ঘরে মায়ের ঝুলন্ত লাশ, ক্ষোভে স্ত্রীকে ‘পিটিয়ে হত্যা’

7
Spread the love

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ।।

পরিত্যক্ত ঘরের আড়ায় ঝুলছিল বৃদ্ধ মা রোকেয়া খাতুনের লাশ। দৃশ্য দেখে ক্ষোভে স্ত্রী হিরা খাতুন ওরফে জোসনাকে (২৬) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

শনিবার সকালে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার হিরা খাতুন তার দুই বছরের সন্তানকে মারধর করেন। নিয়ে শাশুড়ি রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে তার বাগ্বিত-হয়। অভিমানে প্রায় তিন দিন ধরে বউ-শাশুড়ি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন। শুক্রবার রাতে আব্দুর রহমান মা স্ত্রীর অভিমান ভাঙান। সময় স্ত্রী হিরা খাতুন অসুস্থ হলে তাকে পল্লি চিকিৎসক ডেকে শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়। এরপর রাতে মায়ের খোঁজ নিতে যান আব্দুর রহমান। ঘরে মাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়নায় মায়ের লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দেন তিনি। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। একপর্যায়ে রাগে-ক্ষোভে আব্দুর রহমান অসুস্থ স্ত্রীকে পেটাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই হিরা খাতুন মারা যান।

নিহত গৃহবধূর মা রাশিদা খাতুন বলেন, চার বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। জামাই খুব ভালো। কিন্তু শাশুড়ি মেয়েকে খুব অত্যাচার করতেন। মেয়ে কীভাবে মারা গেছে, আমি জানি না। ঘটনাস্থলে থাকা হিরা খাতুনের চাচি জেসমিন বলেন, মায়ের লাশ দেখে ক্ষোভে জামাই আমাদের মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মেয়ের হাতে আঘাতের চিহ্ন রক্ত দেখা গেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে বউ-শাশুড়ির ঝগড়া চলছিল। শুক্রবার চাচাতো ভাইয়েরা এসে মিটমাট করে দেন। রাতে বউ অসুস্থ হলে গ্রাম্য ডাক্তার এনে স্যালাইন দেওয়া হয়। পরে মাকে ডাকতে গিয়ে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করি। একপর্যায়ে বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে মায়ের ঝুলন্ত লাশ পাই। এরপর মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে বউ স্ট্রোক করে মারা যায়।

কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে দু’জনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।