সাংবাদিক রোজিনার ব্যাংক হিসাব তলব

2
Spread the love

ঢাকা অফিস ।।

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ব্যাংক হিসেবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)বিএফআইইউ দেশের সব বাণিজ্যিক তফসিলি ব্যাংকে এব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পাঠানো চিঠিতে রোজিনা ইসলামের ব্যাংক হিসাব লেনদেনের তথ্য চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে রোজিনা ইসলামের নামের মিল নেই। এনআইডিতে তার নাম রোজিনা আক্তার থাকলেও পিতা মাতার নামে কোনো পরিবর্তন নেই বলেও জানা গেছে।

চিঠিতে সাংবাদিক রোজিনা মাতা-পিতার নামের সঙ্গে স্থায়ী ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্র আরটিআইএন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএফআইইউ তাদের চিঠিতে, রোজিনা ইসলাম তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব অতীতে অথবা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই সব হিসাবের যাবতীয় তথ্য (যাবতীয় কাগজপত্রাদিসহ হিসাব খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশান প্রোফাইল, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) চেয়েছে।

এছাড়া রোজিনা আক্তারই যে রোজিনা ইসলাম তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছুদিন আগে রোজিনা ইসলামের নামে হওয়া তথ্য চুরির মামলার এজাহারে উল্লেখ করা রোজিনা ইসলামের পিতা মাতার নামের মিল পাওয়া গেছে বলেও জানা গেছে বলেও জানিয়েছে বিএফআইইউ কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ মে (সোমবার) সচিবালয়ে অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার পরে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি টিম সচিবালয় থেকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে যায়। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিব্বির আহমেদ ওসমানী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পরদিন ১৮ মে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ জসিমের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা দণ্ডবিধি অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর আদালত ২০ মে শুনানি শেষ করে ২৩ মে আদেশের দিন ধার্য করেন। পূর্ব নির্ধারিত আদেশের দিন রোজিনা ইসলামের করা জামিন আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তাকে জামিন দেন আদালত। ওইদিনই রোজিনা ইসলাম গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।