নতুন প্রজন্মের নারীদের মাঝে বঙ্গমাতার আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান

1

তথ্য বিবরণী ।।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন একজন ক্ষনজন্মা, কালজয়ী নারী। বিভিন্ন সংকটে অবিচল থেকে সাহসিকতার সাথে কিভাবে তা মোকাবিলা করতে হয় বাঙ্গালি জাতিকে সেটা শিখিয়েছেন তিনি। খুলনায় বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।

    খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে যৌথভাবে খুলনা জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার।

    এবছর প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এবছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।

    সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের একটি বড় অংশ, প্রায় সাড়ে তের বছর, জেলে কাটিয়েছেন। এই দীর্ঘ সংকটকালে বঙ্গমাতা একদিকে যেমন সংসার সামলিয়েছেন অন্যদিকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে সচলরেখে দেশের মানুষকে সংগঠিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একে অপরের পরিপূরক। বঙ্গমাতার কারনেই বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হতে পেরেছিলেন, নতুন একটি দেশ  উপহার দিতে পেরেছেন। তিনি নতুন প্রজন্মের নারীদের বঙ্গমাতার অনুপ্রেরনাদায়ী জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার আহবান জানান।

    অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান, মোঃ আলমগীর কবীর, খুলনা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারপ্যাসন অধ্যাপিক রুনু ইকবাল বিথার,  জাতীয় পর্যায়ে জয়িতা সাকেরা বানু, নারী সংগঠনের নেত্রী শামীমা সুলতানা শিলু ও হালিমা ইসলাম প্রমুখ  বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা।

    দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও নয়টি উপজেলায় মোট ৭০ জন অসহায় নারীকে সেলাই মেশিন এবং ১২ জন নারীকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।


জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির আগস্ট মাসের সভা আজ (রবিবার) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, খুলনা জেলায় গতমাসে সংঘটিত হত্যাকা-গুলোর অধিকাংশই পূর্বশত্রুতার জেরে হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তির অসচেতনতা ও লোভের কারণে অনলাইনে প্রতারণার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

    সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, খুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ৪৮ হাজার ডোজের পুরোটাই খুলনায় এসে পৌঁছেছে। সুতরাং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমান ব্যক্তিরা টিকা গ্রহনের জন্য মোবাইলে এসএমএস পাবেন।

    জেলার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার জানান, খুলনার বাজারে চাল, ভোজ্যতেল ও গোল আলুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

    সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। সকল জনসমাবেশস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মাদকের বিস্তার রোধে উপজেলা পর্যায়ে অভিযান জোরদার করা এবং পাসপোর্ট অফিসকে দালাল মুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

    এছাড়া কমিটির সদস্যদের আলোচনায় উঠতি বয়সী তরুণদের উচ্চগতিতে মোটর সাইকেল চালানো ও অনলাইন জুয়ার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ, রান্নার কাজে ব্যবহার হওয়া এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার নির্ধারিত দামে বিক্রয় নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার ম-ল সভার শুরুতে বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সভায় জানানো হয় খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত জুলাই মাসে ১৪৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিগত জুন মাসে জেলায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে ৩৩ টি কম। খুলনা মহানগীর অধিক্ষেত্রে জুলাই মাসে একশত ২৫টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত জুন মাসে দায়ের হওয়া মামলা হতে ৪৫টি কম।

    সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত হন।