হচ্ছে যথাযথভাবে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করলে ফলন আরও বেশি হবে।

সাতক্ষীরার তালায় সাংবাদিকদের সাথে ইউএইচএফপিও’র মতবিনিময়

সাতক্ষীরার তালার সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার রাজিব সরদার মতবিনিময় করেছেন। বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ মতবিনিময় করেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে চেষ্টা করেছি হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসাসহ সকল কাজ সঠিক ভাবে করার, একই দায়িত্বে অনেকদিন থাকায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে হাসপাতালে বিভিন্ন কর্মচারীদের দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে, ইসিজি ,আল্ট্রাসনো মেশিন, সিসি টিভি ক্যামেরা চালু আছে, এমপি মহোদয় ও সিভিল সার্জন স্যারের সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম্যে নতুন এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থ্যা করা হয়েছে, এছাড়া চলতি মাসে সমগ্র বাংলাদেশে ৫শ ৮৮টি হেল্থ কমপ্লেক্সের এর মধ্যে এইচএসএস স্কোর অনুযায়ী বর্তমান তালা হাসপাতালের অবস্থান ৩৮তম যা সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে ২য়।

তিনি আরও জানান সিভিল সার্জন মহদয় আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, অচিরেই হাসপাতালে অপারেশান করার জন্য লোকবলসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।

এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক কোষাধ্যক্ষ এম এ ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হায়দার, এশিয়ান টিভি ও দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার তালা প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।