খুলনায় বেড়েছে সবজি-চিনি-মসুরের দাম

5

স্টাফ রিপোর্টার ।।

হঠাৎ চড়া হয়ে উঠেছে খুলনার নিত্যপণ্যের বাজার। সবজিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন মধ্য আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মাছের। দাম নির্ধারণের পরও বাজারে ৭৫ টাকার চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০, ঢেঁড়স ২০-৩০, ঝিঙে ৩০, উচ্ছে ৬০, কুশি ৪০, আলু ২০, দেশি পেঁয়াজ ৪৫-৫০, কাকরোল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০, মুলা ৪৫-৫০, পটল ২০-২৫, মিষ্টিকুমড়া ৩০ কাঁচাকলা (প্রতি হালি) ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর ময়লাপোতায় কেসিসির সান্ধ্য বাজারের ব্যবসায়ী তোবারেক হোসেন পিয়াস বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টি থাকায় সবজিক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। অনেক কৃষক তাদের সবজি তুলতে পারেননি। তবুও বাজারে সবজির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। সবজির দর স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

অন্য ব্যবসায়ী মোশাররফ জোদ্দার জোর দাবি করে বলেন, সবজির সরবরাহ কম থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে দামের কোনো পরিবর্তন নেই।

বাজারের নিয়মিত ক্রেতা মুর্শিদা আনজুম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টির পর থেকে বাজারে সবজির দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়াতে বিক্রেতাদের কোনো অজুহাত লাগে না। যখন তখন যে কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের বিপাকে ফেলেন তারা।

নগরীর রূপসার সান্ধ্য বাজারের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৩৫০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পার্শে মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০-৮০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ টাকা, রুই ২০০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা, ভেটকি সাইজভেদে ৪৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাদল বলেন, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম অন্তত তিনটাকা বেড়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে করে রাশেদা সুলতানা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেশি। মসুর ডালের বাজারও গরম। এই দুটি পণ্যের দাম যাতে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।